ঢাকা, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

মালয়েশিয়া প্রবেশ করতে না পারা প্রায় ১৮ হাজার বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য দারুন সুখবর

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ অক্টোবর ০৪ ২০:২০:১১
মালয়েশিয়া প্রবেশ করতে না পারা প্রায় ১৮ হাজার বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য দারুন সুখবর

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বাংলাদেশের প্রায় ১৮ হাজার কর্মীর মালয়েশিয়ায় প্রবেশের বিষয়ে সহানুভূতিশীল বিবেচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এই কর্মীরা মে মাসের মধ্যে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে না পারায় তাদের কাজের সুযোগ হারানোর আশঙ্কায় ছিলেন। ঢাকায় সংক্ষিপ্ত সফরের সময়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অনুরোধের প্রেক্ষিতে আনোয়ার ইব্রাহিম এ প্রতিশ্রুতি দেন।

বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ এক অর্থনৈতিক সম্পর্কের অংশ, এবং এই সমস্যার সমাধান দু'দেশের শ্রমবাজার ও অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আনোয়ার ইব্রাহিমের এই আশ্বাসে বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য একটি সমাধানের আশা তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে ব্যর্থ হওয়া ১৮ হাজার বাংলাদেশি কর্মীদের নতুন করে প্রবেশের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। আমাদের শ্রমিক দরকার তবে কাউকে ‘আধুনিক দাস’ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয়।

শুক্রবার দুপুরে ঢাকায় পৌঁছান আনোয়ার ইব্রাহিম। পরে তিনি ড. ইউনূসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে তারা ঢাকার একটি হোটেলে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন।

বৈঠকে ড. ইউনূস রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুর দ্রুত সমাধানে আসিয়ানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

দুই রাষ্ট্রপ্রধান কৃষি, জ্বালানি, শিক্ষা, হালাল অর্থনীতি, অর্ধ-পরিবাহী শিল্প, সুনীল অর্থনীতি, বিজ্ঞান উদ্ভাবন, প্রতিরক্ষা এবং যুব উন্নয়ন বিষয়ে নতুন চুক্তি বা এমওইউর সম্ভাবনার বিষয়ে আলোচনা করেন।

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ড. ইউনূস বলেন, আমরা বাংলাদেশ থেকে কর্মী সংখ্যা বৃদ্ধি এবং তাদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছি।

আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, অবশ্যই সব শর্ত পূরণ সাপেক্ষে ১৮ হাজার বাংলাদেশিকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মালয়েশিয়ায় পুনরায় প্রবেশের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

এর আগে গত ৩১ মে মালয়েশিয়া প্রবাসী কর্মী প্রবেশের শেষ দিন ছিল। সেদিন প্রায় ১৮ হাজার কর্মী বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে পারেননি।

কর্মী পাঠানোর সিন্ডিকেট ভাঙার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, আমরা পুরো প্রক্রিয়াটি নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের উদ্বেগ যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা অবশ্যই মেনে চলা উচিত। আমাদের শ্রমিক দরকার।

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী কর্মীদের সতর্ক থাকার এবং মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বিদেশিদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড না করার আহ্বান জানান।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে