ঢাকা, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

সাকিবের দেশের মাটিতে অবসরের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নিল প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা ও ক্রীড়া উপদেষ্টা

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ সেপ্টেম্বর ২৮ ২৩:৩৬:১৩
সাকিবের দেশের মাটিতে অবসরের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নিল প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা ও ক্রীড়া উপদেষ্টা

সাকিব আল হাসান ও জাহারা মিতু সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের। ব্যাটের-পাশাপাশি বল হাতেও বেশ সংগ্রাম করতে হচ্ছে ৩৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারকে। এমন পরিস্থিতিতে তার একাদশে সুযোগ পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এবার টি-টোয়েন্টির পাশাপাশি টেস্ট ক্রিকেটকেও বিদায় বললেন এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আগামী মাসেই ঘরের মাঠে শেষবারের মতো টেস্ট খেলবেন তিনি। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ১৮ বছরের লড়াকু সৈনিককে আর কখনো টি-টোয়েন্টিতে দেখা যাবে না।

বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডারের অবসরের ঘোষণায় শোকার্ত তার অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগী। বেদনার্ত ক্রিকেটপ্রেমীরা।

অবসরের কথা জানিয়ে সাকিব প্রেস কনফারেন্সে বলেন 'আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টিতে আমি আমার শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছি, মিরপুর টেস্টে (দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে) খেলতে পারলে সেটি হবে আমার শেষ টেস্ট'।

অবশ্য দেশে ফেরা নিয়ে সাকিবের কিছু ‘ঝামেলা’ আছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার একটি মামলার আসামি তিনি। দেশে ফিরলে গ্রেপ্তার বা অন্যভাবে হয়রানির একটা শঙ্কা আছে।

সাকিব জানান, এ ব্যাপারে বিসিবির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন তিনি। দেশে ফিরতে এজন্য কিছু শর্তও জুড়ে দিয়েছেন।

সাকিব বলছিলেন, ‘আমি যেন গিয়ে খেলতে পারি এবং নিরাপদ অনুভব করি। যখন দেশের বাইরে আসার দরকার হবে, দেশের বাইরে আসতেও যেন আমার কোনো সমস্যা না হয়। বোর্ড খেয়াল রাখছে, বিষয়গুলোর সঙ্গে যারা জড়িত তারা দেখছেন। তারা হয়তো আমাকে একটা সিদ্ধান্ত দেবেন, যেটার ভিত্তিতে আমি দেশে গিয়ে খুব ভালোভাবে খেলে অন্তত টেস্ট ফরম্যাটটা ছাড়তে পারব।’

দেশের মাটিতে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানানো প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, 'আমার কাছে দেশের সমর্থকদের সামনে টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ করাটা উপযুক্ত হবে বলে মনে হচ্ছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে এবং এই ফরম্যাটের শেষটা আমি ঘরের মাঠেই করতে চাই। আমি বিসিবির কাছে নিজের শেষ টেস্টটি মিরপুরে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছি। যদি তা না হয়, তাহলে কানপুরে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটিই আমার শেষ টেস্ট হবে।'

নিজের অবসরের সিদ্ধান্ত ও দেশে ফেরা নিয়ে বিসিবির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে সাকিবের। তিনি বলেন, ‘দেখুন, এখন পর্যন্ত আমি তো অ্যাভেইলেবল। দেশে যেহেতু অনেক পরিস্থিতি আছে, সবকিছু অবশ্যই আমার ওপর নির্ভর করছে না। আমি বিসিবির সঙ্গে এসব নিয়ে আলোচনা করেছি। তাদেরকে বলা হয়েছে আমার কী পরিকল্পনা। এই সিরিজ আর হোম সিরিজটা আমি ফিল করেছিলাম আমার শেষ সিরিজ হবে, টেস্ট ক্রিকেটে স্পেশালি।’

‘এভাবেই ফারুক ভাইয়ের সঙ্গে ও নির্বাচকদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। যদি সুযোগ থাকে, আমি যদি দেশে যাই, খেলতে পারি, তাহলে মিরপুর টেস্ট হবে আমার জন্য শেষ। সেই কথাটা বোর্ডের সবার সঙ্গে বলা হয়েছে। তারা চেষ্টা করছেন কীভাবে সুন্দরভাবে আয়োজন করা যায়’- যোগ করেন সাকিব।

তাছাড়া কয় দিন পর শুরু হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় টূর্নামেন্ট বিপিএল। এখানেই খেলতে পারবেন কিনা সাকিব তা নিয়ে রয়েছে যথেস্ট সন্দেহ। দেশের অন্তর্বতীকালীন সরকারের সিদ্ধান্তের উপর সব নির্ভর করছে। তবে অন্তর্বতীকালীন সরকারের কথায় কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা ও ক্রীড়া উপদেষ্টা খুব স্পষ্টভাবে বলেছেন... বাংলাদেশ সরকার থেকে যে পরিস্কার ম্যাসেজটা আছে- যে মামলাগুলো হয়েছে এ ব্যাপারে কাউকে অন্যায়ভাবে হেনস্তা করা হবে না। আমরা মনে করি, সাকিবের ব্যাপারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের অবস্থান সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছেন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে