ঢাকা, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

৫ আগস্ট সেনাপ্রধানের দাওয়াত কীভাবে এলো জানালেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ সেপ্টেম্বর ২২ ২০:৪০:১২
৫ আগস্ট সেনাপ্রধানের দাওয়াত কীভাবে এলো জানালেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর

৫ আগস্টের ঘটনাটি ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। তখনকার রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে, সরকারবিরোধী আন্দোলন চরমে পৌঁছায়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের দাবিতে মাঠে থাকা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি, সরকারি নিষেধাজ্ঞা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা দেশকে এক অনিশ্চিত পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেয়।

এই সময়ে, জামায়াতে ইসলামীর মতো সংগঠন, যাদের সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল, তাদের অবস্থান এবং কর্মকাণ্ড বিশেষ নজরে আসে। ঠিক এমন সময়, ৫ আগস্ট দুপুরে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এই আমন্ত্রণ ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সেনাপ্রধানের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকের সুযোগ তৈরি করে দেয়। যদিও জামায়াত তখন নিষিদ্ধ ছিল, ডা. শফিকুর সেনাপ্রধানের দাওয়াতকে অস্বাভাবিক বা সন্দেহজনক মনে করেননি।

দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনীর এমন উদ্যোগ, বিরোধী দলগুলোর নিন্দা এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার কৌশল— সব মিলিয়ে এই বৈঠকের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম।

এ নিয়ে ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে নিজ দলের অবস্থান স্পষ্ট করেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। এই আলোচনা অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন ঠিকানা টিভির প্রধান সম্পাদক সিইও খালেদ মুহিউদ্দীন।

সেনাপ্রধান কখন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন— এমন প্রশের জবাবে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ৫ আগস্ট দুপুরে ফোন আসে সেনাবাহিনী থেকে। এর আগে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না। এমনকি সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সেদিনই প্রথম সরাসরি দেখা হয়, দাবি করেন জামায়াত প্রধান।

একটি ‘নিষিদ্ধ’ সংগঠনের নেতাকে সেনানিবাসে যেতে বলা হচ্ছে, বিষয়টি তো ফাঁদও হতে পারত, এমন শঙ্কা ছিল কি না- জানতে চাইলে জামায়াতের আমির বলেন, ‘এটা মনে হতেই পারে। কিন্তু আমি মনে করিনি। সরকার হঠাৎ করে পয়লা আগস্ট আমাদের যখন নিষিদ্ধ করে, আমরা সেটা গ্রহণ করিনি, সঙ্গে সঙ্গে বর্জন করি। সবাই আমাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে। বিএনপিসহ বিরোধী দলের সবাই নিন্দা করেছে। কারণ এটা ছিল ইস্যু ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার কৌশল। এটা কেউ গ্রহণ করেনি। কাজেই সেনাপ্রধানের দাওয়াত আমরা অস্বাভাবিক মনে করিনি।’

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে