ঢাকা, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১

সাকিবের দুর্দান্ত বোলিং, পোস্ট করে ভাইরাল কাউন্টি ক্লাব সারে, উত্তাল নেট দুনিয়া

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ সেপ্টেম্বর ১০ ১০:৩৪:৩৩
সাকিবের দুর্দান্ত বোলিং, পোস্ট করে ভাইরাল কাউন্টি ক্লাব সারে, উত্তাল নেট দুনিয়া

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) যে এক বিশাল সম্ভাবনাময় বাজারকে যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারছে না, সেটাই মূল সমস্যা। সাকিব আল হাসানের মতো আন্তর্জাতিক তারকাদের পারফরম্যান্স এবং বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের বিশাল আগ্রহ থেকে বোঝা যায়, বাংলাদেশ শুধু ক্রিকেট খেলার জন্যই নয়, ক্রিকেট ব্যবসার জন্যও একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাজার।

সারের মতো একটি কাউন্টি ক্লাব যখন সাকিবের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সকে ব্যবহার করে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের এনগেজ করতে পারে, তখন বোঝাই যায় এই বাজার কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সাকিবের দিনে ৩৩.৫ ওভার বোলিং করার ঘটনাটি শুধু পারফরম্যান্স নয়, বাংলাদেশি ভক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করার একটি সুযোগ হিসেবে তারা দেখেছে। সারের সোশ্যাল মিডিয়া তৎপরতা সেই প্রমাণ দেয়।

যখন আপনি বিপিএলের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, তা একদমই যথার্থ। বিপিএল এমন একটি লিগ যেখানে বিপুল সংখ্যক দর্শক আকৃষ্ট করা সম্ভব, কিন্তু টুর্নামেন্টের আয়োজন, ব্যবস্থাপনা এবং বিপণনের দুর্বলতা এর প্রকৃত সম্ভাবনা অপচয় করছে। প্রতিযোগিতার মান, টেলিভিশন সম্প্রচার, স্পন্সরশিপ এবং আন্তর্জাতিকতার অভাবে বিপিএল তার প্রাপ্য জায়গায় পৌঁছাতে পারছে না। অথচ, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ, যেখানে কোটি কোটি টাকা আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

ঘরোয়া ক্রিকেটকে যদি সঠিকভাবে প্রচার করা যেত এবং দর্শকদের জন্য আকর্ষণীয় আবহ তৈরি করা যেত, তবে এটি বিসিবির জন্য একটি বড় আয়ের উৎস হতে পারত। ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টগুলো যেমন জাতীয় লিগ, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, কিংবা বিসিএলের মতো প্রতিযোগিতা যথাযথ মার্কেটিং এবং সম্প্রচার পরিকল্পনার মাধ্যমে বিপুল জনপ্রিয়তা পেতে পারত। দর্শকরা ইতিমধ্যেই তাদের মোবাইল ডিভাইসে টেনিস বলের ক্রিকেট ম্যাচ দেখে, তাহলে কেন তারা উচ্চ মানের ঘরোয়া লিগ দেখবে না?

এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে অনেকের মধ্যে ভিন্নমত থাকতে পারে। তবে সত্য কথা হলো, বিসিবি যদি সত্যিকার অর্থে ইচ্ছাশক্তি এবং পেশাদারিত্ব নিয়ে এগোতো, তাহলে বাংলাদেশের ক্রিকেটের এই বিশাল মার্কেটকে ব্যবহার করে বিপুল অর্থ উপার্জন করা যেত। সঠিক বিনিয়োগ, পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনার অভাবে সম্ভাবনার অপচয় হচ্ছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমদের মতো তারকাদের থাকা সত্ত্বেও আমরা ঘরোয়া ক্রিকেটের এমন অবস্থায় পড়েছি, যা আসলে হতাশাজনক।

বাংলাদেশ ক্রিকেটের শক্তিশালী ফ্যানবেস এবং অর্থনৈতিক সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যদি তা থেকে সর্বোচ্চ সুফল পাওয়া না যায়, তবে সেটা সত্যিই বেদনাদায়ক। প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা, দূরদৃষ্টি এবং উদ্যোগ। বাংলাদেশের ক্রিকেট সম্ভাবনার অপচয় না করে, সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করলে বিসিবি এবং দেশের জন্য বিশাল লাভ এবং সাফল্য এনে দিতে পারে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে