ঢাকা, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

তামিমকে পর্যাপ্ত সুযোগ দিলেও দেয়া হয়নি ইমরুলকে

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ এপ্রিল ২৩ ২১:১৩:১৪
তামিমকে পর্যাপ্ত সুযোগ দিলেও দেয়া হয়নি ইমরুলকে

বাংলাদেশের ক্রিকেটে যদি নেপোটিজমের চর্চা হয়ে থাকে তবে নেপোটিজমের সব থেকে বড় শিকার হলেন ইমরুল কায়েস। ওয়ান ডে ফরম্যাটে ইমরুল কেমন ছিলো আসুন পরিসংখ্যান দেখে আসি।

ইমরুল কায়েস তার ওয়ান ডে ক্যারিয়ারের প্রথম ১০ ইনিংসে ৩১.৪০ এভারেজ এবং ৬৮.৮৬ স্ট্রাইক রেটে ৩১৪ রান করেছিলেন। এই ১০ ইনিংসের মধ্যে ভারতের সাথে ১ টা ফিফটি এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাটিতে ১ টা সেঞ্চুরি করেছিলেন।

তামিম ইকবাল তার ওয়ান ডে ক্যারিয়ারের প্রথম ১০ ইনিংসে ১৮.৫ এভারেজ এবং ৬৬.৭৯ স্ট্রাইক রেটে ১৮৫ রান করেছিলেন। এই ১০ ইনিংসের মধ্যে ভারতের সাথে ১ টি মাত্র ফিফটি করেছেন। ২০ ইনিংস শেষে ইমরুল কায়েসের পরিসংখ্যান দাঁড়ায় ৩০.৭০ এভারেজ এবং ৬৫.৪৬ স্ট্রাইক রেটে ৬১৪ রান।

অপরদিকে তামিম ইকবালের ২২.১০ এভারেজ এবং ৬৫.৭৭ স্ট্রাইক রেটে ৪৪২ রান। এইভাবে ৫০ ইনিংস পর দেখা যায় ইমরুল কায়েস ১৩৮৩ রান করেছেন। এভারেজ ২৮.২২ এবং স্ট্রাইক রেট ৬৫.৭০ আর তামিম ইকবালের ৫০ ইনিংসে ১৩০২ রান। এভারেজ ২৬.০৪ এবং স্ট্রাইক রেট ৭০.০৮

ইমরুল কায়েস তার ক্যারিয়ারে ৭৮ টা ওয়ানডে ইনিংস খেলেছেন। এই ৭৮ টা ওয়ান ডে ইনিংসে ৩২.০৩ এভারেজ এবং ৭১.১১ স্ট্রাইক রেটে ২৪৩৪ রান করেছিলেন। (১৬ টা ফিফটি এবং ৪ টা সেঞ্চুরি)। অপরদিকে তামিম ইকবাল প্রথম ৭৮ ইনিংসে ২৯.৫০ এভারেজ এবং ৭৭.৭৪ স্ট্রাইক রেটে ২৩০১ রান করেছিলেন। (১৩ টা ফিফটি এবং ৩ টা সেঞ্চুরি) এবার টি২০ ফরম্যাটে জুনায়েদ সিদ্দিকির পারফরম্যান্সের দিকে আলোকপাত করা যাক :

জুনায়েদ সিদ্দিকি তার ক্যারিয়ারে মাত্র ৭ টা টি২০ ইনিংস খেলার সুযোগ পেয়েছেন। এই ৭ ইনিংসে তিনি ২২.৭১ এভারেজ এবং ১৪৭.২২ স্ট্রাইক রেটে ১৫৯ রান করেছিলেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০০৭ বিশ্বকাপে ১টা ফিফটি রয়েছে জুনায়েদের।

অপরদিকে তামিম ইকবাল তার ক্যারিয়ারের প্রথম ৭টা টি২০ ইনিংসে ৯.৭১ এভারেজ এবং ৭২.৩৪ স্ট্রাইক রেটে মাত্র ৬৮ রান করেছিলেন। জুনায়েদ সিদ্দিকির ১৫৯ রান টপকাতে তামিম ইকবালের লেগেছে ১২ ইনিংস। ১২ ইনিংস শেষে তামিম ইকবালের এভারেজ ছিলো ১৩.৩৩ এবং স্ট্রাইক রেট ৮৯.৩৯।

টি২০ ফরম্যাটে তামিম ইকবালের প্রথম ফিফটি করতে ২০ ইনিংস লেগেছিলো এবং টি২০ বিশ্বকাপে প্রথম ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন ২০১৬ সালে। এর আগের ৫টা টি২০ বিশ্বকাপ খেলে তিনি একটা ফিফটিও করতে পারেন নি। যেখানে জুনায়েদ সিদ্দিকি তার প্রথম বিশ্বকাপেই পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭০ রান করেছিলো।

জুনায়েদ সিদ্দিকি এবং ইমরুল কায়েসের ক্যারিয়ারের সাথে তামিম ইকবালের ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে কম্পেয়ার করলে দেখা যায় তামিম ওয়ান ডে এবং টি২০ ফরম্যাটে তাদের থেকে আহামরি লেভেলের কোনো ব্যাটসম্যান ছিলো না।

তাহলে মিডিয়াতে কেন সবসময় একটা জিনিস হাইলাইট করা হয় যে তামিম ১৬ বছর এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলে গেছে কিন্তু অপর প্রান্তে কেউ সেট হতে পারে নি। আসলে কেউ সেট হতে পারে নি নাকি তামিমের মতো লাইফ টাইম সুযোগ দিয়ে তাদেরকে সেট করা হয় নি?

জুনায়েদ সিদ্দিকি যদি ওয়ান ডে ফরম্যাটে খারাপ করার কারণে টি২০ ফরম্যাট থেকে বাদ পড়ে তবে তামিম টি২০ ফরম্যাটে খারাপ করার কারণে ওয়ান ডে ফরম্যাট থেকে বাদ পড়লো না কেন?

বাংলাদেশ টিমের প্রত্যেকটা প্লেয়ারের খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে ব্যাটিং পজিশন চেইঞ্জ হলেও তামিম কখনো খারাপ খেলার কারণে তার ব্যাটিং পজিশন চেইঞ্জ হয় নাই কেন?

ইমরুল কায়েস যদি ওয়ান ডে ফরম্যাটে তামিম ইকবালের মতো লাইফ টাইম সুযোগ পাবার নিশ্চয়তা পাইতো তাহলে আজকে ইমরুলের ও কি ওয়ান ডে ফরম্যাটে ৮ হাজার রান থাকতো না?

ইমরুল যদি তামিমের থেকে বেটার পারফরম্যান্স করে ওয়ান ডে ফরম্যাট থেকে বাদ পড়ে তাহলে তামিম কেন কখনো ওয়ান ডে ফরম্যাট থেকে বাদ পড়লো না? এই সব প্রশ্নের উত্তর আছে কি?

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে