ঢাকা, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১

ফাইনাল ম্যাচে হারের পর ভারতীয় মিডিয়ায় তুমুল ঝড়

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৩ নভেম্বর ২০ ১০:৪৬:৪৭
ফাইনাল ম্যাচে হারের পর ভারতীয় মিডিয়ায় তুমুল ঝড়

ব্যাপক প্রস্তুতি ছিল। হাজারো আয়োজন ছিল। ভারত নিজের মাটিতে বিশ্বকাপ জিতবে বলে আশায় বুক বেধে ছিলো গোটা ভারত। কিন্তু তাই কি? ফাইনালে, ট্র্যাভিস হেড এককভাবে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি টেনে নিয়েছেন। ১৩৭ রানের ম্যারাথন ইনিংসে ভারতের স্বপ্ন আরও একবার ভেঙে গেল। প্যাট কামিন্স এর আগে বলেছিলেন যে তিনি পুরো স্টেডিয়াম বন্ধ করতে চান। কিন্তু আজ সারা দেশ নীরব।

ভারতের পরাজয়ের পর গ্যালারিতে যেমন নীরবতা নেমে আসে, ভারতীয় মিডিয়াও নীরব হয়ে যায়। ভারতীয় মিডিয়ার অনেকেই এর জন্য দুর্বল বোলিংকে দায়ী করেছেন। কেউ কেউ দুর্বল ফিল্ডিংকে দায়ী করছেন। ব্যাট হাতে লোকেশ রাহুল বা বিরাট কোহলির ধীরগতির ইনিংস নিয়েও সমালোচনা হচ্ছে। সমালোচিত হন অধিনায়ক রোহিত শর্মাও।

পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার ম্যাচে হারের জন্য দায়ী ৫ ক্রিকেটারকে। অধিনায়ক রোহিত শর্মা কেন অশ্বিনকে খেললেন না সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। পত্রিকাটি তার বরখাস্তের পদ্ধতিরও সমালোচনা করেছে। কাঠগড়ায় তুলেছে লোকেশ রাহুল আর শ্রেয়াশ আইয়ারকেও। রাহুল একটি ধীরগতির ইনিংস খেলেন এবং আইয়ার ফাইনালে অল্পতেই আউট হন।

এনডিটিভিও তাদের প্রতিবেদনে ক্যাপ্টেন রোহিতকে কিছু দোষ দিয়েছে। ওয়ানডেতে ধারাবাহিক ব্যর্থতার পরও কেন সূর্যকুমার যাদবকে সমর্থন করা হচ্ছে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নতুন বলে মোহাম্মদ সিরাজ ও মহম্মদ শামিকে অন্তর্ভুক্ত করার সমালোচনাও করেন তিনি।

আবার অনেক গণমাধ্যম এসব সমালোচনাকে পাত্তা না দিয়ে একাই তাদের প্রতিবেদন দিয়ে কাজ সম্পন্ন করেছে। গোটা দেশের নীরবতা যেন ভারতের অন্য কোনো মিডিয়াকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। কিছু প্রভাবশালী সংবাদপত্রে কোনো ম্যাচের সম্পূর্ণ বিশ্লেষণ ছিল না।

তবে টাইমস অব ইন্ডিয়া তাদের প্রতিবেদনে আউজি ক্রিকেটারদের সাফল্যের কথা প্রকাশ করেছে। ট্রাভিস হেডের দুর্দান্ত ইনিংস। অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডার ও বোলারদের সাফল্য তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রাধান্য পেয়েছে। পুরো লেখা জুড়ে ভারতের গল্প ঝাপসা ছিল। শুধুমাত্র বিরাট কোহলি ও রাহুলের স্লো মিডল ওভার নিয়ে ভারতের প্রধান সংবাদপত্রে আলোচনা হয়েছিল।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে