ঢাকা, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

ভক্তদের কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন জনপ্রিয় রবীন্দ্রসংগীত

বিনোদন ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৩ জুন ০৮ ২১:৪২:৫৮
ভক্তদের কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন জনপ্রিয় রবীন্দ্রসংগীত

বিনোদন জগতের এই জনপ্রিয় এই গায়িকার জন্ম অধুনা বাংলাদেশের ময়মনসিংহে।। তবে বাংলাদেশে জন্ম হলেও তার বেড়ে উঠা এবং সংগীতশিক্ষার শুরু কলকাতায়। তার বাবা প্রফুল্ল কৃষ্ণ ঘোষ একাধারে সংগীতজ্ঞ, অন্যধারে কবি।

ভারতের জনপ্রিয় গনমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবর, গায়িকা বনানী ছোট থেকে গানের জগতে ছিলেন। মাত্র চার বছর বয়সে শাস্ত্রীয় সংগীতের তালিম নেয়া শুরু করেন। এরপর শান্তিনিকেতনে কণিকা ব্যানার্জির কাছে রবীন্দ্রসংগীত শেখেন। কণিকার সঙ্গে অদ্ভূত মিল ছিল বনানীর কণ্ঠের।

এ সংগীতশিল্পী কাছের মানুষদের কাছে ‘রুবি’ নামেই পরিচিত ছিলেন। অনেক সময়ই দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করতেন এই শুরু-শিষ্য জুটি। এ কথা গায়িকা বনানী নিজেও বলেছিলেন এক সাক্ষাৎকারে। বলেছিলেন, যার কাছে এত একান্তে বসে দিনের পর দিন গান শিখেছি, তার প্রভাব কি আমার মধ্যে ছিটেফোঁটাও পড়বে না? সেটা কিন্তু স্বেচ্ছাকৃত নয়, আবার নকল করার উদ্দেশ্যেও নয়—এটা তাকে কাছে পাওয়ার ফলশ্রুতি।

বনানী পড়ালেখা করেছেন ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর ১৯৭০ সালে কণিকা ব্যানার্জির হাত ধরে রবীন্দ্রসংগীতে অভিষেক করেন। কণিকাই তাকে আকাশবাণীর জন্য অডিশন দিতে নিয়ে গিয়েছিলেন। রেডিওর প্রথম অনুষ্ঠানের গান ‘বিমল আনন্দে’ এবং ‘তোমার দুয়ার খোলার ধ্বনি’-ও নির্বাচন করে দিয়েছিলেন।

বনানীর কণ্ঠে জনপ্রিয় রবীন্দ্রসংগীতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘এখনো তারে চোখে দেখিনি’, ‘সখী ওই বুঝি বাঁশি বাজে’, ‘আরও আঘাত সইবে আমার’, ‘অন্তর মম বিকশিত করো’, ‘বসন্ত প্রভাতে এক মালতীর ফুল’, ‘তোমার কথা হেথা কেহ তো বলে না’, ‘আমি হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল’ ইত্যাদি।

এ গায়িকা এক সময় ভারত ছেড়ে চলে যান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায়। সেখানে দীর্ঘদিন থেকেছেন। সেখানেও রবীন্দ্রসংগীতের চর্চা করেছেন তিনি। তার সংগীত প্রতিষ্ঠান ‘অন্তরা’য় অসংখ্য শিক্ষার্থী গান শিখেছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিকে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য দেশের বাইরে রবীন্দ্র মেলারও আয়োজন করেছেন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে