জুমার দিন যাদের নামাজ কোনো কাজে আসে না

জুমার দিনের শ্রেষ্ঠ আদব হলো- আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সুন্দরভাবে নিঃশব্দে মসজিদে গিয়ে যেখানে জায়গা থাকবে সেখানে অবস্থান নেয়া, সময় থাকলে সুন্নাত নামাজ পড়া এবং কাউকে কষ্ট না দিয়ে, কারো ঘাড় টপকে সামনে না গিয়ে চুপচাপ ইমামের খুতবা শোনা এবং নামাজ পড়া। তবে যারা এর ব্যতিক্রম করবে, তাদের নামাজ হবে অর্থহীন। হাদিসে পাকের একাধিক বর্ণনায়ও তা ওঠে এসেছে।
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন রাসুলুল্লাহ ( সা.) বলেছেন, জুমার নামাজে সাধারণত তিন ধরনের লোক উপস্থিত হয়। তারা হলো-
>>> এক ধরনের লোক অনর্থক কাজ সহকারে উপস্থিত হয়। (অর্থাৎ খুতবাহর সময় সে অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলে ও অযথা কাজ করে) জুমা থেকে সে তাই পায় (অর্থাৎ তার জুমা বৃথা যায়)।
>>> আর এক ধরনের লোক আছে যারা দোয়া সহকারে উপস্থিত হয়। সে আল্লাহর কাছে কোনো কাঙ্খিত বস্তু প্রার্থনা করে, আল্লাহ তায়ালা ইচ্ছে করলে তাকে তা দান করেন, আর না চাইলে বঞ্চিত রাখেন।
>>> আর এক ধরনের লোক আছে যারা উপস্থিত হয় সন্তর্পণে নীরবতার সঙ্গে (শুধু জুমার নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে) এবং সামনে যাওয়ার জন্য কোনো মুসলমানের ঘাড় টপকায় না, আর কাউকে কোনো ধরনের কষ্টও দেয় না। তার এ কাজ তার এ জুমা থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত সময়ের সব (সগিরাহ) গুনাহের কাফফারা হয়ে যায় এবং আরো অতিরিক্ত তিনদিনের জন্য। এটা এ জন্য যে, আল্লাহ তায়ালা বলেন, যে ব্যক্তি একটি ভালো কাজ করে তার জন্য তার দশগুণ বিনিময় রয়েছে।’ (আবু দাউদ, মিশকাত)
শুধু তাই নয়, এমন অনেক মুসল্লি আছে, যারা মসজিদে আসে, ইমামের খুতবার সময় কথাবার্তা বলে। মানুষের কাঁধ টপপে সামনে এগুতে থাকে। তারাও জুমা থেকে ফায়েদা নিতে পারে না। হাদিসে পাকে প্রিয় নবি ঘোষণা করেন এভাবে- হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন রাসুলুল্লাহ ( সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন মসজিদে কথাবার্তা বলে, অথচ ইমাম সে সময় খুতবাহ দিচ্ছে- এ ব্যক্তি গাধার মতো, যে শুধু বোঝা টানে (অথচ তা থেকে উপকৃত হতে পারে না)। আর যে লোক তাকে ‘চুপ করুন’ তার জন্যও জুমা নেই (অর্থাৎ তার জুমাও হয়নি অথবা জুমার উদ্দেশ্য সফল হয়নি। কারণ সে নিজেও চুপ থাকেনি)।’ (মুসনাদে আহমাদ, মিশকাত)
অথচ মুসলিম উম্মাহর জন্য জুমার দিনটি সপ্তাহের সবচেয়ে খুশির দিন, আনন্দের দিন। এ দিনটি বান্দার বিশেষ ইবাদতের দিন। এ সম্পর্কে প্রিয় নবি কোনো এক জুমার দিন ঘোষণা দেন- ‘হে মুসলিম সম্প্রদায়! এটি এমন একটি দিন, একে আল্লাহ তায়ালা খুশির দিন হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। সুতরাং তোমরা এ দিনে গোসল কর, সুগন্ধি ব্যবহার করলে তার কোনো ক্ষতি হবে না এবং মেসওয়াক করাকে আবশ্যক মনে কর।’ (ইবনে মাজাহ, মিশকাত)
সুতরাং মুমিন মুসলমানে উচিত, জুমার দিন নামাজ পড়তে গিয়ে যথাযথ হক আদায় করে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নিশ্চুপ থাকা, ইমামের খুতবা শোনা এবং জুমার নামাজ পড়া।
ধর্ম - এর সব খবর
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- আ.লীগকে ৭৫% মানুষ সমর্থন করছে জাতিসংঘের জরিপ, জানা গেল সত্যতা
- নির্বাচনী আসন ভাগাভাগি করলো এনসিপির প্রার্থীরা
- মেহেদী হাসান মিরাজের নতুন নাম দিল আইসিসি
- মাগুরার আছিয়ার বোনের বক্তব্য: শোনেন আসল সত্যিটা (ভিডিওসহ)
- নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে ৩ ক্রিকেটার
- বিনিয়োগকারীদের মাঝে আতঙ্ক, জরুরি পদক্ষেপ নিলেন ডিএসই চেয়ারম্যান
- শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- শান্ত বাদ, তবে নতুন অধিনায়ক মিরাজ নয়
- স্বাস্থ্য খাতে বড় সংস্কার: ২৬ মেডিকেল কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত
- আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা সরাসরি জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
- দুই আসন থেকে নির্বাচন করবেন নাহিদ ইসলাম
- বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- আজ বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- আজ সামান্য বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে ৩ ক্রিকেটার