ঢাকা, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

জুমার দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আমল, জেনেনিন

২০২১ জানুয়ারি ২২ ১২:২১:৪৭
জুমার দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আমল, জেনেনিন

সেই নামাজকে ‘জুমার নামাজ’ বলা হয়।হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, জুমার দিন এবং রমজানের মধ্যবর্তী সময়ে যে গোনাহ হয়ে থাকে তা পরবর্তী নামাজ, জুমার এবং রমজান (পালনে) সে সব মধ্যবর্তী গোনাহসমূহের কাফফারা হয়ে থাকে। যদি কবিরা গোনাহ থেকে বেঁচে থাকে।’ (মুসলিম, তিরিমজি)

উল্লেখিত হাদিসেরর আলোকে বুঝা যায় যে, কোনো ব্যক্তি যদি ফজরের নামাজ পড়ার পর পরদিন ফজরের নামাজ আদায় করে তবে এ সময়ে মধ্যে করা সব গোনাহ আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করে দিবেন। অনুরূপভাবে এক জুমার থেকে অপর জুমা এবং এক রমজানের রোজা আদায়ের পর থেকে পরবর্তী রমজানের রোজা আদায় করে তবে ওই ব্যক্তির দ্বারা সংঘটিত পূর্ণ এক বছরের সব গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে।

জুমার দিন মুসলিম উম্মাহর জন্য রয়েছে ফজিলতপূর্ণ অনেক আমল। এগুলো মধ্যে তিনটি আমল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর তাহলো-

জুমার দিনে ‘সূরা কাহফ’ তেলাওয়াত করা। পবিত্র কোরআনুল কারিমের ১৫তম পারার ১৮নং সূরা এটি। যদি কেউ সম্পূর্ণ সূরাটি তেলাওয়াত করতে না পারে, তবে সে যেন এ সূরার প্রথম এবং শেষ ১০ আয়াত তেলাওয়াত করে।

ফজিলত> যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহফ পাঠ করবে তার জন্য এক জুমা থেকে অপর জুমা পর্যন্ত নূর হবে।

> যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে, সে আটদিন পর্যন্ত সর্বপ্রকার ফেতনা থেকে মুক্ত থাকবে। যদি দাজ্জাল বের হয় তবে সে দাজ্জালের ফেতনা থেকেও মুক্ত থাকবে।

> এক জুমা থেকে অপর জুমা পর্যন্ত তার সব কবিরা গোনাহ মাফ হয়ে যাবে।

> জুমার দিনে বেশি বেশি দরূদ পাঠ করা উত্তম ও ফজিলতপূর্ণ। যদি কোনো ব্যক্তি একবার দরূদ পড়ে তবে তার জন্য ১০টি রহমত নাজিল হয়।

আর যে ব্যক্তি জুমার দিন আসরের নামাজের পর ৮০ বার এ দরূদ পড়বে, তার ৮০ বছরের গোনাহ্ মাফ হবে এবং ৮০ বছর ইবাদতের সওয়াব তার আমলনামায় লেখা হবে। আর এই দরূদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দরূদ হচ্ছে ‘দরূদে ইবরাহিম’, যা নামাজে পড়া হয়।

> জুমার দিন দোয়া কবুলের কিছু সময় বা মুহূর্ত রয়েছে, সে সময়গুলোতে বেশি বেশি দোয়া ও ইসতেগফার করা।

বিশেষ করেজুমার দিন ও জুমার নামাজ আদায় মুসলিম উম্মাহর জন্য অনেক গুরুত্ব ও ফজিলতপূর্ণ দিন। এ দিনের প্রতিটি আমলই গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণেই প্রিয় নবী (সা.) জুমার নামাজ পরিত্যাগ করার ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছেন।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি অলসতাবশত তিনটি জুমা ছেড়ে দেবে, আল্লাহ তায়ালা তার হৃদয়ে মোহর মেরে দেন।’ (মুসলিম, তিরমিজি, নাসাঈ, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, মুয়াত্তা মালেক)

আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে জুমার নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে