ঢাকা, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১

নিজেকে ‘ইমাম মাহদি’ দাবি করে পবিত্র কাবা আক্রমণ, তৎপর যা ঘটল

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ মে ০৯ ২১:২০:১৩
নিজেকে ‘ইমাম মাহদি’ দাবি করে পবিত্র কাবা আক্রমণ, তৎপর যা ঘটল

প্রায় দুই সপ্তাহ সে কাবা অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। ঘটনাটি ঘ’টেছিল আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে। ১৯৭৯ সালের ২০ নভেম্বর। ১৪০০ হিজরির প্রথম দিন, অর্থাৎ মুহাররম মাসের ১ তারিখ ভোরবেলা। ফজরের নামাজের প্রস্তু’তি চলছে মক্কার মসজিদুল হারা’ম তথা পবিত্র ক্বাবায়। নামাজের ইমামতি করবেন ইমাম মুহাম্মাদ আল-সুবাইল। হজের মৌসুম নয়, তবুও নামাজের জন্য অপে’ক্ষা করছেন প্রায় ১০ হাজার মুসল্লি। কাবাঘরকে কেন্দ্র করে বৃ’ত্তাকারে বসে আছেন সবাই।

ঠিক এমন সময় কাবা চত্বরে শোনা গেল মুহুর্মুহু গু’লির আ’ওয়াজ। হ’তচ’কি’ত হয়ে পড়ে মুসল্লিরা। কী হচ্ছে – কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ইমামের মাইক্রোফোন নিয়ে এক ব্যক্তি বিকট কণ্ঠে ব’ক্তৃতা শুরু করল। সৌদি সরকারের (তৎকালীন) দু’র্নীতি এবং একনা’য়কত’ন্ত্রের ব্যাপারে বি’ষোদ্গা’র করা হলো কিছুক্ষণ। এরপর কিছু হাদিস আর ভবিষ্যদ্বাণী শুনিয়ে তার পাশে দাঁ’ড়ানো এক ব্যক্তিকে ‘ইমাম মাহদি’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিলো। আর বলল, সবাইকে এখন তার হাতে বায়আত হতে হবে।

কী ঘ’টছে কিছুই বুঝতে পারছিল না কেউই। এরই মধ্যে মুসল্লিরা দেখতে পেল, কাবা চত্বরের চারপাশে অ’স্ত্র হাতে দাঁ’ড়িয়ে গেছে শত শত (প্রায় ৪০০) স’শ’স্ত্র ব্যক্তি। তারা মসজিদে হারা’ম থেকে কাউকে বে’রোতে বা ঢু’কতে দিচ্ছে না। মসজিদের সকল গেট ব’ন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মসজিদের নি’রাপ’ত্তার দায়িত্বে ছিল অল্প কিছু সংখ্যক পুলিশ। হা’রামের পবিত্রতা র’ক্ষায় তাদের কাছে কোনো আ’গ্নেয়া’স্ত্র ছিল না। ফলে দুজন পুলিশকে মসজিদেই হ’ত্যা করে স’শ’স্ত্র ব্যক্তিরা। আর কিছু’ক্ষ’ণের মধ্যেই পুরো মসজিদ অ’বরুদ্ধ করে ফেলে স’ন্ত্রাসী’রা।

কাবা প্রাঙ্গ’ণে অর্থাৎ মসজিদে হা’রামের মধ্যে এই সন্ত্রা’সী ঘ’টনার মূল হো’তা ছিল জুহাইমান আল-ওতাইবি, সৌদি আরবের নজদের প্র’ভাবশা’লী পরিবারের সদস্য। আর যাকে ইমাম মাহদি হিসেবে ঘো’ষণা করা হয়েছিল, সে জুহাইমানের নিজেরই শ্যালক মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আল-কাহতানি। জুহাইমানের সাথে কা’হতা’নির দেখা হয় জে’লে ব’ন্দী থাকা অবস্থায়। জুহাইমান তাকে সেখানে বলল, ‘আল্লাহ্‌ তো আমাকে স্বপ্নে দেখিয়েছেন যে, তুমি হলে মাহদি।’ এরপর শুরু হয় ব্রে’ইনও’য়াশ করা। এক পর্যায়ে কা’হতা’নি নিজেই বিশ্বাস করা শুরু করে যে, সে নিজেই মাহদি।

জুহাইমানের স’ঙ্গে সৌদি রাজপরিবারের বং’শগ’ত শ’ত্রুতা ছিল বেশ পু’রোনো। বিংশ শতকের শুরুর দিকে আল-সৌদ পরিবার যখন হেজাজ দখ’ল করে নেয়, তখন তারা অনেক প্র’ভাবশা’লী পরিবারকে দ’মন করে নিজেদের শা’সনক্ষ’মতার ভি’ত দাঁ’ড় ক’রায়। সেইসব প্র’ভাবশা’লী পরিবারের মধ্যে জুহাইমানের পরিবারও ছিল। সেই থেকে এ পরিবার সবসময় সৌদ পরিবারকে যে কোনোভাবে ক্ষ’মতাচ্যু’ত করার স্বপ্ন দেখে আসছে। জুহাইমান ছিল সেই স্বপ্নেরই ন’ষ্টভ্রু’ণ।

এর আগে ছোটখাটো স’ন্ত্রা’সী ক’র্মকা’ণ্ড ও সরকারবি’রোধী কার্য’ক্রমের জন্য জুহাইমানকে ১৯৭৮ একবার গ্রে’ফতার করা হয়েছিল। সেই গ্রেফ’তারকা’লীনই তার সঙ্গে দেখা হয় আল-কাহ’তানির। এরপর দুজনের বন্ধুত্ব হয় এবং আল-কাহ’তানির বোনকে বিয়ে করার মাধ্যমে বন্ধুত্ব আত্মীয়তায় রূপ নেয়। তারা তাদের গো’পন ক’র্মকা’ণ্ড শুরু করার পর বুঝতে পারে, একা একা এভাবে কাজ হবে না। তাই তারা যোগদান করে মদিনার একটি স্থানীয় সালাফি গ্রুপে, যার নাম ছিল ‘আল-জামা আল-সালাফিয়্যা আল-মুহতাসিবা’। সেই সালাফি গ্রু’পের নেতৃত্বে ছিলেন প্র’খ্যাত শাইখ এবং শিক্ষক আব্দুল আজিজ বিন বাজ, সৌদির ফতোয়া কমিটির প্রধান। অবশ্য জুহাইমানের আসল উদ্দেশ্য নিয়ে তাদের কোনো ধারণাই ছিল না।

এই সালাফি গ্রু’প থেকে জুহাইমান নিজের উ’গ্র ম’তানুসা’রী ব্যক্তিদের বা’ছাই করতে থাকে। একইস’ঙ্গে চলতে থাকে কাবা আ’ক্রমণের প্রস্তু’তি। সে নিজের পরিবার ছাড়াও অনেক ধনী মানুষের কাছ থেকে অনু’দান পায়। ফলে অ’স্ত্রশ’স্ত্র কিনতে তাকে খুব একটা বে’গ পে’তে হয়নি। তাছাড়া এই গ্রু’পটি খুবই স’শ’স্ত্র আর প্রশি’ক্ষিত ছিল। জুহাইমান নিজেই ছিল প্রা’ক্তন সেনা সদস্য। পরিক’ল্পনা অনুযায়ী, তারা প্রচুর অ’স্ত্র, গু’লি, গ্যা’স মা’স্ক আর খাবার-দাবার নিয়ে জ’মিয়ে রাখে হিজরি নতুন বছরের এক সপ্তাহ আগে থেকে। এসব অ’স্ত্র ও সর’ঞ্জামাদি লু’কিয়ে রাখা হয়েছিল মসজিদের নিচের শত শত ছোট্ট কক্ষে, লা’শের খাটিয়ায় করে এগুলো নিয়ে আসা হয় বলে বর্ণিত আছে।

অবশেষে ১৪০০ হিজরির প্রথম দিন (১৯৭৯ সালের ২০ নভেম্বর) তারা মসজিদে হা’রামে ঢু’কে পুরো মসজিদ অবরো’ধ করে এবং মসজিদে সমবেত সকলকে নির্দেশ দেয় মুহাম্মদ আল-কা’হতা’নির হাতে বায়আন গ্রহণের।

বলা হলো, এই লোকের নাম মুহাম্মাদ, বাবার নাম আব্দুল্লাহ, ঠিক যেমনটা রাসুল মুহাম্মাদ (স)-এর ছিল। আরও বলা হলো, তিনি মক্কার উত্তর থেকে এসেছেন। আর দিনটি ছিল, হিজরি ১৪০০ সালের প্রথম দিন! জুহাইমান দাবি করল, ইনিই সেই কা’ঙ্ক্ষি’ত ইমাম মাহদি। আপনারা সবাই তার হাতে বায়আত গ্র’হণ করুন।

এখানে জুহাইমান ছোট একটা ভু’ল করে বস’লো। আর সেটা হলো- ভবিষ্যদ্বা’ণী অনুযায়ী, নে’তৃত্ব নিতে ইমাম মাহদি-এর নিজের রাজি হবার কথা নয়, কিন্তু এক্ষে’ত্রে সে নিজেই রাজি এবং লোকদের বা’ধ্য করা হচ্ছে তার আনুগ’ত্য করতে।

অ’বরু’দ্ধ কাবা: সে সময় মসজিদে হা’রাম সম্প্র’সার’ণের কাজ চলছিল। এ কাজ করছিল সবার পরিচিত বিন লাদেন কনস্ট্রাকশন গ্রু’প। তাদেরই এক কর্মক’র্তা সর্বপ্রথম এই কা’হিনি দেখে ফোন করে বাইরে জানিয়ে দেয় সেখানে কী ঘট’ছে তা। ঠিক এর পরই স’ন্ত্রাসী’রা কে’টে দেয় টেলিফোন তার। কিন্তু বিশ্ব জেনে যায় কিছু একটা হচ্ছে মসজিদে হা’রামের ভিতরে।

জুহাইমানের স’ন্ত্রাসী’রা অনেক ব’ন্দীকে ছে’ড়ে দেয় ব’টে, কিন্তু অনেককেই আ’টকে রাখে। মসজিদের উপরে ‘ডিফে’ন্সিভ প’জিশনে’ চলে যা’য় তারা, মিনারে মিনারে ‘স্নাই’পার’ তাক করে রাখে। আর বাকি সবাই আশ্রয় নেয় মাটির নি’চে। বাইরের কেউ জানত না যে, ভেতরে ঠিক কতজন জি’ম্মি। কেউ এটাও জানত না ভিতরে কী হচ্ছে, ক্ষ’য়ক্ষ’তি কেমন! এরা কারা, কী চায়, কী কর’বে? সবাই ছিল পুরোপুরি অ’ন্ধকারে।

এদিকে, সৌদি প্রিন্স ফাহাদ তখন একটা আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিতে তিউনিসিয়াতে ছিলেন। আর ন্যাশনাল গা’র্ডের প্রধান প্রিন্স আব্দুল্লাহ ছিলেন মরক্কোতে। সৌদি বাদশাহ খালিদ তাই এই মিশনের দা’য়িত্ব দেন প্রিন্স সুলতানের উপর, যিনি ছিলেন প্রতির’ক্ষামন্ত্রীর দা’য়ীত্বে। সাথে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স নায়েফ।

মসজিদে হা’রাম পুনরু’দ্ধা’রে তারা পাঠান ১০০ পুলিশ। যেহেতু সন্ত্রা’সী’রা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল, সেহেতু পুলিশকে আসতে দেখেই তারা গু’লিবর্ষ’ণ শুরু করে, ফলে অনেক পুলিশ অকা’তরে প্রা’ণ হা’রায়। পরে সৌদি আ’র্মি আর ন্যাশনাল গা’র্ড যোগদান করে তাদের পুলিশের সঙ্গে। নিজেদের অ’পার’গ’তায় সৌদি সরকার তখন পাকিস্তানি আ’র্মি স্পেশাল ফো’র্সের সাহায্য চায়। তারা আসার পর অ’পারে’শনে যোগ দিয়ে রাতের মধ্যেই পুরো মক্কা খালি করে ফে’লা হয়! শূন্য হয়ে যায় মক্কা নগরী। জানা যায় যে, পাকিস্তান আ’র্মি স্পেশাল ফো’র্সের নেতৃত্বে ছিলেন জেনারেল পারভেজ মুশাররফ, যিনি পরবর্তীতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হন।

কিন্তু উ’দ্ধার অ’ভিযান যতটা সহজ ভাবা হয়েছিল ততটা সহজ ছিল না। প্রথমেই আসে ধর্মীয় বা’ধা। যতটুকু বাইরে খবর গেছে, তা থেকে সৌদির ফতোয়া কমিটি দ্বি’ধাদ্ব’ন্দ্বে ভু’গছিল – এটি কি আসলেই ভবিষ্যদ্বা’ণীর সাথে মিলে যাচ্ছে? নাকি বানো’য়াট? অনেক কিছুই মিলছে, আবার অনেক কিছু মিলছেও না। আবার হা’রাম শরিফ অ’ত্যন্ত পবিত্র স্থান, সেখানে র’ক্তপা’ত ঘটানো নি’ষিদ্ধ। তাহলে সরকারি বাহিনীকে হা’রাম শরিফে র’ক্তপা’তের আদেশ কি দেয়া উচিত হবে?

ফতোয়া কমিটির প্রধান ইবনে বাজ অবাক হন এটা শুনে যে, তারই কিছু ছাত্র এ কাজে স’ম্পৃক্ত! তিনি এজন্য আরো সংশ’য়ে প’ড়ে যান- এসব কী হচ্ছে তা ভেবে। এদিকে, কাবার ইমাম মুহাম্মাদ আল-সুবাইল সাথে সাথেই বুঝ’তে পে’রেছিলেন যে, এরা সন্ত্রা’সী গ্রু’প। তিনি ‘কা’য়দা করে নারীর পোশাক পরে পা’লিয়ে যে’তে সক্ষ’ম হ’ন হারাম শরীফ থেকে। এরপর পুরো ব্যাপারটি তাদেরকে বুঝিয়ে বলেন।

উ’দ্ধার অ’ভি’যান: শেষ পর্যন্ত আ’র্মিকে গো’লাগু’লির অনুম’তি আর নির্দেশ দেয়া হয়। আ’র্মি গেট ভে’ঙে ভে’তরে ঢুক’তে চে’ষ্টা করে, কিন্তু একজন একজন করে মা’রা প’ড়তে থাকে প্রশিক্ষিত স’ন্ত্রা’সীদের স্নাই’পারের গু’লিতে। লা’উডস্পিকারে স’ন্ত্রাসী’রা দাবি জানায়, আমেরিকাকে তেল সাপো’র্ট আর দেয়া যাবে না, বাইরের রাষ্ট্রের আ’র্মি ব’হিষ্কার করতে হবে ইত্যাদি।

এদিকে, কিছুতে কিছু ক’রতে না পেরে, সৌদি সরকার সি’দ্ধান্ত নিলো যে- সন্ত্রা’সীদের ভাতে মা’রবে। কিন্তু বো’ঝা গেল, তারা প্রচুর খেজুর নিয়ে ঢুকে’ছে, আর জমজম কূ’প থাকায় পানিরও সম’স্যা নেই তাদের। বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা যায়, এই স’ন্ত্রাসী হাম’লা প্র’তিহ’ত করতে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত তিন ফ্রেঞ্চ কমা’ন্ডোকে মক্কায় আনা হয়েছিল। কিন্তু যেহেতু নিয়ম অনুযা’য়ী, কোনো অমুসলিম মক্কায় প্রবেশ কর’তে পা’রে না, তাই তাঁরা সাময়িকভাবে ইসলাম গ্রহণ করে। তবে আরেকটি সূত্র অনুযায়ী, তারা কম্পাউন্ডের ভেতরে প্রবেশ করেনি, বরং পাকিস্তানি স্পেশাল ফো’র্স প্রবেশ করেছিল।

উ’দ্ধার অ’ভিযানের শুরুতে কয়েকবার আন্ডা’রগ্রা’উন্ড সুড়’ঙ্গ দিয়ে মিশনের চেষ্টা করা হয়। লু’কিয়ে থাকা জায়গায় গ্রে’নেড মে’রে মে’রে সন্ত্রা’সীদের খোলা জায়গায় আনা হয়। এরপর মসজিদের ভে’তরকার সকল পানির পাইপ খু’লে দেয়া হয় যেন কাবার ভেতরে বন্যার মতো হয়ে যায়। ফলে স’ন্ত্রাসীরা সি’ক্ত অবস্থায় পানিতে দাঁ’ড়িয়ে থাকে। এরপর পুরো পানিকে ‘ইলেক্ট্রিফাই’ করা হয়। বাকিদের টিয়া’র গ্যা’স ছুঁ’ড়ে কা’বু করা হয়।

তবে এত সহজ ছিল না এই উ’দ্ধার অ’ভিযান। টানা দুই সপ্তাহ লেগে যায় এই অ’ভিযানে। অবশেষে বেঁচে থাকা সন্ত্রা’সীরা সবাই আ’ত্মসম’র্পণ করে। আর এই দুই সপ্তাহ হারা’ম শরিফে কেন্দ্রীয় জামাতে কোনো নামাজ হয়’নি, কাবা চত্বর ছিল ফাঁ’কা। এ ঘট’নায় মা’রা যায় ২৫৫ জন, আর আ’হত হয় ৫৬০ জন। সৌদির যৌ’থ বা’হিনী থেকে মা’রা যায় ১২৭ জন। আর আ’হত হয় ৪৫১ জন। নি’হত হয় ত’থাক’থিত ইমাম মাহদিও। জুহাইমান আর তার ৬৭ অনুসারীকে গ্রে’ফতার করা হয়। তাদেরকে পরে মৃ’ত্যুদ’ণ্ড দেয়া হয়।

এ ঘটনার পরেই মূলত বর্তমান সৌদি রাষ্ট্রের আইন এখনকার মতো ক’ঠোর অবস্থায় আসে। রাষ্ট্রীয়ভাবে নানা বি’ধিনি’ষেধ আরো’প করা হয় নাগরিকদের ওপর। আর মৃ’ত্যুর আগে জুহাইমানকে জিজ্ঞেস করা হয়, সে কেন এটা করল। সে বলেছিল, একটি ভবিষ্যদ্বা’ণী সে ফ’লাতে পা’রলে, বাকিগুলোও ঘ’টতে শুরু করবে। এটা ভেবেই সে এই কাজটা করেছিলো।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে