ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১

করোনা ভাইরাসঃ যুক্তরাজ্যে ৭৫ স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে নতুন ওষুধের প্রয়োগ

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ মে ০৫ ১৩:৪৮:৫০
করোনা ভাইরাসঃ যুক্তরাজ্যে ৭৫ স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে নতুন ওষুধের প্রয়োগ

ওষুধটি তৈরি করেছে ব্রিটিশ বায়ো-টেক প্রতিষ্ঠান সিনাইরজেন। ভাইরাল সংক্রমণের শিকার হলে তার বিরুদ্ধে মানবদেহে ‘ইন্টারফেরন বেটা’ নামে এক ধরনের প্রোটিন তৈরি হয়। সিনাইরজেন ওই প্রোটিন ব্যবহার করে ওষুধটি তৈরি করেছে। আগামী জুনের শেষের দিকে এর পরীক্ষার ফল পাওয়া যাবে বলে প্রত্যাশা করছেন গবেষকরা।

এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের কোনো স্বীকৃত কার্যকর চিকিৎসা, টিকা বা ওষুধ নেই। বিশ্বজুড়ে শতাধিক বিজ্ঞানীর দল টিকা ও ওষুধ তৈরির চেষ্টা করছেন। কিছু সম্ভাব্য টিকার মানবদেহে পরীক্ষাও শুরু হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ের আগে কোনো টিকা বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার সম্ভাবনা কম।

সিনাইরজেনের নির্বাহী পরিচালক রিচার্ড মার্সডেন বলেন, ‘ইন্টারফেরন বেটা হচ্ছে যেকোনো ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমাদের শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রথম সারির অংশ। করোনাভাইরাস আমাদের দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে এড়ানোর জন্য এ প্রোটিনটির উৎপাদন বিঘ্নিত করে। সিনাইরজেনের ওষুধটি করোনাভাইরাস আমাদের দেহের যে অংশে অবস্থান করে, ঠিক সেখানে এ ইন্টারফেরন বেটা পৌঁছে দেয়। দেহের ভাইরাস আক্রান্ত অংশে এ প্রোটিন সরাসরি সরবরাহ করায় দুর্বল রোগীদের দেহে শক্তিশালী ভাইরাসবিরোধী ব্যবস্থা তৈরি হয়।’

এরই মধ্যে সিনাইরজেনের ওষুধটি অ্যাজমা ও অন্যান্য জটিল ফুসফুস-সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত রোগীদের দেহে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে বলে জানান রিচার্ড মার্সডেন। তবে কোভিড-১৯ সারাতে এর কার্যকারিতা কঠোর ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার আগে নিশ্চিত হওয়া যাবে না বলেও জানান এ বিজ্ঞানী।

সিনাইরজেনের ওষুধটির পরীক্ষা করোনার সম্ভাব্য টিকা বা ওষুধ খুঁজতে ব্রিটিশ সরকারের নেওয়া এক কর্মসূচির অংশ। করোনার চিকিৎসায় নতুন ওষুধ তৈরির গতি বৃদ্ধির জন্য দি অ্যাকর্ড প্রোগ্রাম হিসেবে পরিচিত ওই কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। কর্মসূচিটির আওতায় সিনাইরজেনের ওষুধটির পাশাপাশি আরো ছয়টি ওষুধ নিয়ে পরীক্ষা চালানো হচ্ছে।

এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে প্রাণ গেছে দুই লাখ ৫২ হাজার ৪০৭ জন মানুষের। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ লাখ ৪৬ হাজার ১৩৮ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৪৯ জন। বিশ্বের করোনাভাইরাসের পরিসংখ্যান জানার ওয়েবসাইট ওয়াল্ডোমিটার এসব তথ্য জানায়।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে