যারা হাত পাততে পারে না, তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলাসহ বেশ কয়েকটি জেলায় সবচেয়ে বেশি করোনায় আক্রান্ত। অন্যান্য জেলায়ও কিছু আছে, কিন্তু ঢাকা এবং এর আশপাশে ভাইরাস কেন এত বেশি হলো ? এটি নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করতে চাই। এ রোগে এ পর্যন্ত যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি আমি। যারা এখন চিকিৎসাধীন, তাঁরাও দ্রুত আরোগ্য লাভ করুক, এটাই আমি চাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘৫০ লাখ মানুষের জন্য রেশন কার্ড করা আছে, যারা ১০ টাকার চাল পায়। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আরো ৫০ লাখ মানুষের রেশন কার্ড করে দেব। আমরা এমনি দিতে গেলে অনেক সময় সমস্যা হয়। সে ধরনের কিছু ঘটনা ঘটার ফলে, এটা স্থগিত করে তালিকা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘আমরা যে অতিরিক্ত ৫০ লাখ রেশন কার্ড দেব, সেখানে আমাদের সামাজিক সুরক্ষা যাঁরা পাচ্ছেন এবং ইতিমধ্যে যাঁদের রেশন কার্ড আছে, তাঁদের বাদ দিয়ে করতে হবে। যাঁদের সত্যিকারের প্রয়োজন, তাঁদের নামটা যেন তালিকায় থাকে।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, পুলিশ, কোস্টগার্ড যে যেখানে আছে, প্রত্যেকে কিন্তু অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসক ও নার্সরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ করোনাভাইরাস এমন একটা জিনিস, সারা বিশ্বে এ ধরনের ঘটনা আর কখনো দেখা যায়নি। সারা বিশ্বে ২৫০ কোটি মানুষ ঘরবন্দি। এটি একটি অদৃশ্য শক্তি, যা চোখে দেখা যায় না। এর প্রভাবে সারা বিশ্ব একটা জায়গায় চলে এসেছে। সারা বিশ্বের অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা হবে। এভাবে চিন্তা করে আমরা ইতিমধ্যে ৯২ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ তৈরি করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী জানান, করোনাভাইরাসের কারণে দেশে কোনোরকম মন্দা এলে যাতে মোকাবিলা করা যায়, সে পরিকল্পনা বর্তমান সরকার নিচ্ছে। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। জাতিসংঘ থেকে শুরু করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা বলছে বিশ্বজুড়ে প্রচণ্ড অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেবে। এমনকি দুর্ভিক্ষও দেখা দিতে পারে।
‘সেক্ষেত্রে আমাদের করণীয় আছে। মন্দা হলে আমরা কীভাবে দেশকে রক্ষা করবো- এ কথা চিন্তা করে আমরা প্রায় ৯২ হাজার কোটি টাকা, বলতে গেলে প্রায় এক লাখ কোটি টাকার প্রণোদন প্যাকেজ তৈরি করেছি এবং বাস্তবায়ন শুরু করেছি। শুধু এখনকার জন্যেই নয়, আগামী তিন অর্থবছরে আমরা কীভাবে দেশের মানুষকে অর্থনেতিক মন্দা থেকে রক্ষা করব সেই পরিকল্পনাও আমরা নিচ্ছি। আমরা আগাম কিছু কর্মসূচিও নিচ্ছি,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত জেলাসমূহের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন শেখ হাসিনা।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কাজ করতে হবে, কাজ ছাড়া তো হবে না। যে কাজগুলো করতে লোকের সঙ্গ প্রয়োজন হয় না, দূরে থেকে করা যায়, সেগুলো করা যাবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিল্প-কলকারখানা, ওষুধ শিল্প বা অন্যান্য শিল্প— এগুলো তারা আলোচনার মাধ্যমে চালাতে পারেন। কিন্তু সেখানে যারা কাজ করবেন, তাঁদের সুরক্ষার ব্যবস্থা নিতে হবে।’
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে আসছে পরিবর্তন, বাদ পড়ছেন যে ক্রিকেটার
- সৌদি রিয়াল রেটের লম্বা লাফ, জেনেনিন আজকের রেট কত
- সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশাল সুখবর, আসলো নতুন ঘোষণা
- সমন্বয়ক সারজিস আলমের পরিবারে শোকের ছায়া
- বিপিএল-এ ফিক্সিং নিয়ে আলোচনা: সন্দেহভাজন ১০ ক্রিকেটারের তালিকা প্রকাশ
- এক ম্যাচের জন্য যত টাকা নিলেন রাসেল-জেমস ভিন্স-টিম ডেভিড
- ব্রেকিং নিউজ: নিষিদ্ধ হলেন তানজিম সাকিব
- এক পরিবর্তন নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য বাংলাদেশের স্কোয়াড ঘোষণা, দেখেনিন কপাল পুড়লো যার
- বিপিএলের ৮ ম্যাচে ফিক্সিং সন্দেহ, ফিক্সিংয়ে সন্দেহভাজন ক্রিকেটারদের তালিকা প্রকাশ
- কমতেই আছে সৌদি রিয়াল রেট, জেনেনিন আজকের রেট কত
- ফরচুন বরিশালের একাদশ
- বিপিএল মাতিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে আসছেন দুই জন
- আজকের সকল দেশের টাকার রেট
- বাড়লো আজকের সৌদি রিয়াল রেট
- বিপিএল মাতাতে আসছেন রাসেল, নারিন, ওয়ার্নার, টিম ডেভিড ও পাকিস্তানের আসিফ আলি