ঢাকা, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

আইসোলেশন কক্ষের এ কী হাল

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ এপ্রিল ০৮ ১১:৩৫:৩৯
আইসোলেশন কক্ষের এ কী হাল

ফলাফল আসতে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে। ফলে এই পাঁচ-ছয় ঘণ্টা সময় প্রাথমিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেকে। আইসোলেশন কক্ষে বসার জন্য বেশ কয়েকটা সিটে থাকলেও বেড রয়েছে দুটি। গরম ও যন্ত্রণায় অনেকে বসার সিটে এবং ফ্লোরে শুয়ে পড়ছেন। এর মধ্যে কারও অবস্থা বেগতিক খারাপ হলে কিংবা করোনা পজেটিভ এলে তাকে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

রবিবার জরুরি বিভাগের আইসোলেশন কক্ষে দেখা গেছে, সেখানে বেড রয়েছে মাত্র দুটি। রোগী ছিলেন ১১ জন। এর মধ্যে ৩ জন করোনা পজেটিভ এবং ৮ জনের নেগেটিভ। ২ জন বেডে শুয়ে আছেন। অন্যরা কেউ বসে বা কেউ ফ্লোরে বা বসার সিটে শুয়ে ছিলেন। এসব রোগীর মধ্যে করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ঢামেক হাসপাতাল তৎপর রয়েছে। জরুরি বিভাগে টেমপোরারি আইসোলেশন রুম রয়েছে। সেখানে রয়েছে সাতটি বেডসহ বেশ কয়েকটা বসার সিট। আইসোলেশন কক্ষে সেন্ট্রাল অক্সিজেন, নেবুলাইজারসহ কিছু সামগ্রী রাখা হয়েছে। প্রথমে নিশ্চিত করা হচ্ছে রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা। পরে তার স্যাম্পল কালেকশন করা হচ্ছে। সেটি ঢামেকের বায়োলজি বিভাগে টেস্ট করা হচ্ছে। স্যাম্পল কালেকশনসহ টেস্ট রিপোর্ট পেতে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা লেগে যায়। করোনা পজেটিভ এলে তাকে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’তিনি জানান, বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীর করোনা সন্দেহ হলে তাকে ঢামেক হাসপাতাল-২-এর নিচতলায় ইন্টারনাল আইসোলেশন রুমে রাখা হচ্ছে। সেখানে বেড রয়েছে ১৩টি। এ ছাড়া বসারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এইচডিইউ সাপোর্টেড এই বেডে রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে। করোনা নেগেটিভ এলে তাকে সংশ্লিষ্ট বিভাগে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হচ্ছে। গত তিন-চার দিনে অন্তত ৪০-৪৫ জনকে করোনা সন্দেহে টেস্ট করা হয়েছে। যাদের পজেটিভ এসেছে, সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে তাদের। এ ছাড়া যাদের করোনা নেগেটিভ এসেছে তাদের ঢাকা মেডিকেলেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘জরুরি বিভাগের বেইজমেন্টে ৫০টি বেডের একটি কেমিক্যাল বায়োলজি রেডিয়েশন নিউক্লিয়ার (সিবিআরএন) সেন্টার প্রস্তুত করা হচ্ছে। আগামী শনিবার সিবিআরএন সেন্টার উদ্বোধন করা হতে পারে বলে আশা করছি। এই সেন্টারে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৫০ জনকে একযোগে চিকিৎসাসেবা দেওয়া যাবে। সেখানে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতসহ রোগীদের পর্যবেক্ষণ করা হবে। আমরা সন্দেহভাজন রোগীদের স্যাম্পল কালেকশন করে প্রতিদিন দুই দফায় টেস্ট করছি। করোনা পজেটিভ ও নেগেটিভ ধরা পড়ার পর তাদের আলাদা রাখা হবে। করোনায় আক্রান্ত কিংবা সন্দেহভাজন রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসকরা রাত-দিন চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই।’ সুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে