ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১

২৯ চিকিৎসাকর্মীর দেহে করোনা, হাসপাতাল বন্ধ ঘোষণা

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ এপ্রিল ০৬ ১৫:৫৫:১০
২৯ চিকিৎসাকর্মীর দেহে করোনা, হাসপাতাল বন্ধ ঘোষণা

রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার সময় তারা সংক্রমিত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে হাসপাতালের দরজা। বাইরে থেকে ভেতরে প্রবেশ কিংবা ভেতরে যারা ছিলেন তাদের বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ওকহার্ড হাসপাতাল ও লাগোয়া চত্বরকে সংক্রমিত এলাকা বলে ঘোষণা করেছে ব্রিহানমুম্বাই মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন (বিএমসি)। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়ালের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

মুম্বাইয়ের ওকহার্ড হাসপাতালকরোনার চিকিৎসা প্রদানের জন্য ভারত সরকারের তালিকায় থাকা হাসপাতালগুলোর একটি ওকহার্ড। হাসপাতাল সূত্রকে উদ্ধৃত করে দ্য ওয়াল জানায়, ৭০ বছর বয়সী এক কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর দেখাশোনায় নিয়োজিত দু’জন নার্সের মধ্যে প্রথমে করোনার সংক্রমণ ছড়ায়। তাদের কাছ থেকে সংক্রমিত হন অপর ২৭ জন নার্স ও চিকিৎসক। আক্রান্ত নার্সদের কোয়ার্টার থেকে হাসপাতালে নিয়ে এসে আলাদা কেবিনে রাখা হয়েছে। আক্রান্ত ডাক্তারের মধ্যে একজনের চিকিৎসা চলছে সেভেনহিলসে, অন্যজনের এসএল রাহেজা হাসপাতালে। আরও ২৭০ জন স্বাস্থ্যকর্মীর লালারসের নমুনা পাঠানো হয়েছে ল্যাব-টেস্টের জন্য।

আপাতত ওকহার্ড হাসপাতালে রোগী ভর্তি বন্ধ রাখা হয়েছে। কোনও রোগী, ডাক্তার-নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীদের হাসপাতালে বাইরে যাওয়ার অনুমতি নেই। যতক্ষণ পর্যন্ত না হাসপাতালের বাকি রোগী ও কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে, হাসপাতালের দরজা বন্ধ রাখা হবে।

ব্রিহানমুম্বাই মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের কর্মকর্তা সুরেশ কাকানি বলেন, ‘খুবই দুঃখজনক ঘটনা। ডাক্তার-নার্সদের আরও সচেতন হওয়া দরকার ছিল।’ অপরদিকে আক্রান্ত নার্স ও ইউনাইটেড নার্স অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য আলাদা কোনও সুরক্ষার ব্যবস্থাই রাখা হয়নি হাসপাতালে। সংক্রমণ ঠেকানোর মতো পোশাক, পিপিই কিছুই ছিল না। প্রথম যখন একজন নার্সের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ে তাকেও বাকিদের থেকে আলাদা রাখা হয়নি। সেই কারণেই বাকি নার্সদের মধ্যে দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, ওপিডি ও অন্যান্য জরুরি পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। হাসপাতালের ভেতর ও বাইরের এলাকা স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে বাইরে ও হাসপাতালের ভেতরে যাতে এখন কেউ ঢুকতে না পারেন তা নিশ্চিত করতে পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। আগরিপাড়া থানার কর্মকর্তা সাভালাম আগাওয়ানে জানিয়েছেন, হাসপাতালের ক্যান্টিন খোলা রাখা হয়েছে। রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের খাবারের কোনও অভাব নেই। তবে তাঁরা যাতে হাসপাতালের বাইরে যেতে না পারেন, সে দিকে নজর রাখা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সোমবার (৬ এপ্রিল) সকাল নাগাদ ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে চার হাজার ২৮৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ১১৭ জনের। আর চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩২৮ জন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে