গুদাম থেকে ৫৪৯ বস্তা সরকারি চাল জব্দ

মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ শরিফী বলেন, বিজয়রামপুরে একটি রাইস মিলে ট্রাক থেকে সরকারি চাল আনলোড করা হচ্ছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালাই। প্রাথমিকভাবে ৫৫৫ বস্তা চালের তথ্য ছিল। পরে ওই ট্রাক ও চাতাল থেকে ৫৪৯ বস্তা চাল জব্দ করা হয়। বস্তায় খাদ্য অধিদপ্তরের সিল মারা রয়েছে। তবে এ চাল জেনারেল রিলিফের না কাবিখা'র তা তদন্ত শেষ না হলে বলা সম্ভব নয়।
মণিরামপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান বলেন, আমরা চালভর্তি ট্রাকসহ রাইস মিলের মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে হেফাজতে নিয়েছি। তিনি চালের বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। ফলে এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
রাইস মিলের মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তারা তিনজন চাতাল ব্যবসায়ী ৩০ টাকা দরে ৩৭ মেট্রিক টন চাল খাদ্য গুদাম থেকে কিনেছেন। আজ তিনি ১৬ মেট্রিক টন (৫৫৫ বস্তা) চাল ট্রাকে নিয়ে গোডাউনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ওইসময় সেগুলো জব্দ করা হয়েছে।
মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানম বলেন, বিকেলে খবর পাই, বিজয়রামপুরে মামুনের চাতালে ইউএনও এবং পুলিশ অভিযান চালাচ্ছেন। সেখান থেকে সরকারি চাল জব্দ করা হচ্ছে। এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে শুনতে পাই, মামুনসহ কয়েকজন সরকারি এই চাল কিনে গুদামজাত করছিলেন। এরপর প্রশাসনের লোকজন এসে তা জব্দ করেছেন।
তিনি বলেন, সরকারি এই চাল বিক্রির সাথে স্থানীয় ব্যবসায়ী, খাদ্য কর্মকর্তা এবং কতিপয় জনপ্রতিনিধির সম্পৃক্ততা রয়েছে। তদন্ত করা হলে সবার মুখোস উন্মোচিত হবে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মামুন হোসেন খান জানান, গতকাল কিছু ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের নামে কাবিখা'র ডিও ইস্যু করা হয়েছে। ওইসব ডিওতে চালের পরিমাণ ছিল ৩৭ দশমিক ৮০০ মেট্রিক টন। তবে কাদের নামে ডিও ছিল তা গুদাম ইনচার্জ ভালো বলতে পারবেন।
মণিরামপুর খাদ্যগুদামের ইনচার্জ মোহাম্মাদ মনিরুজ্জামান জানান, গুদাম থেকে সরকারি চাল বিক্রি করার কোনো সুযোগ নেই। প্রকল্প কর্মকর্তার উপস্থিতিতে গত দু'দিন ধরে কাবিখা ডিও'র ৩৭ দশমিক ৮০০ মেট্রিক টন চাল গুদাম থেকে ছাড় দেয়া হয়েছে। আজ ওই ডিও'র সর্বশেষ ১৬ মেট্রিক টন চাল গুদাম থেকে বের হয়েছে। জব্দকৃত চাল সেগুলো হলেও হতে পারে। একটি ডিওতে অনেকের নাম থাকে ফলে কাদের বরাদ্দকৃত চাল কালোবাজারে বিক্রি হয়েছে এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ভালো বলতে পারবেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এসএম আবু আব্দুল্লাহ বায়েজিদ জানান, রাস্তা সংস্কারের জন্য চেয়ারম্যানদের অনুকূলে ডিও বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। নিয়মানুযায়ী কাজ শেষে শ্রমিকদের চাল দেবার কথা। এ চাল বাজারে বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। তবে কাদের অনুকূলে চাল বরাদ্দ হয়েছিল তা কাগজপত্র না দেখে বলা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।
জাতীয় - এর সব খবর
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- আ.লীগকে ৭৫% মানুষ সমর্থন করছে জাতিসংঘের জরিপ, জানা গেল সত্যতা
- নির্বাচনী আসন ভাগাভাগি করলো এনসিপির প্রার্থীরা
- মেহেদী হাসান মিরাজের নতুন নাম দিল আইসিসি
- মাগুরার আছিয়ার বোনের বক্তব্য: শোনেন আসল সত্যিটা (ভিডিওসহ)
- নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে ৩ ক্রিকেটার
- বিনিয়োগকারীদের মাঝে আতঙ্ক, জরুরি পদক্ষেপ নিলেন ডিএসই চেয়ারম্যান
- শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- শান্ত বাদ, তবে নতুন অধিনায়ক মিরাজ নয়
- স্বাস্থ্য খাতে বড় সংস্কার: ২৬ মেডিকেল কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত
- আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা সরাসরি জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
- দুই আসন থেকে নির্বাচন করবেন নাহিদ ইসলাম
- বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- আজ বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- আজ সামান্য বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে ৩ ক্রিকেটার