ঢাকা, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

রাস্তায় ক্ষুধার্ত শিশুর আর্তনাদ ‘মা, ভাত খামু কহন’

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ এপ্রিল ০৩ ১১:৫৭:০০
রাস্তায় ক্ষুধার্ত শিশুর আর্তনাদ ‘মা, ভাত খামু কহন’

কখন ভাত খেতে পারবে’ বলে তা জানতে চাইছিল। ‘এই তো, এক্ষুণি হয়ে যাবে’ বলে সান্ত্বনা দিচ্ছিল তার মা।

সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। গতকাল বুধবার শেষ বিকেলে সরে জমিন পরিদর্শনকালে রাজধানীর নীলক্ষেত থেকে

কাঁ’টাবনগামী রাস্তা প্রায় জনমানবশূন্য দেখা যায়। মাঝে মাঝে সাইরেন

বাজিয়ে দ্রুত গতিতে ছুটে যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স ও হাতে-গোনা কয়েকটি প্রাইভেট’কার, মোটরসাইকেল ও রিকশা।

রাস্তায় টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী ও পু’লিশের গাড়ি। নীলক্ষেত ঢালের পাশে ফুটপাত সংলগ্ন ফাঁকা রাস্তার বিদ্যুতের

খুঁটির নিচে তিনটি ইট বসিয়ে চুলা বানিয়ে ভাত চড়িয়েছেন হতদরিদ্র শেফালি বেগম। ঢাকা শহরে নিজের ঘর-বাড়ি নেই।

ফুটপাতেই পঙ্গু স্বামী ও পাঁচ বছর বয়সী ছে’লেকে নিয়ে দিন কাটে তার।

স্বাভাবিক সময়ে কাঁ’টাবন মোড়ে কখনও ভিক্ষা করে কখনও লুচনি বিক্রি করে সংসার চালান।

ক’রোনা’ভাইরা’স সংক্র’মণ প্রতিরোধে সরকারি টানা ছুটি ও রাস্তাঘাটে মানুষ না থাকায় আয়-রোজগার নেই।

ফলে গত কয়েক দিন স্বামী সন্তানসহ জমানো কিছু টাকায় চাল ও আলু কিনে খেয়ে না খেয়ে কাটিয়েছেন।

শেফালি বেগম জানান, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত খাওয়ার ক’ষ্ট হলেও আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে খাবার পাচ্ছেন।

সকাল বেলা কারা যেন খিচুড়ির প্যাকেট দিয়ে গেছে। দুপুরে সরকারি দলের লোকজন পরিচয়ে একটি প্যাকেট (চাল, আলু, তেল ও সাবান) দিয়ে গেছে। পোলাডা ভাত খাইতে পছন্দ করে।

সকালে খিচুড়ি খাইলেও পেট ভরেনি। চাল, আলু ও তেল পাইছিলাম, কিন্তু পু’লিশ ফুটপাতে রান্না করতে দেয়নি বলে দুপুরে পোলাডারে কিছুই খাওয়াইতে পারি নাই। তাই বিকেলে দেড় পট চালের ভাত চড়াইছি। ভাতের সাথে শাক ও ঢেঁড়শ ভাজি করে ছে’লেকে খাইতে দিবো।

এ অবস্থা চলতে থাকলে এবং নিয়মিত সাহায্য না পেলে তাদের মতো হতদরিদ্র মানুষকে না খেয়ে ম’রতে হবে বলে জানান শেফালি। শেফালি যখন এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলছিলেন তখন তার ছে’লেটি বার বার এসে জানতে চাইছিল, ‘মা, ভাত খামু কহন?’

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে