ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১

দেশে ফেরা হল আর আন্ড্র কিশোরের

বিনোদন ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ এপ্রিল ০২ ১৩:১৪:৪৭
দেশে ফেরা হল আর আন্ড্র কিশোরের

তথ্য দিয়েছেন এন্ড্রু কিশোরের স্ত্রী লিপিকা এন্ড্রু। লিপিকা এন্ড্রু জানান, প্রথম পর্যায়ের নির্ধারিত সব কেমো দেওয়ার পর পরীক্ষা হলে দেখা যায়, এখনো এন্ড্রু কিশোরের শরীরে ক্যানসারের প্রভাব রয়ে গেছে। এ পর্যায়ে চিকিৎসকেরা তাঁর শরীরে নতুন করে রেডিওথেরাপি শুরু করেছেন। গতকাল দুপুরে শুরু হয়েছে। এপ্রিলের পুরো মাস রেডিওথেরাপি নিতে হবে। মোট ২০টি থেরাপি নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা আবারও পরীক্ষা–নিরীক্ষা করবেন। সে ক্ষেত্রে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে মে মাসে ফিরতে পারেন এন্ড্রু কিশোর।

লিপিকা এন্ড্রু আরও জানান, আপাতত আগের তুলনায় কিছু ভালো আছেন এন্ড্রু কিশোর। হাঁটাচলা করতে পারছেন, স্বাভাবিক খাবার খাচ্ছেন। এন্ড্রু কিশোর বর্তমানে নন-হজকিন লিম্ফোমা নামক ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত। শরীরে নানা ধরনের জটিলতা নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছিলেন। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর তাঁর শরীরে নন-হজকিন লিম্ফোমা ধরা পড়ে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক লিম সুন থাইয়ের অধীনে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। গত সাত মাস একনাগাড়ে তাঁর চিকিৎসা চলে।

এন্ড্রু কিশোরের রোগ ‘নন-হজকিন লিম্ফোমা’ প্রসঙ্গে কথা হয়েছিল দেশের প্রখ্যাত রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মনজুর মোরশেদের সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে জানান, সহজ কথায় নন-হজকিন লিম্ফোমা একটি ক্যানসার, যা শুরু হয় লিম্ফোসাইট নামক সেল বা কোষ থেকে। লিম্ফোসাইট শরীরের রোগ প্রতিরোধ-ব্যবস্থার অংশ। লিম্ফোসাইট থাকে লিম্ফোনোড এবং অন্যান্য লিম্ফোয়েড টিস্যুতে—যেমন প্লীহা ও অস্থিমজ্জায়। এ রোগে জ্বর, রাতে ঘাম দেওয়া, ওজন কমে যাওয়া, খাওয়ায় অরুচি, দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়।

প্রাথমিক অবস্থায় আক্রান্ত রোগীরা মুখের অভ্যন্তরে আলসার বা ঘা, মুখ ফুলে যাওয়া, চোয়াল খোলার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা, মুখের সংক্রমণ, অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা প্রভৃতি উপসর্গ থাকে। এ রোগের চিকিৎসা আছে, তবে সারা পৃথিবীতে এর চিকিৎসা ব্যয়বহুল। সংগীতজীবনের শুরুতে আবদুল আজিজ বাচ্চুর অধীনে প্রাথমিকভাবে সংগীতচর্চা শুরু করেন এন্ড্রু কিশোর। চলচ্চিত্রে তাঁর প্লেব্যাক যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৭ সালে আলম খান সুরারোপিত ‘মেইল ট্রেন’ চলচ্চিত্রের ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তার কেউ’ গানের মধ্য দিয়ে।

তাঁর খুব জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যেখানে’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান’, ‘ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘পড়ে না চোখের পলক’, ‘পদ্মপাতার পানি নয়’, ‘ওগো বিদেশিনী’, ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’, ‘আমি চিরকাল প্রেমের কাঙাল’ প্রভৃতি। বাংলা চলচ্চিত্রের গানে অবদান রাখার জন্য তিনি কয়েকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে