নোয়াখালীতে জ্বরে আক্রান্ত যুবকের মৃত্যু, চিকিৎসক জানাল ভিন্ন কথা

এ ব্যাপারে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অসীম কুমার দাস গণমাধ্যমকে বলেন, পরিবারের তথ্যানুযায়ী ছয়-সাত দিন ধরে ওই যুবক জ্বরে ভুগছিলেন। দু-তিন দিন আগে তিনি এক মেডিসিন বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হন। ওই চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী চিকিৎসা চলছিল। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার বিকেলে যুবকের অবস্থার অবনতি ঘটে। একাধিকবার তার বমি এবং সঙ্গে রক্ত যেতে থাকে। পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ সময় অসীম কুমার দাস আরও বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতির বিবেচনায় তারা বিষয়টি সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে (আইইডিসিআর) জানান। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে। এ ছাড়া ওই যুবকের মরদেহের কাছে কাউকে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পুলিশকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

ওই যুবককে চিকিৎসা দেয়া চিকিৎসক আবদুল আউয়াল জানান, গত মঙ্গলবার ওই যুবককে তার কাছে আনা হয়। তখন তাকে জানানো হয়, তিনি ছয়-সাত দিন ধরে জ্বরে ভুগছেন। তিনি অবস্থা জানার পর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার বমি হচ্ছে এবং সঙ্গে রক্ত যাচ্ছে জানানোর পর তিনি তাকে দ্রুত জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন।

এ ব্যাপারে জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, হাসপাতালে এক যুবককে আনার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সম্ভবত ওই যুবক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

সিভিল সার্জন মো. মোমিনুর রহমান জানান, জ্বরে আক্রান্ত ওই যুবকের মৃত্যুর বিষয়টি আইইডিসিআরকে জানানো হয়। সেখান থেকে যুবকের মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা ঢাকায় পাঠাতে বলা হয়। সে অনুযায়ী আলামত সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হবে।