ঢাকা, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

অবশেষে জানা গেল করোনা থেকে মুক্তি মিলবে যে দিন

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ মার্চ ২২ ১৩:০৩:১৩
অবশেষে জানা গেল করোনা থেকে মুক্তি মিলবে যে দিন

ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এরই মধ্যে দুজন মারা গেছে। সারাবিশ্ব যখন এই ভাইরাস প্রতিরোধে হিমশিম খাচ্ছে ঠিক তখন বাংলাদেশের জ্যোতিষীরা বলছেন, করোনা থেকে আগামী জুনে মুক্তি পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশের জ্যোতিষীদের দাবি, শনি গ্রহ এই মুহূর্তে মকর রাশিতে অবস্থান করছে। মকরে এসে প্লুটোতে (গ্রহ) প্রবেশ করছে। মঙ্গল গ্রহ ২৩ মার্চ আর বৃহস্পতি ৩০ মার্চ মকর রাশিতে প্রবেশ করবে। আর বৃহস্পতি মকর থেকে বের হবে ৩০ জুন। যদিও শনি থাকবে বছর জুড়ে। আর মঙ্গল ক্রমাগত ঘুরতে থাকবে। প্লুটো ৩০ জুন বের হয়ে যাবে মকর (মাটি) রাশি থেকে। তার আগেই করোনা থেকে মুক্তি মিলতে শুরু করবে।

জ্যোতিষীরা বলছেন, প্লুটো যখনই মকর রাশিতে যায় তখনই রাজনৈতিক, সামাজিক অথবা অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিশেষত, ১৯৭০-৭১ সালে প্লুটো গ্রহ মকরে ছিল। আর তখনও রাজনৈতিক অভ্যুত্থান ঘটে। জ্যোতিষীরা এটাও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে পুরো বছর শনি, বৃহস্পতি ও প্লুটো মকরে থাকবে। তখন দেশের রাজনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শনিবার (২১ মার্চ) একাধিক জ্যোতিষীদের সঙ্গে কথা হয় সারাবাংলার এই প্রতিবেদকের। জ্যোতিষী ডা. এন.কে. হালদার সারাবাংলাকে বলেন, ‘এটা একটা গজব। আমরা আগে থেকেই জানি একটি বিপদ আসবে। তবে সেটি যে করোনা তা জানতাম না। দেশের চারিদিকে দুর্নীতি, রাহাজানি। আর এটি তারই একটি প্রতিফলন। আগামী দুই থেকে তিন মাস এটি বাংলাদেশে অবস্থান করবে।‘

জ্যোতিষী রামপ্রসাদ ভট্টাচার্য্য সারাবাংলাকে জানান, বিশ্বে একটি সমস্যা আসবে; তবে সেটি যে করোনা তা জানা ছিল না। এই করোনা আরও প্রায় তিন মাস বাংলাদেশে রাজত্ব করবে।

বিখ্যাত জ্যোতিষী সম্রাট ড. কে.সি. পাল সারাবাংলাকে বলেন, ‘করোনা বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করেছে। তবে বাংলাদেশে তা মহামারি আকার ধারণ করবে না। প্রাণহানি কম হবে। আতঙ্ক বেশি দেখা দেবে। বিশ্বে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত আতঙ্ক থাকবে। এরপর তা কমতে থাকবে।’

বাংলাদেশ জ্যোতিষী সোসাইটির মহাপরিচালক জ্যোতিষী ইকবাল মাহমুদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘করোনার কারণে আমাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতক ক্ষতি হবে। এপ্রিল ও মে মাস জুড়ে করোনা থাকবে। জুন থেকে কমতে শুরু করবে। সাধারণত প্লুটো গ্রহ যখনই মকর রাশিতে যায় তখনই রাজনৈতিক, সামাজিক কিংবা অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই প্লুটো গ্রহটি এখন মকরে মিলিত হচ্ছে আর মকরে গেলেই সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই প্লুটো গ্রহটির শক্তি জুনে কমতে শুরু করবে। ফলে জুনেই করোনা থেকে মুক্তি মিলবে।’

এদিকে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শনিবার আরও একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু হলো। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন চারজন। এতে করে দেশে এখন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ জন।

গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। এ বছরের শুরু থেকেই ওই প্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়তে থাকে। পরে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও। এ পর্যন্ত বিশ্বের ১৮৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস।

তবে করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে ইতালিতে। মৃত্যুর দিক দিয়ে চীন রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। এছাড়া ইরানে তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ইউরোপে ইতালির পর সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে স্পেনে। করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে বিভিন্ন দেশ তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়া ভিসা প্রক্রিয়া বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কয়েকটি দেশ। বাংলাদেশও এরই মধ্যে কয়েকটি দেশের সঙ্গে স্থল ও আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধ করেছে। তথ্য সুত্রঃ সারা বাংলা

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে