ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১

সাধারণ ফ্লু ও করোনার যেসব পার্থক্য

লাইফস্টাইল ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ মার্চ ১৬ ০০:৩৮:০২
সাধারণ ফ্লু ও করোনার যেসব পার্থক্য

তবে সাধারণ ফ্লু ও করোনার উপসর্গে কিছুটা একইরকম হলেও পার্থক্য নিজেই বোকজা সম্ভব। তবে এই দুই ধরনের জ্বরের উপসর্গে এতটাই মিল যে, চিকিৎসকরাও হিমশিম খাচ্ছেন রোগ নির্ণয়ে। অনেক সময়ই দেরি হচ্ছে অসুখ ধরা পড়তে। তাই রোগ নির্ণয়ের সুবিধার জন্যই জেনে রাখা ভালো, এই দুই ধরনের জ্বরের ধরনের মিল এবং অমিলগুলো কী-

সাধারণ ফ্লু-করোনায় মিল রয়েছে যেসব উপসর্গে-

১.দুই ধরণের ফ্লু-ই ভাইরাসবাহিত।

২.দুই রোগই সংক্রমণজনিত।

৩.মানবশরীর থেকেই ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম।

৪.দুই ধরনের ফ্লু-ই সময়মতো সচেতন না হলে বা বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করলে নিউমোনিয়ার দিকে বাঁক নিতে পারে।

সাধারণ ফ্লু-করোনায় অমিল রয়েছে যেসব উপসর্গে-

১.সাধারণ ফ্লু ও করোনা দুই-ই ভাইরাসজনিত অসুখ হলেও দুই রোগের ভাইরাস সমগোত্রীয় নয়। সাধারণ ফ্লু ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের প্রকোপে হয়, আর কোভিড-১৯ হয় করোনা গ্রুপের ভাইরাসের কারণে।

২.করোনাভাইরাস ছড়ায়ও অনেক দ্রুত। তুলনায় ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস ছড়ায় অনেক ধীরে।

৩.সাধারণ ফ্লুর বেলায় ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার ২-৩ দিনের মধ্যে অসুখ দেখা দেয়। করোনাভাইরাসের বেলায় ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার ৭-১৪ দিনের মধ্যে অসুখ দেখা দেয়।

৪.সাধারণ ফ্লুর বেলায় জ্বর ১০৩-১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যেতে পারে, তবে ওষুধের কাজ শুরু হলে তা নামতেও শুরু করে। করোনাভাইরাসের বেলায় জ্বর প্রবল হলেও নামতে চায় না সহজে। ওষুধও কাজ করে না।

৫.সাধারণ ফ্লু বোঝার জন্য কোনো আলাদা করে পরীক্ষার দরকার পড়ে না। কিন্তু করোনাভাইরাস কি না জানতে গেলে পলিমারেস চেন রিঅ্যাকশন বা পিসিআর পরীক্ষা করা হয়।

৬.সাধারণ ফ্লুর জন্য প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন রয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাস রোধে তেমন কোনো ভ্যাকসিনের সন্ধান এখনো পাননি গবেষকরা।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে