ঢাকা, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

করোনা: নির্দেশনা না মেনেই কাজ করছেন আইএনজিও কর্মীরা

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ মার্চ ০৯ ১৫:৩৮:৩৮
করোনা: নির্দেশনা না মেনেই কাজ করছেন আইএনজিও কর্মীরা

বিমানবন্দরে পুলিশের বিশেষ শাখার একটি সূত্রের তালিকায় বাংলাদেশে আসা বিদেশিদের মধ্যে বেশ কয়েকটি আইএনজিও’র নাম পাওয়া গেছে। যাদের বিদেশি কর্মকর্তারা ফেরার সময় শাহাজালাল বিমানবন্দরে কোনো পরীক্ষার সম্মুখীন হননি।

আরেকটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশে ঢুকে যাওয়া এসব বিদেশিরা প্রথম দিন থেকেই শুধু ঢাকায় নয় ঢাকার বাইরেও স্বাভাবিকভাবে কাজে যোগ দিচ্ছেন। দেশে ঢুকতে তারা পর্যটক ভিসা ব্যবহার করেছেন। কিন্তু বাস্তবে তারা আইএনজিওতে চাকুরি করেন।

ভিসা পরিচয় গোপন করে এভাবে কাজ করাদের তালিকায় বড় বড় কয়েকটি নামকরা আন্তর্জাতিক এনজিও নাম পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এদের মধ্যে মেডস্য স্য ফ্রঁতিয়ে (এমএসএফ), অ্যাকশন এইড, অক্সফাম, প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, রিলিফ ইন্টারন্যাশনাল-এর নাম রয়েছে। নাম আসা এসব আইএনজিওদের বেশিরভাগের অফিস গুলশান-বনানী এলাকায়। এসব আন্তর্জাতিক এনজিওদের এসব কর্মীরা কেউই কোয়ারেন্টাইনে নেই।

বাংলাদেশি এনজিও ব্যুরোর দেওয়া তথ্যে দেখা গেছে, দেশে কাজ করছে ২৫৬ টি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। এদের মধ্যে পরিচিত ও বড় পরিসরের কয়েকটি আন্তর্জাতিক এনজিও কর্মীদের দেশ ও দেশের বাইরে যাতায়াতের পরিমাণ বেশি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালক কে এম আবুল কালাম সারাবাংলাকে জানান, ‘আমরা এখন আইএনজিও‍গুলোর বিদেশি যাতায়াত ডিসকারেজ করছি। অপরিহার্য না হলে আসা যাবে না বলছি। এরপরও যদি পর্যটক ভিসায় কেউ এসে ঢুকে আইএনজিওতে কাজ করে সেটা দেখার দায়িত্ব বিভিন্ন এজেন্সির রয়েছে। আমরাও ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘শাহজালাল এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষের উচিত এরকম অপরিহার্য ছাড়া কেউ যদি আসে তাহলে তাকে বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো। এক্ষেত্রে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’

যারা বিদেশি পর্যটক হিসেবে দেশে এসে তাদের এনজিওতে কাজ করছে তাদের বিষয়ে ব্যুরো থেকে কোনো ক্লিয়ারেন্স নেই। সে হিসেবে এখানে তারা যদি কাজ করে সেটি অবৈধ। এগুলো ডিটেক্ট করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন এনজিও ব্যুরো মহাপরিচালক।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, চীন থেকে দেশের বড় বড় প্রজেক্টের শতাধিক কর্মকর্তা করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দেশে এসেছেন। তবে এসব কর্মকর্তাদের সরাসরি প্রজেক্টে নিয়ে যাওয়া এবং কোয়ারেন্টাইন করা সবকিছুই ঢাকার চীনের দূতাবাস কঠোরভাবে মনিটরিং করেছে। এখনও দেশের ভেতরে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন বহু চীনা।

সম্প্রতি পদ্মাসেতু ও পদ্মা রেল লিংক প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং পরামর্শ দিয়েছেন বিমানবন্দর ও বন্দরে স্ক্যানারসহ আরও কড়াকড়ি আরোপের জন্য।

চীনা দূতাবাসের কর্মকর্তারা ওই সময় ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, চীন থেকে নয় বাংলাদেশে করোনা প্রবেশ অন্য দেশ থেকে করতে পারে এমন আশংকাই বেশি। এজন্য সরকারকে সতর্ক হওয়ার অনুরোধ জানান তারা।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে