ঢাকা, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

‘জামিন হলে দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যাবেন খালেদা জিয়া’

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ ফেব্রুয়ারি ১৮ ২০:৪৭:১৮
‘জামিন হলে দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যাবেন খালেদা জিয়া’

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই মামলায় ফের খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন ফাইল করার পর সারাবাংলাকে তিনি এ কথা জানান।

জয়নুল আবেদীন জানান, খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার (অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্ট) প্রয়োজন উল্লেখ করে তাকে বিদেশে, তথা যুক্তরাজ্যে নেওয়ার প্রয়োজন বলে জামিন আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- চ্যারিটেবল মামলায় ফের জামিন আবেদন খালেদা জিয়ার

খালেদা জিয়ার জামিন হবে— এমন প্রত্যাশা জানিয়ে আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, আপনারা জানেন, প্রায় দুই মাস ধরে আমরা অপেক্ষা করেছি। আপিল বিভাগ অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্টের যে আদেশ দিয়েছেন, সরকার তা কতটা তামিল করে সেটা আমরা দেখছি।

তিনি বলেন, ‘আমরা বেগম খালেদা জিয়ার আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে জানতে পারলাম, তার আগের যে অবস্থা ছিল তার থেকে অবনতি হয়েছে। বিশেষ করে তার ডায়াবেটিস এখন ১৪, ১৫-এর নিচে নামছে না। তার ডান হাত বাঁকা ছিল, এখন বাম হাতও বাঁকা হয়ে যাচ্ছে। এখন তিনি বসতেও পারেন না, খেতেও পারেন না— এমন অবস্থা। তাই আমরা সিনিয়র কাউন্সিল এবং আমাদের নীতি নির্ধারণী ফোরাম একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বিষয়টি নিয়ে আবার আমরা কোর্টের কাছে যাব,’— বলেন খালেদা জিয়ার এই আইনজীবী।

তিনি আরও বলেন, আজ (মঙ্গলবার) পিটিশনটি রেডি করে এফিডেভিড করেছি। কাল (বুধবার) আদালতের কাছে যাব, জামিন চাইব।

কোন গ্রাউন্ডে খালেদা জিয়ার জন্য জামিন চাইছেন— জানতে চাইলে জয়নুল আবেদীন বলেন, আমাদের একটাই কারণ, সেটা হলো মানবিক। বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ, তাকে বাঁচানো দরকার। আর দেশের আদালত তো মানুষের জন্য। আমরা আবেদনে লিখেছি, তাকে জামিন দিলে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠাব।

আগামীকাল বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন আবেদনের শুনানির উপস্থাপন করা হবে বলেও তিনি জানান।

জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন গত ১২ ডিসেম্বর খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।

২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর এই মামলার রায় ঘোষণা করেন পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ড. মো. আকতারুজ্জামান। রায়ে খালেদা জিয়া ছাড়া বাকি তিন আসামিকেও সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া আপিল করলে ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল তা শুনানির জন্য গ্রহণ করে অর্থদণ্ড স্থগিত করেন হাইকোর্ট।

পরে গত বছর ৩১ জুলাই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে আবেদন করেন খালেদা জিয়া।

গত ৫ ডিসেম্বর সেই আবেদনের শুনানিকে কেন্দ্র করে আপিল বিভাগে হট্টগোলের ঘটনাও ঘটে।

সুত্রঃ সারাবাংলা

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে