ঢাকা, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১

সহ এক রাতেই ফিরলেন‌ ১৮৩ প্রবাসী

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ ফেব্রুয়ারি ১৪ ২৩:৩০:১৬
সহ এক রাতেই ফিরলেন‌ ১৮৩ প্রবাসী

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এদিকে বুধবার রাত ১১.২০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্স (এসভি-৮০৪) বিমানে ৮৯ জন আর রাত ১.১০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্স (এসভি-৮০৮) বিমানে করে দেশে ফেরেন ৯৪ বাংলাদেশি।

বরাবরের মতো এবারও ফেরত আসাদের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগীতায় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম থেকে জরুরী সহায়তা প্রদান করা হয়।

শুধু যে প্রবীসারা ফেরত আসছেন তাই নয়, গেল রাতে সৌদি আরব থেকে ২ নারীসহ ৫ রেমিটেন্স যোদ্ধার বাক্সবন্দী মরদেহ ফিরেছে দেশে। স্বজনদের আর্তচিৎকার শোনার যেন কেউ নেই। কারন রাত অনেক গভীর। চলতি বছরের এপর্যন্ত এমনি বাক্সবন্দী হয়ে ফিরেছে ৪০৯ রেমিটেন্স যোদ্ধার নিথর দেহ।

সৌদি থেকে যাদের মরদেহ ফিরেছে তাঁরা হলেন- ১. রোখসানা (পিরোজপুর) ২. রিপা (সুনামগঞ্জ) ৩. আলমগীর (ঢাকা) এবং বাকি দু’জনের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। আর মালয়েশিয়া থেকে ফেরত আসা মৃতদেহের মধ্যে রয়েছে বান্দরবানের আইয়ুব আলী, বি.বাড়িয়ার লিটন মিয়া ও টাংগাইলের আব্দুল রহিম।

এদিকে ফেরত আসাদের মধ্যে সাথী বেগম (৩০) নামে একজন এতোটাই অসুস্থ ছিলেন যে বিমানবন্দর থেকে প্রবাসী কল্যান ডেক্সের সহায়তায় উত্তরার একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। তিনি জানান, নিয়োগকর্তা বছর খনেক আগে গৃহকর্মীর কাজের কথা বলে নিয়ে গিয়েছিলেন সৌদি আরবে। সেখানে নিযোগকর্তা কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হন।

সাথীর সাথে একই সমস্যা নিয়ে দেশে ফিরেছেন ঢাকার হিরা খাতুন, বি-বাড়িয়ার আবেদা খাতুন, সুনামগঞ্জের আমিরুন বেগম, মৌলভিবাজারের ফারজানা আক্তারসহ ২০ নারী।

ফেরত আসা পাবনার জেলার শরিফ জানান, মাত্র এক বছর আগে গিয়েছিলেন সৌদি আরবে। সেখানে কাগজপত্র থাকা সত্বেও শুন্য হাতে দেশে ফিরতে হয়।

কিশোরগঞ্জের শাকিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাইরুল ইসলামের গল্পটাও একই কোন কারন ছাড়াই একবছরের মাথায় দেশে ফিরতে হলো তাদের। তাদের সাথে ফিরেছেন পিরোজপুরের শামিম, ময়মনসিংহের আমিন, কুমিল্লার বাবুল ও রশিদসহ ১৮৩ কর্মী।

ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, চলতি বছরের জানুয়ারিতেই সৌদি থেকে দেশে ফিরেছেন ১৭৫ নারীসহ ৩ হাজার ৬৩৫ বাংলাদেশি। আর প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালে মোট ৬৪ হাজার ৬৩৮ কর্মী দেশে ফিরেছেন যাদের পরিচয় ডিপোর্টি।

শরিফুল হাসান বলেন, ফেরত আসা প্রবাসীদের আমরা শুধু বিমানবন্দরে সহায়তা দিয়েই দায়িত্ব শেষ করছি না, তারা যেন ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেজন্য কাউন্সিলিং, দক্ষতা প্রশিক্ষণ ও আর্থিকভাবেও পাশে থাকার চেষ্টা করছি। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা সবাই মিলে কাজটি করতে হবে। পাশাপাশি এভাবে যেন কাউকে শূন্য হাতে ফিরতে না হয় সেজন্য রিক্রুটিং এজেন্সিকে দায়িত্ব নিতে হবে। দূতাবাস ও সরকারকেও বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে হবে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে