ঢাকা, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

উন্নত চিকিৎসা না হলে খালেদা জিয়ার কী হবে জানি না : সেলিমা

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ ফেব্রুয়ারি ১১ ১৯:১৯:৫৪
উন্নত চিকিৎসা না হলে খালেদা জিয়ার কী হবে জানি না : সেলিমা

সেলিমা ইসলাম আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বিছানা থেকে বাথরুম দুই-তিন হাত জায়গা হবে, তা যেতে উনার ২০ মিনিট সময় লাগে। এখানে যে চিকিৎসা হচ্ছে, তাতে তাঁর শারীরিক কোনো উন্নতি হচ্ছে না। আজকেও ফাস্টিং সুগার ১৪-১৫ ছিল।’

আজ মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পরিবারের পাঁচ সদস্য তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে যান। বিএনপির চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বেরিয়ে সাংবাদিকের এসব কথা বলেন সেলিমা ইসলাম।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার বর্ণনা দিয়ে বোন সেলিমা ইসলাম বলেন, ‘খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে, তিনি উঠে দাঁড়াতে পারেন না। হাঁটতেও পারেন না। একটু হাঁটলে আবার তাঁকে বিশ্রাম নিতে হচ্ছে। এই অবস্থায় সরকারের কাছে আমরা তাঁর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।’

‘আজকে দুই বৎসর ধরে খালেদা জিয়া কারা অন্তরীণ আছেন। যখন তিনি কারাগারে গেছেন তখন তাঁর শারীরিক যে অবস্থা ছিল এখন সেই অবস্থায় নেই। তিনি হেঁটে-চলে বেড়াতেন, আর এখন তিনি পাঁচ মিনিটও দাঁড়াতে পারেন না।’

খালেদা জিয়ার বোন বলেন, ‘আজকে তাঁর শরীর খুবই খারাপ ছিল। তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। একদম কথাই বলতে পারছেন না। উঠে পাঁচ মিনিটও দাঁড়াতে পারছেন না। বাঁ হাতটা সম্পূর্ণভাবে বেঁকে গেছে। এখন ডান হাতটা বেঁকে যাচ্ছে। খেতে পারছেন না, খেলেই বমি হয়ে যাচ্ছে। গায়ে জ্বর ও প্রচণ্ড ব্যথা। গায়ে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। গায়ে হাত দিলেই চিৎকার করছেন।’

‘এই অবস্থায় মানবিক দিকটা চিন্তা করে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করছি আমরা।’

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সেলিমা ইসলাম বলেন, ‘তাঁর মুক্তির জন্য আমরা এখনো আবেদন করিনি। আমরা জাতির কাছে আবেদন করছি, জনতার কাছে আবেদন করছি যে, উনার জন্য দোয়া করবেন।’

স্বজনদের মধ্যে আরো ছিলেন খালেদা জিয়ার বেয়াইন (ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর শাশুড়ি) মোকরেমা রেজা, ভাগ্নি শাহিনা জামান খান, ভাতিজা অভিক ইস্কান্দার, ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারের স্ত্রী মিসেস কানিজ ফাতিমা।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন পুরান ঢাকার বকশিবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। পরে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার করা আপিল খারিজ করেন এবং তাঁর সাজা বৃদ্ধি করে ১০ বছর করেন। সেইসঙ্গে তারেক রহমানসহ মামলার অন্য আসামিদের ১০ বছরের সাজা বহাল রাখা হয়।

অপরদিকে ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করেন বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। রায়ে খালেদা জিয়াসহ চার আসামিকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে আজ মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এসে কথা বলেন তাঁর বোন সেলিমা ইসলাম। ছবি : মোহাম্মদ ইব্রাহিম

সুত্র:এনটিভি

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে