ঢাকা, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

হাসপাতাল থেকে সরাসরি সচিবালয়ে কাদের, হাতে ক্যানুলা

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ ফেব্রুয়ারি ০৪ ১৪:২১:২৩
হাসপাতাল থেকে সরাসরি সচিবালয়ে কাদের, হাতে ক্যানুলা

হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সেখান থেকে সরাসরি চলে আসেন সচিবালয়ে। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন কাদের। এ সময়ও তার বাম হাতে ক্যানুলা লাগানো ছিল।

এদিন দুপুর ১২টার দিকে সরাসরি সচিবালয়ে এসে ব্রিফিং করেন সরকারের প্রভাবশালী এ মন্ত্রী। এসময় তিনি কথা বলেন সদ্য সমাপ্ত সিটি নির্বাচন নিয়ে। ভোটারদের অনুপস্থিতির বিষয়ে তার কণ্ঠেও শোনা যায় হতাশার সুর।

তার শরীরের খোঁজ-খবর নেওয়ার এক পর্যায়ে সাংবাদিকরা জানতে চান, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন হলো, দেশের ইতিহাসে এত কম ভোটার কখনও হয়নি। এ বিষয়টি কীভাবে মূল্যায়ন করছেন?

জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মূল্যায়ন করার জন্য আমরা ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং করবো। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরে এলে এই মিটিং হবে। সেখানে নির্বাচন নিয়ে বীক্ষণ-পরিবীক্ষণ, আমাদের অবজারবেশন, পর্যবেক্ষণ নিয়ে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করব। এ রকমই চিন্তা-ভাবনা রয়েছে।’

ভোটারদের অনুপস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা ভাবনার বিষয়, আমাদের আওয়ামী লীগের এত জন সমর্থন, সেখানে আরও বেশি ভোট আশা করেছিলাম। আওয়ামী লীগের যে পার্সেন্টেজ সেই তুলনায় তো উপস্থিতি আশানুরূপ নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘তারপরও আমি মনে করি একটা ভালো নির্বাচন হয়েছে। বর্তমানের ভুলগুলো ভবিষ্যতের ইলেকশনে পুনরাবৃত্তিগুলো এড়ানো যাবে। বিএনপি যে অবস্থায় নির্বাচন করেছে তাদের পার্টির মূল নেতৃত্ব নেই। আমার মনে হয় তারা ভালো করেছে। বিএনপির যে পারফরমেন্স তারা এই ভোটের মধ্যেও তাদের ভোট সংখ্যা একেবারে কম নয়। অনেক ভোট পেয়েছে। সেই দিক থেকে বিরোধী দল হিসেবে তারা ভোটে একেবারে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে এমন নয়। তারা ভালো ভোট পেয়েছেন। এটা গণতন্ত্রের জন্যই ভালো।’

ভোটের প্রতি মানুষের অনীহা প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী বলেন, ‘একটা বিষয় হচ্ছে। এই যে ভোটটা হচ্ছে আগেভাগেই শঙ্কা তৈরি করা- এই সিস্টেম খারাপ, এই সিস্টেমে ভোট দেয়া যাবে না। এই রকম অবস্থায় কিছু মানুষের আগ্রহ তো কমতেই পারে। কারণ ভোট সম্পর্কে অপপ্রচারটা অনেক বেশি হয়েছে। সরকারি দলের ভয়ঙ্কর প্রস্তুতি, বিরোধীদলও সতর্ক পাহারায় থাকবে, তারা ঢাকার বাইরে থেকে লোক জড়ো করেছে-এ ধরনের ইনফরমেশন তো ছিলই। আমার মনে হয় সবকিছু মিলিয়ে একটা ভালো ইলেকশন হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমি মনে করি এখানে আমাদের গভীরভাবে ভাবনার বিষয় আছে। আমাদের ভোটের যে পার্সেন্টেজ সেই পার্সেন্টেজ অনুযায়ী, যে ভোট পড়ার কথা ছিল, সেটা তো হয়নি। এখানে আমাদের সাংগঠনিক দুর্বলতার একটি বিষয় আছে। আমাদের কমিটিগুলো হয়েছে, পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। ঢাকা সিটিতে ওয়ার্ড পর্যন্ত কমিটিগুলোকে ঢেলে সাজানো দরকার। গতকাল সিটির নেতারা আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন একটি কথাই আমরা সবাইকে বলেছি- কমিটিগুলো পূর্ণাঙ্গ করা হোক।’

নির্বাচনের সময় ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিক্ষিপ্ত-বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। এটা হওয়া উচিত ছিল না। সামগ্রিকভাবে মূল্যায়ন করলে- একটা ভালো নির্বাচন হয়েছে।’

বিএনপি এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে- এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি তো বলবেই। আমি বিএনপির ব্যাপারটি বলছি, তাদের দল যতটা এলোমেলো এবং নেতৃত্বহীন, সেই অবস্থায় তারা অনেক ভালো করেছে। যতুটুকু রেজাল্ট, আমি মনে করি বিএনপি ভালো রেজাল্ট করেছে।’

সুত্রঃ জাগোনিউজ২৪

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে