মা হওয়া অসম্ভব, যা করলেন মুকেশ আম্বানীর স্ত্রী

১৯৮৫ সালে ভারতের সবচেয়ে ধনী পরিবারে বিয়ে হয় নীতা আম্বানীর। বিয়ের ঠিক এক বছর পর এক চিকিৎসকই তাদের প্রথম এই দুঃখের খবরটা দেন।
প্রচণ্ড ভেঙে পড়েছিলেন নীতা। স্বামী মুকেশ আম্বানী সব সময়েই তার পাশে ছিলেন। পাশে পেয়েছিলেন দুই পরিবারকেও। কিন্তু স্বপ্ন যখন ভেঙে যায়, তা মানিয়ে উঠতে অনেক মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়।
এর পর থেকেই শুরু হয় নীতার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়। অনেক চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পর নীতা এবং মুকেশ অবশেষে স্থির করেন আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান নেওয়ার।
ঘটনাটি ১৯৮৬ সালে, সে সময় বর্তমান যুগের মতো আইভিএফ এতটা বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠেনি মানুষের কাছে। ক’জন মানুষই বা আইভিএফ সম্পর্কে জানতেন!
তাদের আইভিএফ-এর কথা প্রথম বলেছিলেন পারিবারিক বন্ধু এবং চিকিৎসক ফিরুজা পারিখ। কড়া ওষুধ আর উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে শুরু হয় তাদের চিকিৎসা।
অনেক চেষ্টার পর বিয়ের প্রায় সাত বছর পর প্রথম অন্তঃসত্ত্বা হন নীতা। যে দিন নীতা জানতে পেরেছিলেন এই খবরটা, সেটাই বোধহয় তার জীবনের সেরা মুহূর্ত হয়ে থেকে যাবে চিরকাল।
সুখটা দ্বিগুণ হয়ে এসেছিল নীতা-মুকেশের জীবনে। তার গর্ভে যমজ সন্তান বড় হচ্ছিল ধীরে ধীরে। অনেক সাবধানতা ছিল। এই পুরো সময়টাই তাই চিকিৎসকের কথার এতটুকু নড়চড় করেননি তিনি।
১৯৯১ সালে ঈশা এবং আকাশের জন্ম দেন নীতা। আম্বানী পরিবারে খুশির আলো জ্বলে ওঠে।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে আনন্দ পিরামলকে বিয়ের এক বছর পর এক সাক্ষাৎকারে নিজেই এ কথা জানিয়েছিলেন ঈশা আম্বানী।
ঈশা বলেছিলেন, “আমি আর আমার ভাই আকাশ দুজনেই যমজ। আইভিএফ পদ্ধতিতে হয়েছি। বিয়ের সাত বছর পর আমাদের বাবা-মায়ের সন্তান হয়।”
ঈশা এও জানান, সন্তানদের লালনপালনে যাতে কোনও অভাব থেকে না যায়, তার জন্য তাদের মা নীতা কাজ ছেড়ে দিয়েছিলেন। তাদের পাঁচ বছর বয়স হওয়ার পর ফের কাজে যোগ দেন নীতা।
ঈশা এবং আকাশের জন্মের কয়েক বছর পর, ১৯৯৫ সালে আম্বানী পরিবারের ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানীর জন্ম দেন নীতা। নীতা-মুকেশের এই সন্তান অবশ্য স্বাভাবিকভাবেই জন্ম নিয়েছিলেন।
নীতার গর্ভে যখন প্রথম যমজ সন্তান আসে, নীতার তখন ৪৭ কেজি ওজন ছিল, তারপর তিনি দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছিলেন। ৯০ কেজি ওজন হয়ে গিয়েছিল তার।
নীতা কিন্তু তখন একেবারেই নিজের বাহ্যিক সৌন্দর্যের কথা ভাবেননি। সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতে তিনি আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিলেন।
ঈশা এবং আকাশ দুজনেই প্রিম্যাচিওর বেবি। পরিপূর্ণ গর্ভাবস্থার দু’মাস আগেই তাদের জন্ম হয়েছিল। তাদের জন্মের পর নির্দিষ্ট ডায়েট এবং নিয়মিত ব্যায়াম করেই অতিরিক্ত ৫৮ কেজি মেদ ঝরিয়েছেন তিনি।
নিজের সংসারের প্রতি কতটা যত্নশীল নীতা? তিনি আজও সুন্দর ভাবে কাজ এবং সংসার সামলে চলেছেন। নীতা তাই তার ছেলেমেয়েদের চোখে ‘টাইগার মম’।
বিশ্ব - এর সব খবর
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- আছিয়ার শেষ স্বীকারোক্তি: আছিয়া নিজে বলে গেছে ধ/র্ষণ করেছে কে (ভিডিওসহ)
- আ.লীগকে ৭৫% মানুষ সমর্থন করছে জাতিসংঘের জরিপ, জানা গেল সত্যতা
- শেয়ারবাজারে কারসাজি: বিএসইসি'র কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্তে সামনে এলো গুরুত্বপূর্ণ নাম
- মাগুরার আছিয়ার বোনের বক্তব্য: শোনেন আসল সত্যিটা (ভিডিওসহ)
- আছিয়ার ধ/র্ষক দুলাভাই কে নিয়ে তথ্য দিলেন তার শ্রেণী শিক্ষক মাহফুজ
- শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- বিনিয়োগকারীদের মাঝে আতঙ্ক, জরুরি পদক্ষেপ নিলেন ডিএসই চেয়ারম্যান
- স্বাস্থ্য খাতে বড় সংস্কার: ২৬ মেডিকেল কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত
- শান্ত বাদ, তবে নতুন অধিনায়ক মিরাজ নয়
- বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার (১৩ মার্চ ২০২৫)
- দুই কোটি নয় মুস্তাফিজকে দলে নিতে কলকাতাকে গুনতে হবে ৬.৫ কোটি রুপি
- বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- আজ সামান্য বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- বাংলাদেশে জনপ্রতি ফিতরার হার ঘোষণা