জেনে নিন আসল খবরঃ শাকিব খান যার হাত ধরে আজকের সুপারস্টার

সেই স্বপ্ন নিয়েই ঢাকায় এসেছিলেন সুদর্শন তরুণ মাসুদ রানা। আজিজ রেজা তাকে নিয়ে যেতেন সিনেমার লোকজনের কাছে। বিভিন্ন পরিচালক, শিল্পীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেন, ‘আমার ছোট ভাই রানা’ বলে।

এরপর চলচ্চিত্রে অভিনয় আর কৌশলী মাসুদ রানা ধীরে ধীরে হয়ে উঠেন শাকিব খান। ভুলে যান, একদিন ভাই বলে যে বুকে আশ্রয় খুঁজেছিলেন সেই আজিজ রেজাকে। এ নিয়ে অবশ্য আজিজ রেজার খুব একটা আক্ষেপও নেই। এমনটাই জানালেন নৃত্য পরিচালক আজিজ রেজা। আজিজ বলেন, ‘শাকিবের যখন দুঃসময় তখন আমি ওর পাশে ছিলাম, এখন ওর ভালো দিন চলছে। এখন আর আমাকে প্রয়োজন নেই।

এ নিয়ে আমার কোন আক্ষেপও নেই। আমি সব সময় চাইবো, শাকিব যেন ভালো থাকে। আমার ছোট ভাই ভালো অবস্থানে আছে। এটা আমার জন্য গর্বের। আমি সব সময় দোয়া করি শাকিব যেন ভালো থাকে। আমার ছোট ভাই রানা আমাকে ভুলে গেছে, আমি তাকে ভুলিনি।’ আজিজ রেজার এই বক্তব্যের মধ্যে আক্ষেপই ঝড়ে পড়লো। সুপারস্টারদের তো পেছনে তাকালে চলে না।

সামনে চোখ রেখে এগুতে হয়। সুপারস্টারদের অনেক কিছুই গোপন করতে হয়। সম্প্রতি টিভি লাইভে এসেও ঢাকাই ছবির নাম্বার ওয়ান নায়ক বলেন, ‘সুপারস্টারদের ব্যাক্তিগত জীবনকে গোপন রাখতে হয়।’

বিবাহিত নায়কের ছবি দর্শক দেখতে চান না বলে নিজের বিয়ের খবরও গোপন রেখেছেন ৯ বছর। স্ত্রীকেও সামাজিকভাবে স্বীকৃতি দিতে সময় নিয়েছেন প্রায় এক দশক। যার হাত ধরে আজ সুপারস্টার শাকিব খান

২০০৮ সালে বিয়ে করেন শাকিব-অপু। ২০১৬ সালে শাকিবের গর্ভজাত সন্তানের মা হন অপু। এসবই গোপন রাখতে হয়েছে সুপারস্টার শাকিবের কথায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আর গোপন রাখতে পারেন নি অপু। মিডিয়ার সামনে গোপন কথা ফাঁস করে দিলেন। জানালেন, বিয়ে ও সন্তানের খবর।

এবার জানা গেলো কিভাবে অতীত ভুলেছেন শাকিব খান। মাসুদ রানা থেকে কিভাবে শাকিব খান হয়ে ভুলে গেছেন মাসুদ রানা নামের সেই তরুণকে। এসবই ঢাকাই ছবির একজন সুপারস্টারের গল্প।

কিন্তু অতীত যে সব সময় হাঁটে বর্তমানের পাশে। যে কোন সময় বর্তমানে এসে হাজির হয় অতীত। তেমনই শাকিব ভুলে গেছেন মাসুদ রানাকে। কিন্তু এই মাসুদ রানা ঠিকই পাশাপাশি হেঁটে চলেছেন শাকিব খানের। দিনশেষে সুপারস্টার শাকিব যখন ঘরে ফেরেন তখন তিনি মাসুদ রানা হয়েই থাকেন।