ঢাকা, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

থার্টিফার্স্ট নাইটে বাড়াবাড়ি-উচ্ছৃঙ্খলতা নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৯ ডিসেম্বর ৩০ ১৯:৪৩:৪০
থার্টিফার্স্ট নাইটে বাড়াবাড়ি-উচ্ছৃঙ্খলতা নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা বাহিনী এরইমধ্যে তথ্য সংগ্রহ করেছে। এই উদযাপনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের থ্রেট বা হুমকি নেই। তবে এ রাতে রাস্তা বন্ধ করে বা অন্যকে কষ্ট দিয়ে যাতে কোনো অনুষ্ঠান না হয়, সে বিষয়ে ব্যবস্থ নেয়া হয়েছে।

একই অনুষ্ঠানে র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেন, থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তাজনিত সব ধরনের প্রস্তুতি র‌্যাবের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। গুজব ঠেকাতে সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং করা হবে। নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।

তিনি বলেন, থার্টিফার্স্ট নাইটের হুমকি অ্যানালাইসিস করা হচ্ছে। মশা ও মাছি ঠেকাতে মশারির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যেন মশা-মাছি কোনোভাবে প্রবেশ করতে না পারে। সে ব্যবস্থা আমরা করব।

এ ধরনের দিবস কিংবা অনুষ্ঠান উদযাপনের ক্ষেত্রে ফেক নিউজ ও গুজব ছড়ানো হয়। সম্মানহানিকর তথ্য প্রচার হয়। এ সব মনিটরিং করা হবে। এটা শুধু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নয় সবারই খেয়াল রাখা দায়িত্ব।

এ দিকে সোমবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে আতশবাজি, পটকাবাজি, বেপরোয়া গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালনাসহ যে কোনো ধরনের অশোভন আচরণ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কাল সন্ধ্যা ছয়টার পর বহিরাগত কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। নিরাপত্তার স্বার্থে গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকার বাসিন্দাদের রাত আটটার মধ্যে নিজ নিজ এলাকায় চলে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

একই সঙ্গে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় বসবাস করেন না, এমন কাউকে থার্টি ফার্স্ট উপলক্ষে সে সব এলাকায় না যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ঢাকা মহানগরের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলার স্বার্থে রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভার, রাস্তায়, ভবনের ছাদে এবং প্রকাশ্য স্থানে কোনো ধরনের জমায়েত বা সমাবেশ বা উৎসব করা যাবে না। উম্মুক্ত স্থানে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান বা সমবেত হওয়া যাবে না বা নাচ, গান ও কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না।

কোথাও কোনো ধরনের আতশবাজি বা পটকা ফোটানো যাবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ছয়টার পর বহিরাগত কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাড়ি নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় দেয়াসাপেক্ষে নীলক্ষেত এবং শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে।

গুলশান এলাকায় প্রবেশে কাকলি ক্রসিং এবং আমতলী ক্রসিং ব্যবহার করা যাবে। তবে নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় দেয়াসাপেক্ষে এ দুটি ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। রাত আটটার পর হাতিরঝিল এলাকায় কাউকে অবস্থান করতে দেয়া হবে না। সন্ধ্যা ছয়টার পর ঢাকা মহানগরীর কোনো বার খোলা রাখা যাবে না।

ইংরেজি নববর্ষের প্রাক্কালে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে পরদিন বুধবার ১ জানুয়ারি ভোর ছয়টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে সব ধরনের লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন না করার জন্য নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান ডিএমপি কমিশনার।

এ সব নির্দেশ মেনে না চললে ডিএমপি পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। ডিএমপি কমিশনার যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে নগরবাসীকে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের সাহায্য নেয়ার পরামর্শ দেন। তিনি কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের সহায়তা করার জন্য নগরবাসীর প্রতিও আহ্বান জানান। সুত্রঃ যুগান্তর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে