খালেদা জিয়ার জন্য রাজধানীতে বিএনপির মিছিল

মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এতে অংশ নেন ঢাকা জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবু আশফাক, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন, ছাত্রদল নেতা কামরুজ্জামান জুয়েল এবং যুবদল নেতা সোহেলসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।

মিছিল শেষে এক পথসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা ক্রমান্বয়ে চরম অবনতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। দেশনেত্রীকে চিকিৎসা দেওয়ার নামে নানা টালবাহানা ও জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার।’

জনগণের দাবি সত্বেও বেগম জিয়াকে কোনো বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হয়নি অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটার পরও বেগম জিয়া সুস্থ আছেন বলে সরকারের লোকেরা তোতা পাখির মতো শেখানো বুলি আউড়িয়ে যাচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রিজভী বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে বন্দি করে বিনা চিকিৎসায় আপনি অমানবিক কষ্ট দিচ্ছেন। বেগম জিয়ার প্রতি এই নিষ্ঠুরতা স্বৈরশাসকের আচরণের সমতূল্য। বেগম জিয়াকে আর কষ্ট না দিয়ে তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিন।’

‘আপনি জনগণের পুঞ্জিভূত ক্রোধ আঁচ করতে পারছেন না বলেই বিএনপি চেয়ারপারসনকে মুক্তি না দিয়ে তাকে তিলে তিলে নিঃশেষ করার চেষ্টায় উঠেপড়ে লেগেছেন। কিন্তু আপনার নেতৃত্বে পরিচালিত ফ্যাসিবাদী সরকারের লোহার খাঁচা ভেঙে দেশনেত্রীকে মুক্ত করার জন্য জনগণ এখন চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে’— বলেন রুহুল কবির রিজভী।

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশ পরিচালনায় আপনারা এখন চারিদিক দিয়েই ব্যর্থ। বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর ভয়াবহ দুঃশাসনকে প্রতিরোধ করার জন্য মানুষ এখন পথে পথে প্রস্তুত হয়ে রয়েছে। পৃথিবীর অতীত ইতিহাস ভুলে যাবেন না, কোনো স্বৈরাচারী শাসক এভাবে দেশে দুঃশাসন চালু রেখে জনগণের রোষানল থেকে রেহাই পায়নি। যুগে যুগে স্বৈরশাহীর পতনের মতোই আপনাদেরও যে কোনো মূহুর্তে পতনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’

বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এর নেতৃত্বে মিছিল শুরু হলে মিছিলে অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীরা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে স্লোগান দেন। সুত্রঃ সারাবাংলা