ঢাকা, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

৫ ডিসেম্বরের পর বিএনপির ‘একদফা আন্দোলন’

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৯ নভেম্বর ২৯ ১৯:১৬:৪৪
৫ ডিসেম্বরের পর বিএনপির ‘একদফা আন্দোলন’

আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ঢাকাস্থ চরফ্যাশন-মনপুরা জাতীয়তাবাদী ফোরামের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

আলোচনা সভায় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা যদি দেখি ৫ ডিসেম্বর বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি হয় নাই। তাহলে বুঝতে হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি হস্তক্ষেপে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হয় নাই। আমরা বলতে চাই, ৫ ডিসেম্বরে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি না হলে, এরপরে এদেশে শুধু একদফার আন্দোলন হবে। তা হবে-শেখ হাসিনা স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের আন্দোলন।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের উচ্চতর আদালত আপিল বিভাগ আর চিকিৎসা বিজ্ঞানের সবচাইতে বড় প্রতিষ্ঠান বিএসএমএমইউ। যদি আমরা সুবিচার না পাই, যদি আমরা সত্যতা না পাই তাহলে আমাদের বিকল্প নাই এই সরকারের পতন ঘটানো ছাড়া। আর এই পতন ঘটিয়ে আমাদের নেত্রীকে আমাদের মুক্ত করতে হবে। এ জন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, আগামী দিনে আপনাদের কঠিন আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে হবে।’

খালেদা জিয়ার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের উদ্দেশে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্ট চেয়েছেন। আমরা জানি, এই বিএসএমএমইউ এর প্রশাসন স্বাধীন নয়, এই বিএসএমএমইউ এর যারা চিকিৎসক তারাও স্বাধীন নন। সরকারের বিভিন্ন রক্তচক্ষু এবং তাদের প্রতি হুমকি-ধামকি রয়েছে। তারপরেও আমরা মনে করি, তারা তাদের পেশার প্রতি সুবিচার করে বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা যা তা বলবে। তিনি ক্রিপল হয়ে যাচ্ছেন, তিনি উঠতে পারেন না, তিনি নিজে দাঁড়াতে পারেন না, নিজের হাতে খেতে পারেন না, তার প্রত্যেকটা অঙ্গ খারাপের দিকে।’

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি চিকিৎসকদের যদি এখন পর্যন্ত নীতিবোধ থেকে থাকে, পেশাগত সততা থেকে থাকে তাহলে সঠিক রিপোর্টটি আপনারা দয়া করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে দেবেন। সেই সঠিক রিপোর্টটি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে যদি আসে, আমাদের বিশ্বাস- এই আপিল বিভাগে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি না করে অন্য কোনো বিকল্প নাই।’

সংগঠনের সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা নাজিম উদ্দিন আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, এবিএম মোশাররফ হোসেন, রফিক শিকদার প্রমুখ বক্তব্য দেন।

আলোচনা সভার পর বিএম মোশাররফ হোসেন জাতীয় প্রেসক্লাবের গেট পেরুলেই সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে আটক করে নিয়ে যায় শাহবাগ থানায়। মোশাররফ বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক। সুত্রঃ আমাদের সময়

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে