ঢাকা, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

দুর্নীতি মামলায় খালেদার জামিনের পরবর্তী শুনানির দিন ঘোষণা

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৯ নভেম্বর ২৮ ১১:০৭:৩৩
দুর্নীতি মামলায় খালেদার জামিনের পরবর্তী শুনানির দিন ঘোষণা

পাশাপাশি এ সময়ের মধ্যে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শুনানিতে মানবিক কারণে খালেদা জিয়ার জামিন প্রার্থনা করেন তার আইনজীবীরা।

খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।তদন্ত শেষে ২০১২ সালে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।

২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের সাত নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান (বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি) জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন। পাশাপাশি তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

পরে ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এর বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। এরপর চলতি বছর ৩০ এপ্রিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে অর্থদণ্ড স্থগিত এবং সম্পত্তি জব্দ করার ওপর স্থিতাবস্থা দিয়ে দুই মাসের মধ্যে ওই মামলার নথি তলব করা হয়।

এরপর ২০ জুন বিচারিক আদালত থেকে মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। ৩১ জুলাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। পরে ১১ সেপ্টেম্বর ফের জামিন আবেদন ফেরত দেন বিচারপতি ফরিদ আহমেদ ও বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

এদিকে, খালেদা জিয়ার মামলার শুনানিকে কেন্দ্র করে আজ সুপ্রিম কোর্টে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সকাল থেকেই সুপ্রিম কোর্টের মাজার গেটসহ সব গেইটে জনসাধারণকে তল্লাশি ও পরিচয়পত্র চেক করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। আইনজীবী সমিতি ভবনের প্রবেশ পথে ও আইনজীবী সমিতি ভবন থেকে সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের প্রবেশ পথেও ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে