রোহিঙ্গা গণহত্যা : মিয়ানমারের পক্ষে লড়বেন সু চি
![রোহিঙ্গা গণহত্যা : মিয়ানমারের পক্ষে লড়বেন সু চি](https://www.24updatenews.com/thum/article_images/2019/11/21/suci.jpg&w=315&h=195)
ইসলামিক সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে (আইসিজে) মামলাটি করে। মিয়ানমার মামলাটি লড়তে একটি আইনজীবী দল গঠন করেছে। যার নেতৃত্ব দেবেন সু চি। গতকাল সু চির কার্যালয় থেকে দেয়া এক ঘোষণায় এই কথা জানায় মিয়ানমার সরকার।
২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ধর্ষণ, হত্যা ও তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়ে নিধন অভিযান শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। তখন বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয় প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। জাতিসংঘের একটি সত্যানুসন্ধানী মিশন বলেছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর লক্ষ্য ছিল গণহত্যা।
ইসলামিক সম্মেলন সংস্থার ৫৭ সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থনে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আইসিজেতে মামলাটি করে পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম অধ্যূষিত ছোট দেশ গাম্বিয়া। এর মাধ্যমে রোহিঙ্গা গণহত্যার দায়ে প্রথমবারের মতো মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা হয়। আইসিজেতে শুধু এক দেশ অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে।
সাধারণত কোনো দুই দেশ দ্বন্দ্বে জড়িত হলে আন্তর্জাতিক আদালতের শরণাপন্ন হয়। কিন্তু সরাসরি একে অপরের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব না থাকলেও গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করে নজির স্থাপন করেছে। আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে জানিয়েছে আগামী ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর এর প্রথম প্রকাশ্য শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর বিষয়ক মন্ত্রণালয় অং সান সু চির কার্যালয় থেকে এক ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘গাম্বিয়ার করা মামলাটি লড়তে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছে মিয়ানমার। স্টেট কাউন্সিলর সুুচি কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আইনজীবী দলের নেতৃত্ব দেবেন।’
সু চির কার্যালয়ের ওই ফেসবুক পোস্টে আরও বলা হয়, ‘নেদারল্যান্ডসের রাজধানী হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে আইনজীবী দলের নেতৃত্ব দেয়ার মাধ্যমে মিয়ানমারের জাতীয় স্বার্থের পক্ষে লড়বেন সু চি।’ তবে সু চির কার্যালয় এ নিয়ে আর বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
সু চি’র দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসির এক মুখপাত্র বলেন, ‘তিনি নিজেই এই মিয়ানমারের পক্ষে এই মামলা লড়বেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অনেকে অভিযোগ করছেন যে, সু চি নাকি মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে কোনো কথা বলেননি তাই তিনি নিজেই এটি লড়ার সিদ্ধান্ত নেন।’
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার জাতিসংঘের ১৯৪৮ সালের ‘জেনোসোইড কনভেনশন’ স্বাক্ষরকারী। সে অনুযায়ী, কোনো দেশ শুধুমাত্র নিজের দেশে গণহত্যার নিষিদ্ধের কথা বলা হয়নি তাতে স্বাক্ষরকারী প্রতিটি দেশ যাতে এ গণহত্যা সংগঠিত করতে না পারে, তাই তাদের বিরুদ্ধে অন্য দেশের আইনি পদক্ষেপ নেয়ার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
রোহিঙ্গা নিধন অভিযান নিয়ে প্রথমবারের মতো শান্তিতে নোবেলজয়ী মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি’র বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সম্প্রতি আর্জেন্টিনার একটি আদালতে সু চি ও দেশটির শক্তিধর সেনাবাহিনীর প্রধানসহ বেশ কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর মানুষদের গণহত্যা ও ধর্ষণের মাধ্যমে দেশ থেকে বিতাড়িত করতে যে নিধন অভিযান চালানো হয়েছিল তার বিচার চেয়ে আর্জেন্টিনার ‘ইউনিভার্সাল জুরিসডিকশনের’ নীতিতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি করেছে রোহিঙ্গা ও ল্যাতিন আমেরিকার মানবাধিকার সংস্থা। সুত্রঃ জাগোনিউজ২৪
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- এক নজরে দেখেনিন কে কত টাকা পুরস্কার পেলেন
- বিপিএল মাতিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে আসছেন দুই জন
- বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের তালিকা
- ১৪৪ ধারা জারি
- সমন্বয়ক সারজিস আলমের পরিবারে শোকের ছায়া
- এক ম্যাচের জন্য যত টাকা নিলেন রাসেল-জেমস ভিন্স-টিম ডেভিড
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আহত সারজিস আলম
- সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের কথায় নতুন বার্তা
- বিপিএল শেষ, বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে আসছে দুই পরিবর্তন
- ধানমন্ডির ৩২ নম্বর ও দেশজুড়ে ভাঙচুরের পর আজহারী স্ট্যাটাস
- ফরচুন বরিশালের একাদশ
- বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াড ঘোষণা করলো বিসিবি
- গণধোলাইয়ের পর পুলিশের হাতে সোপর্দ সাকিব
- ভিসা বন্ধ ঘোষণা
- আজকের ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম