ঢাকা, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ভোরের আলো ফুটতেই সড়কের ওপর ফুটফুটে কন্যাসন্তান প্রসব

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৯ নভেম্বর ১৬ ১১:৫১:৫০
ভোরের আলো ফুটতেই সড়কের ওপর ফুটফুটে কন্যাসন্তান প্রসব

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন আমীর চারু বাবলু নামের স্থানীয় এক সাংবাদিক। স্ট্যাটাসের সঙ্গে তিনি প্রসূতি ও নবজাতকের বেশ কয়েকটি ছবিও আপলোড করেছেন।

তিনি বলেছেন, ‘তখনও ঘুম ভাঙেনি। বন্ধু সুমন খানের ফোন পেয়ে জেগে উঠি। ও জানালো আলফাডাঙ্গার জয়দেবপুর বাজারে নাম-পরিচয়হীন এক প্রসূতি সড়কের ওপর একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেছেন। বললাম দেরি করিস না যত দ্রুত সম্ভব চলে আয়।’

আমীর চারু বাবলুর ভাষ্য, ‘সরেজমিনে গিয়ে দেখি স্থানীয় লোকজন ও পার্শ্ববর্তী বারাংকুলা গ্রামের মহিলা গ্রাম পুলিশ শিরিনা বেগম নবজাতক ও প্রসূতিকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে রেখেছে।

তিন ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও তখনও নবজাতক ও প্রসূতির কোনো প্রকার চিকিৎসা দেয়া হয়নি। প্রসূতি মায়ের তখনও রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। নবজাতকের অবস্থাও নাজুক।

সঙ্গে সঙ্গে ফোন করলাম আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুর রহমানকে। তিনি সর্বোচ্চ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন। এগিয়ে এলো ‘জানা সমাজ কল্যাণ সংস্থা’।

বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক, শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. গিয়াস উদ্দিন ভাই ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. তাপস বিশ্বাস দাদার আন্তরিক সেবায় আমরা মুগ্ধ।

কিন্তু বিপত্তি বাধলো নবজাতকের অপরিপক্ক (সাত মাসে) জন্মগ্রহণ। চিকিৎসকগণ জানালেন দ্রুত ফরিদপুর নিতে হবে। ‘জানা সমাজ কল্যাণ সংস্থা’র অস্ট্রিয়া ভিয়েনার পরিচালক খান আনিচুর রহমান ও বাংলাদেশের পরিচালক বিকাশ বিশ্বাস দায়িত্ব নিলেন শিশু ও প্রসূতির।

বিকাশ ও আমি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তিসহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়ে বোয়ালমারী ফিরে যখন এই পোস্ট দিচ্ছি তখন পেট জানান দিচ্ছে সকাল ও দুপুরে কিচ্ছু পেটে পড়েনি।

লড়াইটা যখন একটি জীবন বাঁচানোর তখন পেটের ক্ষুধার দিকে তাকানোর সময় কোথায়।’ সুত্রঃ যুগান্তর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে