ঢাকা, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মাহিমার জন্য আর ঘুমপাড়ানি গান গাইবে না মা

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৯ নভেম্বর ১২ ২০:৪৪:৩৬
মাহিমার জন্য আর ঘুমপাড়ানি গান গাইবে না মা

দুর্ঘ'টনাস্থল থেকে মাহিমাকে উ'দ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জে'লা সদর হা*সপা*তালে নেয়া হয়। সেখানে তাকে চিকিৎসা দেয়া হলেও স্বজনদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।

মাথায় ব্যান্ডেজ পড়া শি'শুটি তার চারদিকে মানুষজন দেখে হাউ-মাউ করে কেঁদে ওঠে। পরবর্তীতে জানা যায় মা কাকলীর সঙ্গে গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জে'লার হাইমচর উপজে'লায় ফিরছিল মাহিমা। তার বাবা মাঈন উদ্দিন একটি হোটেলে কাজ করেন।

তবে ছোট্ট শি'শু মাহিমা এখনও জানে না তার মমতাময়ী মা আর বেঁচে নেই। ঘা'তক ট্রেন কেড়ে নিয়েছে তার মায়ের প্রাণ। তাকে কোলে নিয়ে কপালে চুমু এঁকে আর হয়তো কেউ গাইবে না ঘুমপাড়ানি গান!

স্ত্রী'র ম'রদেহ নিতে এসে মাঈন উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, সিলেটের শাহ'জালাল (র.) মাজারে মানত ছিল তাদের। সেই মানত পূর্ণ করতে কাকলী মেয়ে মাহিমাসহ কয়েকজন স্বজনের সঙ্গে সিলেটে যান। সেখান থেকেই উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে করে ফিরছিলেন তারা। ট্রেন দুর্ঘ'টনায় কাকলী মা'রা গেছেন। এ ঘটনায় মাহিমা আ'হত হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জে'লা সদর হা*সপা*তালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন জানান, মাহিমা'র কপালে সেলাই লেগেছে। তার কপালের বাম পাশ থেকে মাথার পেছন পর্যন্ত অংশ ব্যান্ডেজ করা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (১২) ভোররাত পৌনে ৩টার দিকে কসবা উপজে'লার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের সং'ঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনের মৃ'ত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। আ'হত হয়েছেন দুই ট্রেনের শতাধিক যাত্রী। আ'হতদের ঢাকা ও কুমিল্লার বিভিন্ন হা*সপা*তালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে