ঢাকা, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

‘বাবুর্চিকে বলে দিয়েছি, রান্নায় পেঁয়াজ বন্ধ করে দাও’

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৯ অক্টোবর ০৫ ১১:৩০:৩২
‘বাবুর্চিকে বলে দিয়েছি, রান্নায় পেঁয়াজ বন্ধ করে দাও’

বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন মঞ্চে বসা ছিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযুষ গয়াল। অন্যদিকে দর্শক-শ্রোতাদের সারিতে ছিলেন দুই দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী, বাণিজ্যসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর প্রতিনিধিরা।

প্রধানমন্ত্রী ইংরেজিতে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। বক্তব্যের প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিল বাংলাদেশ-ভারত ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা ও আরো অনেক করণীয় আছে এমন একটি বাক্য। প্রধানমন্ত্রী সে সময় হাসিমুখে হিন্দিতে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার প্রসঙ্গ তোলেন। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় বাংলাদেশে সমস্যা হওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজ মে থোড়া দিক্কত হো গিয়া হামারে লিয়ে। মুঝে মালুম নেহি, কিউ আপনে পেঁয়াজ বন্ধ কর দিয়া! ম্যায়নে কুক কো বোল দিয়া, আব সে খানা মে পেঁয়াজ বন্ধ কারদো।’ (পেঁয়াজ নিয়ে একটু সমস্যায় পড়ে গেছি আমরা। আমি জানি না, কেন আপনারা পেঁয়াজ বন্ধ করে দিলেন। আমি বাবুর্চিকে বলে দিয়েছি, এখন থেকে রান্নায় পেঁয়াজ বন্ধ করে দাও।)

ওই সময় ব্যবসায়ীরা হেসে ওঠেন এবং অনেকেই করতালি দেন।

প্রধানমন্ত্রীও হাসতে হাসতে বলেন, ‘আমার জানা নেই কেন আপনারা পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিলেন? আমি জানি না, আপনারা কি চান আমরা পেঁয়াজ খাওয়া বন্ধ করে দিই? এ রকম কিছু করলে অন্তত কিছুদিন আগে আমাদের জানালে আমরা সেভাবেই প্রস্তুত হতাম।’

ভারত তার অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এর বিরূপ প্রভাব পড়ে বাংলাদেশে। জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগে নয়াদিল্লিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৮০ রুপি ছাড়িয়ে গিয়েছিল। বিদেশে রপ্তানি বন্ধ করার পর পেঁয়াজের দাম সেখানে কিছুটা কমেছে। সুত্রঃ কালের কন্ঠ

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে