ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

বিএনপি নেতাদের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধা

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৯ সেপ্টেম্বর ২৫ ১৩:০৩:০৩
বিএনপি নেতাদের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধা

দলীয় সূত্র মতে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন প্রতিহতের আন্দোলনে নিষ্ক্রিয়তার কারণে নেতাকর্মীদের কাছে আস্থাহীনতায় ভুগছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। দলের নীতিনির্ধারণী ফোরামের বৈঠক আর বড় সমাবেশ ছাড়া অন্য কর্মসূচিতে তার নিষ্ক্রিয় ভূমিকা ছিল লক্ষ্যণীয়। কিন্তু সরকারের প্রতিবন্ধকতা, দলীয় সিন্ডিকেটের চক্রান্ত ছিন্ন করে তার বাসায় সুষ্ঠুভাবে ছাত্রদলের কাউন্সিল সম্পন্ন করে সাংগঠনিক দক্ষতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি।

এছাড়া ছাত্রদলের সাবেক অন্তত দেড় ডজন নেতা রয়েছেন যাদের নেতৃত্ব বিভিন্ন সময় প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। কিন্তু সফলভাবে কাউন্সিল সম্পন্ন করায় তারাও এখন এই কর্তৃত্বের দাবিদার।

শামসুজ্জামান দুদু

ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শামসুজ্জামান দুদু। বর্তমানে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের আহ্বায়ক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তিনি। দীর্ঘ ২০ বছর তিনি কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সংগঠনটিতে দুদুর নেতৃত্ব নিয়ে বিভিন্ন সময় দলের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। তবে ছাত্রদলের কাউন্সিল সফল করতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

আসাদুজ্জামান রিপন

ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হিসেবে রাজনীতিতে তেমন ভালো অবস্থানে নেই। সম্প্রতি রিপনের কারামুক্তির আদেশের পর তার জামিননামা কারাগারে পৌঁছে দেবার মতোও শুভাকাঙ্ক্ষী ছিল না। কিন্তু ছাত্রদলের কাউন্সিল ঘিরে তার গুরুত্ব দেখা গেছে বিএনপিতে।

আমান উল্লাহ আমান

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ‘কামান’ খ্যাত ডাকসুর সাবেক ভিপি ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হিসেবে একসময় অপরিসীম ক্ষমতাধর ছিলেন তিনি। ২০১৪-১৫ এর আন্দোলনের সময় বিতর্কিত ভূমিকার জন্য দলের মধ্যে তার অবস্থান নড়বড়ে হয়ে পড়ে। অন্যবার কমিটির সময় ‘আমান সিন্ডিকেটের’ নাম জোরেশোরে শোনা গেলেও এবার বেশ সতর্কতার সঙ্গে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে জেতাবার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেছেন তিনি।

রুহুল কবির রিজভী আহমেদ

নিখোঁজ সাবেক এমপি এম ইলিয়াস আলীর নামে বিএনপিতে শক্তিশালী ‘ইলিয়াস গ্রুপ’ থাকলেও এ গ্রুপের নেপথ্যের মূল নায়কদের মধ্যে তিনি অন্যতম। প্রায় সব কমিটিতেই তাদের পছন্দের ব্যক্তিকে নেতা বানানো হয়। এবারও ছাত্রদলের কাউন্সিলে তার সেই তৎপরতা ছিল লক্ষণীয়।

ফজলুল হক মিলন

ছাত্রদলের নির্বাচিত রিজভী-ইলিয়াস কমিটি মাত্র তিন মাসের মাথায় ভেঙে সভাপতি হন নির্বাচনে চরমভাবে হেরে যাওয়া মিলন। তারপর ২৭ বছর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। মিলনের ধারাবাহিক রাজনৈতিক ব্যর্থতার কারণে তার পদের অবনতি ঘটে। এবার কাউন্সিলে কার্যকর ভূমিকা রেখে নিজের দক্ষতার জানান দিয়েছেন মিলন। আশা করা যায়, পরবর্তীতে তার মূল্যায়ন হবে।

খায়রুল কবির খোকন

নরসিংদী জেলা বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও ছাত্রদলের কাউন্সিল নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন ডাকসুর সাবেক এ জিএস।

শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

ছাত্রদলের সিন্ডিকেটের পেছেনে এ্যানি নামটি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। বিগত আন্দোলনের সময় মাঠে অবস্থান না নেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। যে কারণে দলের মধ্যে তেমন প্রমোশনও মেলেনি। তবে ছাত্রদলের কাউন্সিল সফল করতে তিনিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

কামরুজ্জামান রতন

৯০ দশকে পেশিশক্তির মাধ্যমে ছাত্রদলের রাজনীতিতে অবস্থান তৈরি করেন রতন। পরবর্তীতে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। ২০১৪ সালে ব্যাংক থেকে দেশে ফেরার সময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক বিমানযাত্রীকে মারধর করে ইমেজ সঙ্কটে পড়েন তিনি। যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তার নাম আলোচনায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত সে দায়িত্ব তাকে দেয়া হয়নি। বর্তমানে দলের কেন্দ্রীয় সমাজ সেবাবিষয়ক সম্পাদক ও মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতৃত্বে রয়েছেন। ছাত্রদলের কাউন্সিলে তৎপর থেকে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে ফের সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি।

হাবিব-উন-নবী খান সোহেল

ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হিসেবে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন সোহেল। কিন্তু ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির দায়িত্ব নিয়ে অনেকটা হালছাড়া নৌকার মতো ভাসছেন তিনি। ছাত্রদলের কাউন্সিল ঘিরে তিনিও তার ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেছেন।

সাইফুল ইসলাম নীরব

যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে সংগঠনের নেতৃত্বদানের সক্ষমতা নিয়ে তার বিরুদ্ধে নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে। যুবদলে তার কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। গ্রুপিং রাজনীতিতে কর্মীবান্ধব হিসেবেও তার পরিচিতি রয়েছে। ছাত্রদলের কাউন্সিলে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু সভাপতিপ্রার্থী শ্রাবণকে সমর্থন দেয়ায় সাধারণ সম্পাদকপ্রাথী সাইফ জুয়েলকে সমর্থন দেন নীরব।

এ বি এম মোশাররফ হোসেন

ছাত্রদলের রাজনীতি থেকে বিদায় নেয়ার পর অনেকটা আলোচনার বাইরে ছিলেন মোশাররফ। কিন্তু ছাত্রদলের সদ্য-সমাপ্ত কাউন্সিলে তার দায়িত্বশীল ভূমিকা ছিল। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকপ্রার্থী হিসেবে বরিশাল বিভাগের দুই ছাত্রদল নেতার প্রতি সমর্থন ছিল তার।

আজিজুল বারী হেলাল

কথিত আছে, বেলা করে ঘুম থেকে ওঠেন ছাত্রদলের সাবেক এ সভাপতি। এ কারণে বিএনপিতে তার কাঙ্ক্ষিত প্রমোশন হয়নি। দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় থাকা হেলাল ছাত্রদলের কাউন্সিল ঘিরে বেশ সক্রিয় ছিলেন। রাজনীতিতে হেলাল কখনও নিজেকে কট্টর গ্রুপিংয়ে না জড়ালেও এবার তিনি প্রার্থী দিয়ে আলোচনায় এসেছেন। সাধারণ সম্পাদকপ্রার্থী আমিনুল ইসলাম আমিন ছিল তার পছন্দের। কথিত আছে, তারেক রহমানের এপিএস রকিবুল ইসলাম বকুলের চাপে এক রকম প্রকাশ্যে আমিনের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন তিনি।

শফিউল বারী বাবু

স্বেচ্ছাসেবক দলের দায়িত্ব নিয়ে দুই বছর পার করেও কমিটির পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে পারেননি বাবু। তবে বেগম খালেদা জিয়ার আদালতের হাজিরার তারিখে অনুসারীদের নিয়ে সরব দেখা গেছে তাকে। ইলিয়াস গ্রুপের অন্যতম মেকানিজম তিনি করে থাকেন বলে প্রচলিত আছে। ১/১১-তে বাবুর একটি চাঞ্চল্যকর অস্ত্র মামলা নিষ্পত্তি হয় এবং তৎকালীন সময়ে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিষ্ক্রিয় থাকায় পরবর্তী কমিটির সভাপতি হতে পারেননি বাবু। পরে হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের বিশেষ ভূমিকায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মনোনীত হয়ে রাজনীতিতে আবারও নিজের জায়গা করে নেন। ছাত্রদলের কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদকপ্রার্থী শাহনেওয়াজকে নিয়ে বেশ তৎপর ছিলেন বাবু।

সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু

গত এক দশক ধরে ছাত্রদলে যে সিন্ডিকেট আধিপত্য বিস্তার করেছে সেই সিন্ডিকেটের নায়ক হিসেবে পরিচিত সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু। রাজনীতিতে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে আজ নিজেকে দলের ভেতরে অপরিহার্য করে তুলেছেন তিনি। তার অনুসারীরা তাকে রাজা-বাদশাহর মতো ‘সুলতান’ বলে অভিহিত করেন। ছাত্রদলের সাবেক এ সভাপতির বিরুদ্ধে রয়েছে স্বজনপ্রীতি এবং কমিটি নিয়ে বাণিজ্যের গুরুতর অভিযোগ। ছাত্রদল ছেড়ে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হয়ে সেখানে আধিপত্য বিস্তারে হিমশিম খাচ্ছেন। মেয়াদ ফুরালেও গঠন করতে পারেননি যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। ছাত্রদলের কাউন্সিলে সভাপতিপ্রার্থী কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণকে সমর্থন দিয়ে যেভাবে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছেন তাতে তার অনেক অনুসারী হতবাক হয়েছেন। তাদের ধারণা, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত শ্রাবনের পরিবার থেকে মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন তিনি।

আমিরুল ইসলাম খান আলীম

ছাত্রদলের ইতিহাসে কলঙ্কিত একটি নাম আলীম। সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃত্বে থাকাকালীন আলীমের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, শ্লীতাহানিসহ গুরুতর অভিযোগ ওঠে। তার কমিটির অন্যান্য নেতারা এসব কারণে তার প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করেন। ফলে আলীমের নেতৃত্বে ঢাবি ছাত্রদলের ওই কমিটি ভেঙে দেয়া হয়। পরবর্তীতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক করা হয় তাকে। এ সময়ও তার বিরুদ্ধে কমিটি বাণিজ্য, স্বজনপ্রীতির অভিযোগ ওঠে। বর্তমানে তিনি বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক। আগামীতে জাতীয়তাবাদী তাঁতীদলের সভাপতি পদ বাগানোর চেষ্টায় রয়েছেন আলীম। লক্ষ্য পূরণে ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সভাপতি মো. ফজলুর রহমান খোকনের পক্ষ নিয়ে গোটা উত্তরাঞ্চলকে একত্রিত করেছেন তিনি।

নুরুল ইসলাম নয়ন

ছাত্রদলের পদবঞ্চিত এ নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। তবে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেননি। ছাত্রদলের কাউন্সিলে সভাপতিপ্রার্থী তানভীর রেজা রুবেল ও সাধারণ সম্পাদকপ্রার্থী সাইফ জুয়েলকে বিজয়ী করতে ছিল তার প্রাণপন চেষ্টা।

আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল

বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের দায়ে দলের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েলের নামে থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পান তিনি। তখন তার বিরুদ্ধেও স্বজনপ্রীতি ও কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে। বর্তমানে তিনি স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক। কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও এখনও পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি স্বেচ্ছাসেবক দলে। আগামীতে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হওয়ার মিশন নিয়ে ছাত্রদলের এবারের কাউন্সিলে বেশ তৎপর ছিলেন তিনি। ঢাবি সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার বিবাহ সংক্রান্ত কারণে বাদ পড়ায় সাধারণ সম্পাদকপ্রার্থী মিজানুর রহমান শরীফকে নিয়ে তৎপর ছিলেন জুয়েল।

হাবিবুর রশিদ হাবিব

ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের রাজনীতি করে উঠে আসা সাবেক এ ছাত্রনেতা সংগঠনটির আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ২০১১ সালে গুলিবিদ্ধ হন। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান। তার ওই কমিটির বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি ও পদ বাণিজ্যের অভিযোগ ছিল। বর্তমানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মির্জা আব্বাসের অনুসারী হাবিব। এবার ছাত্রদলের কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদকপ্রাথী জাকিরকে বিজয়ী করতে বেশ সক্রিয় ছিলেন তিনি। এছাড়া মির্জা আব্বাসের বাসায় কাউন্সিল হওয়াতে তার অনুসারী হিসেবে তিনি বেশ গুরুদায়িত্ব পালন করেন।

রাজিব আহসান

ছাত্রদলের সদ্য গত হওয়া কমিটির সভাপতি রাজিব আহসান। সংগঠনটির ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যর্থ হিসেবে নেতাকর্মীরা এ কমিটিকে অভিহিত করে থাকেন। ৭৩৬ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটির সভাপতি তার সহ-সভাপতি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য পর্যায়ের নেতাদের কাছে ছিলেন অপরিচিত। এ কমিটির বিরুদ্ধেও ছিল পদ বাণিজ্য ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ। এবারের কাউন্সিলে সভাপতিপ্রার্থী তানভীর রেজা রুবেল ও সাধারণ সম্পাদকপ্রার্থী সাইফ আহমেদ জুয়েলকে নিয়ে সক্রিয় ছিলেন তিনি।

মো. আকরামুল হাসান মিন্টু

ছাত্রদলের সদ্য গত হওয়া কমিটির সাধারণ সম্পাদক তিনি। তার শিক্ষাজীবনের কৃতিত্ব সর্বমহলে প্রশংসা কুড়ালেও সাংগঠনকি কর্মকাণ্ডে বেশ প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন তিনি। তার কমিটি ঘিরে পদ বাণিজ্য, স্বজনপ্রীতিসহ যেসব অভিযোগ রয়েছে অধিকাংশই তাকে ঘিরে। এবারের কাউন্সিলে নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হাসান শ্যামল তার প্রার্থী ছিলেন। সুত্রঃ জাগোনিউজ২৪

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে