ঢাকা, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

অপু বিশ্বাসের প্রথম প্রেমিক কে

বিনোদন ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৯ সেপ্টেম্বর ২৩ ২১:২৭:৩৯
অপু বিশ্বাসের প্রথম প্রেমিক কে

প্রথম স্কুল

আমার প্রথম স্কুল ছিল বগুড়ায়। স্কুলের নাম ছিল এসওএস হারম্যান মেইনার স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

প্রথম শিক্ষকআমার প্রথম শিক্ষক ছিলেন বুলবুল স্যার। স্যারকে এখন অনেক মনে পড়ে। স্যারকে অনেক জ্বালাতাম আমি। স্যার যখন আমাকে পড়াতেন, তখন আমি তাঁকে ঘোড়া হতে বলতাম। আমার জন্য স্যার ঘোড়াও হয়েছিলেন। আর একটা বিষয় শেয়ার করি, স্যার হাতে নেইলপলিশ না দিয়ে এলে আমি পড়তে চাইতাম না।

স্যারকে আমি বলতাম, ‘স্যার, আপনাকে নেইলপলিশ হাতে দিতে হবে, না হলে আমি পড়ব না।’ ছোটবেলা থেকেই সাজগোজ খুব পছন্দ করতাম আমি। তাই আমিও সাজতাম আর স্যারকেও সাজতে বলতাম। আরেকজন স্যারকে অনেক মিস করি। তিনি ছিলেন রহিম স্যার। যখন আমি ক্লাস ফোরে পড়ি, তখন রহিম স্যারের হাতে একদিন অনেক মার খেয়েছিলাম। আমার হাতের নখ একটু বড় ছিল।

স্যার একদিন সেটা দেখলেন এবং আমার নখ ছোট করে কেটে দিলেন। নখ কাটার সময় সেটা বাঁকা হয়ে গিয়েছিল। বাঁকা নখ সোজা করে না কেটেই পরদিন আমি স্কুলে গিয়েছিলাম। পরে স্যার সেই নখ দেখে অনেক মেরেছিলেন আমাকে। মূলত আমার জিদের জন্যই স্যার মেরেছিলেন। স্যারের সেই পিটুনি খেয়ে আমার খুব জ্বর এসেছিল। আজও এ ঘটনা আমার মনে পড়ে।

প্রথম পারিশ্রমিকছোটবেলায় নাচের অনেক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে পুরস্কারসহ বেশ কিছু টাকা পারিশ্রমিক হিসেবে আমি পেয়েছিলাম। সেই টাকার পরিমাণ পাঁচ কিংবা ১০ হাজার হবে। আর পেশাগত জীবনে ‘কোটি টাকার কাবিন’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে প্রথম পারিশ্রমিক পেয়েছিলাম ২৫ হাজার টাকা। টাকাটা পেয়ে মায়ের জন্য স্বর্ণের কানের দুল এবং বাসার জন্য মাইক্রোওভেন কিনেছিলাম। আমার ইলেকট্রনিক জিনিসের প্রতি অনেক আগ্রহ রয়েছে।

প্রথম চলচ্চিত্রআমজাদ হোসেন আঙ্কেল পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘কাল সকালে’। এই ছবিতে শাবনূর আপু, রিয়াজ ভাই, ফেরদৌস ভাইও ছিলেন। ছবিটিতে আমার ছোট্ট একটা চরিত্র ছিল।

প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা‘কাল সকালে’ চলচ্চিত্রে শাবনূর আপুর সঙ্গে আমার প্রথম শট ছিল। শট দেওয়ার সময় আমি ভয় পাইনি। একদম স্বাভাবিক ছিলাম সেদিন।

প্রথম প্রেমবলিউড অভিনেতা শাহরুখ খানের প্রেমে পড়েছিলাম। আমার প্রথম বয়ফ্রেন্ড ছিল শাহরুখ খান। ঘটনাটা খুলেই বলি, ছোটবেলায় শাহরুখ খানকে খুব পছন্দ করতাম আমি। আমার পড়ার রুমের সামনে শাহরুখ খানের বিশাল বড় পোস্টার লাগিয়ে রেখেছিলাম। কোনো এক দুর্গাপূজা উৎসব থেকে শাহরুখ খানের পোস্টারটা কিনেছিলাম আমি।

আমার বান্ধবীদের তখন বলেছিলাম, ‘এই তোরা শাহরুখ খানকে জামাই বাবু বলে ডাকবি।’ এখন এ ঘটনা মনে পড়লে হাসি পায় আমার। আরেকটা ঘটনা বলি। আমাদের পাড়ার এক কাজিনের ছেলে আমাকে খুব পছন্দ করে।

ওর বয়স হবে আড়াই বছর। ও আমাকে গার্লফ্রেন্ড ডাকে। ওর মাকে ও এভাবে বলে, ‘মা, আমি অপুকে বিয়ে করব। বিয়ের পর অপুকে চকলেট খাওয়াব।’ মজার ব্যাপার হলো, ও আমার জন্য ওর ভাগের খাবারের অংশ মাঝেমধ্যে রেখে দেয়। আর শাকিব খানকে একদম সহ্য করতে পারে না। আমাকে প্রায়ই বলে, ‘তুমি শাকিবের সঙ্গে কেন কথা বলো?’

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে