ঢাকা, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বাংলাদেশি ‘ভাগ্যবান’ আলমের নৌকায় আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৯ সেপ্টেম্বর ০৫ ২৩:৪৫:২৭
বাংলাদেশি ‘ভাগ্যবান’ আলমের নৌকায় আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী

সেদিন দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্ম'দ বিন রাশেদ আল মাকতুম হঠাৎ পরিদর্শনের অংশ হিসেবে দেরার গোল্ড সুক দিয়ে হেঁটে আবরা পারাপারে যান। অনেক আবরা চালক থাকলেও সৌভাগ্যবান হিসেবে আলমের নৌকায় দুবাইয়ের শাসক আবরা পার হন। ফলে সৌভাগ্যবান চালক হিসেবে মোহাম্ম'দ আলমের গল্পটি সবই ছাপিয়ে যায়।

শেখ মোহাম্ম'দ বিন রাশেদ আল মাকতুমের এই সফরের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যে ভিডিওতে দুবাই’র ঐতিহ্যবাহী এক দিরহামে নৌকা পারাপারের দৃশ্য দেখা যায়। তবে এই ভিডিওতে সর্বাধিক আ'লোচিত আবরা চালক আলম।

মঙ্গলবার সকালে কয়েক হাজার যাত্রী ও চালকদের মধ্য থেকে তাকে সন্ধান করতে কেবল প্রশ্ন ছিল ‘সেই ভাগ্যবান চালক কে ছিলেন?’

আমিরাতের প্রভাবশালী গালফ নিউজকে আলম জানান, গত সোমবার কোনো সাধারণ দিন ছিল না! আমি নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করেছি, আমাদের মধ্যে অনেক আবরা চালক ছিলেন, আমা'র বস আমাকে জানিয়েছিলেন যে সড়ক ও পরিবহন কর্তৃপক্ষের (আরটিএ) কিছু অফিসারের জন্য আবরাকে আলাদা রাখতে হবে। জানতাম না শেখ মোহাম্ম'দও আসছেন, তাই আমি এগিয়ে গেলাম এবং এর চেয়ে বেশি কিছুই ভেবে দেখিনি।

তিনি বলেন, ‘শেখ মোহাম্ম'দ যখন আবরায় পা রেখেছিলেন, আমি তাকে প্রথমবারের মতো ব্যক্তিগতভাবে দেখে অ'বাক হয়েছি এবং খুব খুশি হয়েছি। তিনি আমা'র সাথে হ্যান্ডসেক করে জিজ্ঞেস করলেন আমি কেমন আছি এবং উত্তরে ভালো আছি জানিয়ে ধন্যবাদ জানালাম।’

আলম বলেন, ‘শেখ মোহাম্ম'দকে নিয়ে নৌকা চালানোর কারণে ঘাবড়ে যাইনি, স্বাভাবিক ছিলাম। কারণ, আমি সব সময় এই কাজটি করি, তাকে নৌকায় করে পারাপারের জন্য নিজেকে খুব আনন্দিত ও গর্বিত মনে করছি।’

৪০ বছর বয়সী আলম দুবাই ক্রিকের আল রাসে থাকেন এবং মাসে ১ হাজার দিরহাম বেতনের পাশাপাশি কমিশনে কাজ করেন তিনি। সকাল ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত কাজ করেন।

২০০৬ সালে তিনি দুবাই আসেন, ১৩ বছরের চাকরি জীবনে এর আগে কখনো কোনো বিখ্যাত ব্যক্তি তার বোটে ভ্রমণ করেননি।

মোহাম্ম'দ আলমের দেশের বাড়ি কক্সবাজার জে'লার উখিয়ায়, বাংলাদেশে তার স্ত্রী', দশ ও চার বছর বয়সী দুই সন্তান রয়েছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে