ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

হার্ট অ্যাটাকে নারী ব্যাংকারের মৃ'ত্যু, যা বললেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ড. দেবী শেঠি

স্বাস্থ্য ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৯ আগস্ট ৩১ ০০:০৪:০৮
হার্ট অ্যাটাকে নারী ব্যাংকারের মৃ'ত্যু, যা বললেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ড. দেবী শেঠি

গহর জাহানের পরিবার জানায়, গহরের ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছিল। এই অবস্থায়ই ব্যাংকে নিয়মিত কাজ করছিলেন তিনি। অবিবাহিত গহরের বড় ভাই মা'রুফ নেওয়াজের বাসায় থাকতেন। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইন্সটিটিউটের পরিচালক।

মা'রুফ নাওয়াজ বলেন, অনেকদিন আগে ভারতে গিয়ে ওপেন হার্ট সার্জারি করেছিলেন গহর। মা'রা যাওয়ার কয়েকদিন আগেও ভারতের সেই চিকিৎসক গহরকে ফের চেকআপের জন্য ভারত যেতে বলেন। সময় না পেলে যে কোনো ভালো জায়গায় হার্ট চেকআপ করতে বারবার অনুরোধ করেন তিনি।কিন্তু আর যাওয়া হয়নি।

গহর ওপেন হার্ট সার্জারি রোগী ছিলেন।চিকিৎসক জানিয়েছেন, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ওই নারীর মৃ'ত্যু হয়েছে। এ ধরনের মৃ'ত্যু অনেকেরই হতে পারে।

হৃৎস্পন্দন বন্ধ হলে বা কমে গেলে কিংবা শ্বা'স-প্রশ্বা'স সাময়িক কমে গেলে তাকে সিপিআর দিয়ে সহায়তা করা যায় কার্ডিও-পালমোনারি রিসাসিটেশন বা সিপিআর জীবন রক্ষাকারী একটি কৌশল। হার্ট অ্যাটাক বা বিভিন্ন কারণে শ্বা'স-প্রশ্বা'সে সমস্যা হলে জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে সিপিআর দেয়াটা বিশ্বজুড়ে প্রচলিত।

গহরের মৃ'ত্যুর সেই ভিডিওতে আম'রা দেখতে পাই, উত্তরায় ব্যাংকে কাজ করা ওই কর্মক'র্তা অ'সুস্থ হয়ে পড়ে গেলে সহকর্মীরা তাকে উঠে বসানোর চেষ্টা করলেও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দিতে কেউ এগিয়ে আসেনি। নারী সহকর্মী শুশ্রূষার চেষ্টা করছিলেন তাদের কেউ সিপিআর দেননি।

বিখ্যাত হৃদরোগ চিকিৎসক ড. দেবী শেঠি বলেছেন, হার্ট এটাকের রোগীকে সিপিআর না দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া আর কফিন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া একই কথা। এখানেও তাই হয়েছে।

এ বিষয়ে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের অধ্যাপক ডা. এটিএম খলিল বলেন, সিপিআর যে শুধু হার্টের রোগীদের দেয়া হয় বিষয়টি তা নয়। পানিতে পড়লে, ইলেকট্রিক শর্টে আ'হত হলে বা যে কোনো কারণে কোনো মানুষ যদি কলাপস করে তবে তাকে সিপিআর দেয়া যেতে পারে। এটাকে আমা'রা বলি প্রাথমিক চিকিৎসা।

গহর নামে এই নারীর মৃ'ত্যুর বিষয়ে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এটিএম খলিল বলেন, আম'রা নিউজ পরে জানতে পারি ওই নারী হার্ট সার্জারি রোগী ছিলেন। এ ধরনের রোগী যদি দ্বিতীয়বার হর্টি অ্যাটাক হয় তবে তাদের অন্য মানুষের চেয়ে ঝুঁ'কি বেশি। তার মতে, তবে এ ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে সিপিআর করা যেতে পারে। সিপিআর সঠিকভাবে করতে পারলে হয়তো ওই নারী বেঁচে যেতে পারতেন।

সিপিআর করলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার রোগীর ফেরার সম্ভবনা কতটুকু? জানতে চাইলে অধ্যাপক ডা. এটিএম খলিল বলেন, ‘প্রথমত আমি বলবো- সৃষ্টিক'র্তায় বিশ্বা'স রাখতে হবে, এছাড়া চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।’

প্রসঙ্গত,গহরের বয়স হয়েছিল ৪৩ বছর। তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহী শহরের মহিষবাথান এলাকায়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভিদ বিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করে ২০০১ সালে ব্যাংকের চাকরিতে যোগ দেন গহর। অবিবাহিত গহর জাহান বড় ভাই মা'রুফের উত্তরার বাসায় থাকতেন।

তার বাবা মৃ'ত মাওলানা নাওয়াজ ছিলেন পু'লিশের উর্ধতন কর্মক'র্তা। বৃদ্ধা মা নুরজাহান বেগম মেয়ে হারিয়ে শোক কাটিয়ে উঠতে পারছেন না।

গত সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কর্মস্থলেই মা'রা যান গওহর।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে