ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

মিন্নির জবানবন্দির বিষয়ে যে স্পষ্ট তথ্য চেয়েছেন হাইকোর্ট

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৯ আগস্ট ১৯ ২২:১৯:৪২
মিন্নির জবানবন্দির বিষয়ে যে স্পষ্ট তথ্য চেয়েছেন হাইকোর্ট

সোমবার (১৯ আগস্ট) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ঠিক করে দেন।

সোমবার আদালতে মিন্নির পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেডআই খান পান্না। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন বাপ্পি।

শুনানির এক পর্যায়ে মিন্নির আইনজীবী জেড আই খান পান্না আদালতে বলেন, ‘আমরা মিন্নির জামিন আবেদনটি আরেকটা কোর্টে মুভ করেছিলাম। আদালত রুল দিতে চেয়েছিলেন। আমরা না নিয়ে ফেরত এনেছি।’

তিনি বলেন, মামলার এফআইআরে মিন্নির নাম নেই। এ মামলার সে প্রত্যক্ষ সাক্ষী। গত ১৬ জুলাই পুলিশ মিন্নিকে গ্রেফতার করে। পরে তার সাত দিনের রিমাণ্ড আবেদন করে আদালত ৫ দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করে। প্রথম দিন মিন্নির পক্ষে কোনো আইনজীবী যাতে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল। যা সব গণমাধ্যমে এসেছে।

তিনি বলেন, রিফাত হ*ত্যার ভিডিও ক্লিপ ১১ টা ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সেখানে পুলিশ তাকে আসামি হিসেবে দেখিয়েছে। ১৯ বছরের একটি মেয়ে মিন্নি। সে আঘাত করেছে এমন কোনো অ্যালিগেশন নেই। বলা হচ্ছে সে ষড়যন্ত্র করেছে। মিন্নির জামিন হলে দেশের বা মামলার কোনো ক্ষতি হবে না।

জেড আই খান পান্না বলেন, ‘ওসি মোয়াজ্জেমকে জেল গেটে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অথচ মিন্নিকে পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়। এ সময় আদালত আইনজীবীর কাছে জানতে চান, মিন্নিকে পুলিশ লাইনে কখন নেওয়া হয়েছে, রিমাণ্ডের আগে না পরে? তখন আইনজীবী পত্রিকার প্রতিবেদন উপস্থাপন করে বলেন, পুলিশ লাইনে নিয়ে রিমাণ্ডে নেওয়া হয়েছে। যা আইনের লংঘন।’

তখন আদালত বলেন, আপনি স্পষ্ট করে বলেন, বরগুনা পুলিশ সুপার সংবাদ সম্মেলন করে মিন্নির দোষ স্বীকারের কথা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির আগে, না পরে বলেছেন সেটি স্পষ্ট করুন।

তখন আদালত এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে বক্তব্য উপস্থাপনের নির্দেশ দিয়ে আগামীকাল দিন ঠিক করে দেন।

এদিকে রোববার (১৮ আগস্ট) মিন্নির জামিন চেয়ে আরেকটি বেঞ্চে আবেদন দাখিল করেন তার আইনজীবী।

এর আগে গত ৮ আগস্ট বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে জামিন আবেদনটি ফেরত নেন আইনজীবীরা।

গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি হামলাকারীদের সঙ্গে লড়াই করেও তাদের দমাতে পারেননি। গুরুতর আহত রিফাতকে ওইদিন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও পাঁচ-ছয় জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বরগুনা থানায় একটি হ*ত্যা মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলায় প্রথমে মিন্নিকে সাক্ষী হিসেবে দেখানো হলেও, পরে এক আসামির বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তাকে আসামি হিসেবে গ্রেফতার করা হয়।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে