যে গ্রামে পুত্রসন্তানের জন্ম নিলে মিলবে বিস্ময়কর উপহার
![যে গ্রামে পুত্রসন্তানের জন্ম নিলে মিলবে বিস্ময়কর উপহার](https://www.24updatenews.com/thum/article_images/2019/08/19/gram-24updatenews.jpg&w=315&h=195)
গত ৯ বছর ধরে কেবল কন্যাসন্তানই জন্ম হয়েছে সেখানে। একটি পুত্রসন্তানের আশায় গ্রামের অনেক গর্ভবতী কুসংস্কারেও বিশ্বাস করেছেন।
তারা তান্ত্রিকের দেয়া নানা গাছ-গাছালির তাবিজ, কুড়ুলও রেখেছেন বালিশের নিচে। টোটকা থেকে শুরু করে ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খেয়েছেন হবু মায়েরা।
তবে সব প্রচেষ্টাই বিফলে গেছে।
গত এক দশকে পুত্রসন্তান জন্ম না নেয়া এ গ্রামটির নাম মিয়েজস্কে ওদ্রজান্সকি। এটি পোল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তবর্তী ছোট্ট একটি গ্রাম।
নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরপুর এ গ্রামে ৯২টি বাড়ি রয়েছে। ৩০০ মানুষের বসবাস এখানে, যার মধ্যে নারীর সংখ্যাই বেশি।
পুরুষের সংখ্যা কম থাকায় গাড়ি চালানো, ক্ষেত-খামারে চাষাবাদ থেকে শুরু করে অন্যান্য ভারী কাজও নারীদের করতে হয় এ গ্রামে। মাঝেমধ্যে বিপদেও পড়েন তারা।
গ্রামবাসীর মতে, এখানে সব কাজেই নারীদের নেতৃত্ব চলছে, যা গ্রামের নারীরাও চাচ্ছেন না। তাদের অনেকে চাপ সামলে নিতে পারছেন না। ‘পুরুষালি’ কাজে নারীদের অংশগ্রহণে মাঝেমধ্যেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
কাজের গুণগত মান বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।
এ কারণে সদ্যোজাত পুত্রসন্তানের মুখ দেখার জন্য সাগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছেন মিয়েজস্কে ওদ্রজান্সকি গ্রামের বাসিন্দারা।
এ মুহূর্তে পুত্রসন্তানের জন্ম গ্রামের জন্য সবচেয়ে বড় আনন্দের খবর হিসেবে বিবেচ্য।
গ্রামের মেয়র ঘোষণা করেছেন, গ্রামকে যে দম্পতি পুত্রসন্তান উপহার দেবেন, তাদের বিশেষ সম্মানে ভূষিত করা হবে। সঙ্গে থাকবে উপহারও।
তিনি জানান, সেই নবজাতকের নামে গ্রামের একটি রাস্তার নামকরণ করা হবে। তার জন্ম উপলক্ষে বপন করা হবে ওক গাছ।
এ ছাড়া বর্ণিল আয়োজনে সেই পুত্রসন্তানকে গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, ইউরোপের দেশ পোল্যান্ডে সার্বিকভাবে পুত্রসন্তানের জন্মহার বেশি। দেশটির জনসংখ্যা জরিপ জানায়, ২০১৭ সালে পোল্যান্ডে ২ লাখ ৭ হাজার পুত্রসন্তানের জন্ম হয়েছে। আর কন্যাসন্তানের জন্ম হয়েছে ১ লাখ ৯৬ হাজার।
কিন্তু মিয়েজস্কে ওদ্রজান্সকি গ্রামের বেলায় পুরো চিত্রটি কেবল ভিন্নই নয়, কোনো পুত্রসন্তানেরই জন্ম হচ্ছে না সেখানে।
এ বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা জানা নেই দেশটির বিজ্ঞানীদের। প্রকৃতির এই রহস্য ভেদ করা যায়নি এখনও।
দীর্ঘ ৯ বছর ধরে বিষয়টি চলমান থাকায় গ্রামবাসীরা আশঙ্কা করছেন, এমনটি চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে সবচেয়ে বড় যে সমস্যা দেখা দেবে, সেটি হচ্ছে- মেয়েদের বিয়ের জন্য গ্রামের পাত্র পাওয়া যাবে না।
প্রসঙ্গত ১৯৪৫ সালের আগে জার্মানির অধীনে ছিল গ্রামটি। এর নাম ছিল- ‘মিসটিটজ’। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গ্রামটি পোল্যান্ডের অন্তর্ভুক্ত হয়। সুত্রঃ যুগান্তর
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- এক নজরে দেখেনিন কে কত টাকা পুরস্কার পেলেন
- বিপিএল মাতিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে আসছেন দুই জন
- ১৪৪ ধারা জারি
- সমন্বয়ক সারজিস আলমের পরিবারে শোকের ছায়া
- এক ম্যাচের জন্য যত টাকা নিলেন রাসেল-জেমস ভিন্স-টিম ডেভিড
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আহত সারজিস আলম
- ফরচুন বরিশালের একাদশ
- ধানমন্ডির ৩২ নম্বর ও দেশজুড়ে ভাঙচুরের পর আজহারী স্ট্যাটাস
- গণধোলাইয়ের পর পুলিশের হাতে সোপর্দ সাকিব
- বিপিএল ফাইনাল ম্যাচের সময় সূচি
- ফাইনাল ম্যাচের জন্য ফরচুন বরিশালের একাদশ
- বাড়লো আজকের সৌদি রিয়াল রেট
- বিপিএল শেষ, বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে আসছে দুই পরিবর্তন
- কোয়ালিফায়ার ম্যাচের জন্য খুলনা টাইগার্সের সম্ভাব্য সেরা একাদশ
- ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে ডিপজল গ্রেপ্তার