ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

পুড়ে যাওয়া ধ্বংসস্তূপে শেষ সম্বল খুঁজছে মিরপুর বস্তিবাসী

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৯ আগস্ট ১৭ ২৩:০৫:৫৩
পুড়ে যাওয়া ধ্বংসস্তূপে শেষ সম্বল খুঁজছে মিরপুর বস্তিবাসী

এদিকে ঢাকার মিরপুর ৭ নম্বরের এই বস্তিটি চলন্তিকা বস্তি বলে পরিচিত ছিল। সকালে সেখানে গিয়ে দেখা গেলো হাজারো মানুষের ভিড়। আশপাশ থেকে অনেকেই দেখতে এসেছেন।

তবে ক্ষতিগ্রস্তদের যেন আলাদা করে চেনা যায়। বিমর্ষ হয়ে বসে আছেন তারা। কেউ বিলাপ করছেন। কেউবা আবার পুড়ে কুঁকড়ে কালো হয়ে যাওয়া টিনের নিচে হাতড়ে দেখার চেষ্টা করছেন আগুন থেকে কিছু বেঁচে গেছে কিনা। নেয়ার মতো কিছু অবশিষ্ট আছে কিনা।

এ সময় পেশায় গৃহকর্মী রহিমা বেগম বলছেন, পরনের কাপড় ছাড়া এখন আর কিছুই নেই তার। তিনি বলছেন, প্রথমে আগুন দূরে ছিল। তারপর দেখি কাছে আসতে আসতে আইসা পড়ছে। একদম কিছু বাঁচাইতে পারি না। এই পিন্ধনের কাপড়টা খালি বাঁচাইছি। এদিকে মূল সড়ক থেকে বস্তিটির অবস্থান একটু ঢালে। ভেতরে ঢোকার পথগুলো এতটাই সরু যে সেখানে দমকল বাহিনীর গাড়ি পৌঁছানো দুরূহ ব্যাপার।

এ সময় পোশাক কারখানার শ্রমিক ইয়াসমিন বেগম বলছেন, তাদের এখন রাস্তায় থাকা ছাড়া কোন উপায় নেই। তিনি বলছেন, বাচ্চা পোলাপাইন লইয়া আমরা সইরা গেছি। আমার ঘরদুয়ার সব পুইড়া গেছে। এখন এই যে রাস্তায় বইসা রইছি।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে আগুনের সূত্রপাত। বস্তির বাসিন্দাদের অনেকেই ঈদের ছুটিতে গ্রামে বেড়াতে গিয়েছেন। সম্ভবত সেই কারণেই বহু লোক প্রাণে বেঁচে গেছেন। কিন্তু মাথার উপরে আশ্রয়সহ সর্বস্ব হারিয়েছেন অনেকে।

এ সময় আরেক পোশাক শ্রমিক নারগিস আক্তার বলছেন, বাচ্চা কোলে লমু না কি করমু কোন হুঁশ ছিল না। যারা দেশে গেছে তারা আসবে। আইসা দেখবে সব জ্বইলা পুইড়া কালা হইয়া গেছে।

হতাহতের ঘটনা সেভাবে না ঘটলেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে অনেক। ফায়ার সার্ভিসের ২৪ টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। উদ্ধার কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক, মোহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি বলছেন তারা এখনো উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে কিভাবে আগুন লেগেছে সেটি এখনো পরিষ্কার নয়।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে