ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

‘সবশেষ, কিচ্ছু আনতে পারি নাই’

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৯ আগস্ট ১৬ ২২:৪৫:৩৭
‘সবশেষ, কিচ্ছু আনতে পারি নাই’

সাথি আক্তারের স্বামীর নাম সোহাগ। তিনি ভাঙারির ব্যবসা করেন। আগুন থেকে বাঁচতে দুই মেয়ে মরিয়ন ও সামিয়াকে নিয়ে বাইরে বের হতে পারলেও স্বামী সোহাগকে খুঁজে পাচ্ছেন না সাথি।

জাগো নিউজের কাছে কান্না জড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী আমাদেরকে বের করে দিলেও এখন তাকে খুঁজে পাচ্ছি না। জানি না সে কোথায় আছে। আমাদের সব শেষ। কিচ্ছু আনতে পারিনি। আমাদের ছোট্ট সংসার, এখন সব শেষ। আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আকস্মিকভাবেই আগুন লাগে, আমরা কিছুই বুঝতে পারিনি। ঘর থেকে কিছুই আনতে পারিনি। পরনের কাপড় ছাড়া আমাদের আর কিছুই নেই। টাকা, আসভাবপত্র, কাপড়, টিভি, থালা-বাটি সব পুড়ে গেছে।’

সাথির পাশেই সাইদুর রহমান নামে একজন একটি টিভি নিয়ে বসে কাঁদছেন। কাছে গিয়ে কথা বলতেই তিনি জানান, পেশায় তিনি রিকশা চালক। সাইদুর রহমানও টিভিটি ছাড়া আর কিছুই বের করতে পারেননি।

জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘আমার ঘরে ফ্রিজ, কাপড় চোপড় কিছুই আনতে পারিনি। শুধু টিভিটা কাঁধে নিয়ে বের হয়েছি। আমার রিকশাটাও আনতে পারিনি, সেটিও পুড়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখানে চাচাতো ভাই মিলে ১০ জন থাকি। সবারই একি অবস্থা, কেউ কিছু নিয়ে বের হতে পারেনি। আমরা গরিব মানুষ। জানি না এখন আমাদের কোথায় ঠাঁই হবে।’

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে আগুনের সূত্রপাত হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি র‌্যাব-পুলিশের সদস্যরা সহযোগিতা করছেন।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে জানা যায়নি।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে