ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

কাশ্মীরে সচল হচ্ছে টেলিফোন, স্কুল খুলবে আগামী সপ্তাহে

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৯ আগস্ট ১৬ ২০:৩৭:২১
কাশ্মীরে সচল হচ্ছে টেলিফোন, স্কুল খুলবে আগামী সপ্তাহে

শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।

তিনি বলেন, শুক্রবার জুমা’র নামাজের পর থেকে পর্যায়ক্রমে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে। আজ থেকে সরকারি অফিসসমূহের কার্যক্রম পুরোদমে চালু হয়েছে।

সুব্রহ্মণ্যম বলেন, ‘‘এলাকা বিশেষে’’ আগামী সপ্তাহ থেকে স্কুল খুলে দেয়া হবে যাতে শিশুদের পড়াশোনার কোন ক্ষতি না হয়।

ল্যান্ডফোন সেবার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এক্সচেঞ্জ অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে সেগুলো চালু করা হবে।

কাশ্মীরের নেতাদের জেল হেফাজতে রাখার বিষয়ে সুব্রহ্মণ্যম বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে আটকের সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।

অল ইন্ডিয়া রেডিও জানিয়েছে, গভর্নর সত্যপাল মালিক শুক্রবার থেকে স্বাভাবিকভাবে কাজকর্ম চালুর জন্য শ্রীনগরে সচিবালয়ে এবং অন্যান্য সরকারি অফিসকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এছাড়া কেন্দ্র থেকে সুপ্রিম কোর্টকে জানানো হয়েছে, পাঠ পর্যায়ের পরিস্থিতি প্রতিদিন পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

এর আগে, কাশ্মীরে সংবাদমাধ্যমগুলো যেন ভালভাবে কাজ করতে পারে সেজন্য দ্রুত ফোন সেবা চালু করার নির্দেশ দেওয়ার দাবি জানান কাশ্মীর টাইমসের সম্পাদক অনুরাধা ভাসিন।

কাশ্মীর এবং জম্মুর বেশকিছু এলাকায় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ওপর জারি করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারেরও দাবি জানান তিনি।

শুক্রবার প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, আমি সংবাদমাধ্যমের খবর পড়েছি, সেখানে বলা হয়েছে আজ সন্ধ্যার মধ্যেই সেখানকার ল্যান্ডলাইন এবং ব্রন্ডব্যান্ড সেবা চালু করা হবে।

শুনানিতে সরকারি আইনজীবী কেকে বেণুগোপাল বলেন, জম্মু থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায় সেখান থেকে খবরের কাগজ প্রকাশিত হচ্ছ।

তবে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য না করে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গেই সংবাদ মাধ্যমের ওপর কড়াকড়ি সম্পর্কিত বিষয়টি আমলে নেয়া হবে।

গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্র সরকার। রাজ্যটিকে ভেঙে দিয়ে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার ঘোষণা দেয়া হয় সেসময়। তার আগের দিন ৪ আগস্ট থেকে সেখানে বড় ধরনের জনসমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ একাধিক কঠোর নিয়ম জারি করা হয় এবং নিরাপত্তার বলয়ে ঘিরে ফেলা হয়।

যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হওয়ার ফলে কাশ্মীর উপত্যকায় ফোন এবং ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়। তৈরি হয় কারফিউ জারি করার মতো পরিস্থিতি।

এরমধ্যেই কাশ্মীরের প্রায় ৪০০ জন রাজনৈতিক নেতাকে আটক করা হয়। জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতিকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

এরপর গত বুধবার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জম্মুতে নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরিভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং কাশ্মীরে “কিছুসময়ের জন্য” কড়াকড়ি থাকবে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে