ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

কাশ্মীরে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু, রাজনীতিবিদসহ গ্রেফতার ৫ শতাধিক

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৯ আগস্ট ০৮ ১৮:৩৩:৪৫
কাশ্মীরে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু, রাজনীতিবিদসহ গ্রেফতার ৫ শতাধিক

কাশ্মীরিদের বিক্ষোভ দমাতে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তানি গণমাধ্যম।

পুলিশ কর্মকর্তা, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং মিডিয়ার বরাত দিয়ে পাক গণমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এ খবর দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এটি ব্যাপক সাঁড়াশি অভিযান বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত ৩৭০ ধারা বাতিল করেছে ভারত সরকার। এর ফলে রাজ্যের মর্যাদা হারিয়ে জম্মু-কাশ্মীর এখন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। সেইসঙ্গে দুই ভাগ হয়ে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ অঞ্চল হয়েছে।

ভারত এই ধারা বাতিলের কয়েকদিন আগ থেকেই কাশ্মীরে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করতে থাকে, যদিও সেখানে আগে থেকেই হাজার হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে। স্কুল-কলেজসহ সকল শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কারফিউ ও ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ রয়েছে।

মঙ্গলবার থেকেই ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে সেখানে বিক্ষোভ করছেন স্থানীয়রা। ওই দিন এক যুবকের মৃ’ত্যুসহ বেশ কয়েজন গু’লিবিদ্ধ হয়। এ ছাড়া আ’টক করা হয় শতাধিক লোককে। এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুই পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার থেকে শ্রীনগরের অন্তত ৩০ জায়গায় বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষিপ্তভাবে বিক্ষোভ অব্যাহত আছে।

এক পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে কাজ করছিলেন এমন প্রায় তিন শতাধিক রাজনীতিককে আট’ক করা হয়েছে। আ’টকদের মধ্যে অন্যতম প্রভাবশালী দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের দুই নেতাসহ শতাধিক রাজনীতিক আছেন। এ ছাড়া এদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক ম্যাজিস্ট্রেট ও বিধায়ক।

অন্যদিকে, জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আব্দুল্লাহকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। মেইল ইন্ডিয়া নামের একটি গণমাধ্যম বলছে, আ’টক ও গৃহবন্দি মিলিয়ে চার শতাধিক রাজনীতিককে আ’টক করা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার হুরিয়াত কনফারেন্সের চেয়ারম্যান মির ওয়াইজ ওমর ফারুককে কয়েক ঘণ্টার জন্য আ’টক করা হয়। পরে তাকে গৃহবন্দি করা হয় বলে দলটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে সর্বশেষ সাঁড়াশি অভিযানে ৫৬০ জনকে নানাভাবে আ’টক করা হয়েছে। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ব্যবসায়িক নেতা ও মানবাধিকার কর্মীও রয়েছেন।

ভারতীয় গণমাধ্যম প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের বরাতে করা এএফপির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫৬০ জনকে অস্থায়ী ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেককেই শ্রীনগর, বারামুল্লা ও গুরেজ এলাকা থেকে গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে আ’টক করা হয়েছে।

এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই আ’টক অভিযান এমন সময় পরিচালনা করা হলো যখন আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাশ্মীর ইস্যুতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে