ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু রোগী ৮২৪ জন

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৯ জুলাই ২৮ ২০:৪৪:৪৪
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু রোগী ৮২৪ জন

আর চলতি বছরের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১১ হাজার ৬৫৪ জন। এরমধ্যে চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন আট হাজার ৭২৫ জন। রবিবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন্স সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

ভর্তি থাকা দুই হাজার ৯২১ জনের মধ্যে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রয়েছেন ৫৪০ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ২২৪ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ৯৪ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ২১৭ জন, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ২০৭ জন, বারডেম হাসপাতালে ৩৯ জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩ জন, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ৯৫ জন, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২৩৪ জন ও বিজিবি হাসপাতালে ২৬ জন।

এদিকে, বেসরকারি হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২০০ জন। আর বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীর সংখ্যা ৯২০ জন। এসব হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে ছাড়পত্র নিয়েছেন চার হাজর ২৪৮ জন।

হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীগত কয়েক বছরে ডেঙ্গু কেবল রাজধানীকেন্দ্রিক হলেও এবার ঢাকার বাইরেও ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। কন্ট্রোল রুমের হিসাব অনুযায়ী, ঢাকার বাইরে বিভাগগুলোতে মোট ৬১১ জন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।

রবিবার (২৮ জুলাই) বিকালে মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদফতরে ডেঙ্গুর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, ‘পুরো ঢাকা শহর ডেঙ্গু ঝুঁকিতে রয়েছে।’

ইতোপূর্বে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করতে একটি জরিপ করা হয়। সেই জরিপের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘জরিপের ডাটা সংগ্রহের কাজ আমরা গতকাল শেষ করেছি। সব কাজ শেষ হওয়ার পরে আমরা এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গভাবে জানাতে পারবো। তবে এখন পুরো ঢাকা শহরই ঝুঁকিপূর্ণ।’

এর আগে দুপুরে, বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে ডেঙ্গু পরীক্ষার খরচ নিয়ে এক বৈঠকে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, প্রাথমিকভাবে ডেঙ্গুর যে পরীক্ষাগুলো রয়েছে, সেগুলো সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকায় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক জানান, প্রতিটি হাসপাতালে একটা করে হেল্পডেস্ক বসবে। ডেঙ্গু আক্রান্তরা এই হেল্পডেস্কে গিয়ে যেকোনও তথ্য নিতে পারবেন। এছাড়াও হাসপাতালগুলো মনিটর করার জন্য ১০টি মনিটরিং টিম করা হবে, প্রতি টিমে তিন জন সদস্য থাকবেন, যারা ডেঙ্গুর বিভিন্ন বিষয় মনিটর করবেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরকে জানাবেন।

ডা. আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, ‘সেবার ব্যাপারে কোয়ালিটি নিশ্চিত করতে হবে। কোনও ছাড় দেওয়া চলবে না।’ সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকের মালিক সমিতিও এসব ব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন বলেও তিনি জানান।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে