ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

হাট কাঁপাবে সেই খোকাবাবু , দাম জানলে চোখ কপালে উঠবে

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৯ জুলাই ২৮ ১১:৫৫:৫২
হাট কাঁপাবে সেই খোকাবাবু , দাম জানলে চোখ কপালে উঠবে

হচ্ছে দর্শনার্থীরা। মালিক মো. আবুল কাশেম মিয়া জানান, কোরবানি উপলক্ষে তিনি ষাঁড়টি বেঁচতে চান। তাই দাম হাঁকাচ্ছেন ১৫ লাখ টাকা!। বোঝাই যাচ্ছে এবার হাট কাঁপাবে খোকাবাবু।

একেবারে প্রাকৃতিক পরিচর্যায় খোকাবাবুর লালন-পালন করেছেন জানিয়ে আবুল কাশেম মিয়া বলেন, আমি কৃষকের সন্তান। গরুর ফিড খাওয়ানো সাধ্য নেই। তাই ২ বছর আগে দুই দাঁতের খোকাবাবুকে কেনার পর নাগরপুর উপজেলার প্রাণীসম্পদ দফতরের ডা. মো. ফায়েজুর রাজ্জাক আকন্দ স্যারের যোগাযোগ করি। স্যার বলেন, আপনি গরুর ওজন এবং প্রয়োজনের ভিত্তিতে প্রাকৃতিক সুষম খাবার খাওয়ালে অর্থ ও ঝুঁকি দুই কমবে এবং নিরাপদ মাংস উৎপাদিত হবে। খোকার খাদ্য তালিকায় রয়েছে, বিভিন্ন ধরনের সবুজ ঘাস, গাছের পাতা, খড়, ভুষি, ভুট্টা-ভাঙ্গা, সরিষা, সয়াবিনের খৈল, নালি, চাউলের কুড়া, লবণ ও পরিমাণ মত পানি, জানান আবুল কাশেম।

এছাড়া, খোকার বেড়ে ওঠার জন্য নিয়মিত গোসল করানো, পরিষ্কার ঘরে রাখা, ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা, হাঁটতে নেওয়া, রুটিন অনুযায়ী ভ্যাকসিন দেওয়া এবং কৃমির ওষুধ খাওয়ানোসহ কোনো কিছুরই কমতি রাখেননি আবুল কাশেম।

গরু মোটাতাজাকরণ ওষুধ এবং ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, খোকার ওজন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পরিমাণ মত সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবারেই লালিত-পালিত হয়েছে। বিজ্ঞানসম্মত সঠিক পরিচর্যায় ৪ দাঁতের ৪ বছরের খোকা বাবু প্রাকৃতিক খাদ্যেই আজ ২৫ মণ ওজনের হয়েছে।

খোকাবাবুকে নিয়ে ডা. মো. ফায়েজুর রাজ্জাক আকন্দ বলেন, আমাদের উপজেলা লেভেলে বড় গরুর চাহিদা মেটাতে কাশেম মিয়ার উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। তিনি ২ বছর যাবত আমাদের দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে নিরাপদ মাংস উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। গরু মোটাতাজাকরণ ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার না করে আমাদের বিজ্ঞানসম্মত নিবির পর্যবেক্ষণ, প্রাকৃতিক সুষম খাদ্য ও কাশেমের প্রচেষ্টায় খোকা বাবু আজ প্রায় ১০০০ কেজি হয়েছে। তার কাজের মূল্যায়ন হলে তিনিসহ অনেকেই উৎসাহিত হবে স্বল্প খরচে গরু পালনে। এতে করে নিরাপদ মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

খোকাবাবুর কেমন দাম চান? এমন প্রশ্নে আবুল কাশেম বলেন, বাজার বরাবর বিক্রি করতে হবে। বাজার ক্রেতা ও গরুর জোগানের ওপর নির্ভরশীল। তবে আমি ১৫ লাখ টাকা চাচ্ছি।

খোকাবাবুকে দেখতে আসা অনেকের একজন আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কাশেমের খোকাবাবু সত্যিই দৃষ্টিনন্দন এবং প্রশংসার দাবিদার। কারণ, কোনো প্রকার বিষাক্ত ঔষধ ব্যবহার না করেও এমন গরু বানানো সম্ভব নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে