ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

‘এখন আমাদের পুরো পরিবারই হাসপাতালে, কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না’

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৯ জুলাই ২৭ ১৫:৩২:২১
‘এখন আমাদের পুরো পরিবারই হাসপাতালে, কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না’

ফিমা থাকেন রাজধানীর মগবাজার এলাকায়। পেশাগত কাজে স্বামী থাকেন দেশের বাইরে। বড় মেয়ে আদিবা মেহদিন পড়ে চতুর্থ শ্রেণীতে ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজে। ছোট মেয়ে আসফিয়া পড়ে কিন্ডার গার্টেনে ওয়ানে।

সন্তানদের যাতে ডেঙ্গু মুক্ত রাখা যায় তার সব চেষ্টাই করতেন ফিমা। কিন্তু সম্পূর্ণ সফল হতে পারেননি। ছোট মেয়ে তাসফিয়ার জ্বর আসায় ডাক্তার দেখান। ব্লাড টেস্ট করার পরেই ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে ডাক্তার নিশ্চিত করেন এবং বলেন হাসপাতালে ভর্তি করাতে।

তাসফিয়াকে নিয়ে যখন ফিমা রাজধানীর হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি করাতে আসেন তখন নিজেও জ্বর অনুভব করছিলেন। কন্যাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে তাই নিজেও রক্ত পরীক্ষা করালেন। টেস্ট রিপোর্টে জানা যায় তিনিও ডেঙ্গু আক্রান্ত। মেয়ের পাশের বেডে ততক্ষণে আরেকজন রোগী ভর্তি হয়ে গেছেন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েই। তাই তার এক বেড পরেই তিনি নিজেও ভর্তি হলেন চিকিৎসা নেওয়ার জন্য।

পরিবারে তেমন কেউ আর নেই। তাই বড় মেয়ে আদিবাও এখন মা এবং বোনের সঙ্গে হাসপাতালেই থাকছে একজন অভিভাবক হিসেবে।

ফিমা সারাবাংলাকে বলেন, ‘এবার ডেঙ্গু রোগের বিষয়ে যখন শুনছিলাম তখন বাসা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য। যেন পরিবারের সবাই নিরাপদে থাকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। এখন আমাদের পুরো পরিবারই হাসপাতালে।’

সিটি করপোরেশনের মশা মারা কার্যক্রম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এই গৃহিনী বলেন, ‘যদি বছরের শুরু থেকেই উদ্যোগ নেওয়া হতো তবে হয়তো বা আজ প্রতিটা হাসপাতালে এত রোগী ভর্তি হতো না। আমাদেরও ঘর ছেড়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আসতে হতো না।’

উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য অধিদফরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে দেওয়া দৈনিক প্রতিবেদন অনুযায়ী হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে বর্তমানে ১৫৬ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে শুক্রবার (২৬ জুলাই) পর্যন্ত হাসপাতালটিতে ৭০৬ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানানো হয় প্রতিবেদনটিতে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে