ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

ফেসবুকে আলবিদা লেখার ২ দিন পর প্রেমিক-প্রেমিকার মরদেহ উদ্ধার

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৯ জুলাই ২৫ ২২:২৪:১৬
ফেসবুকে আলবিদা লেখার ২ দিন পর প্রেমিক-প্রেমিকার মরদেহ উদ্ধার

কেমব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। তাহমিনা খানম তিন্নি (১৬) একই শহরের বনরুপা এলাকার বাসিন্দা। সে রাঙ্গামাটি লেকার্স পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী।

এর আগে, গত ২৩ জুলাই কাপ্তাই মগবান ইউনিয়নের বড়গাং রিসোর্টে বেড়াতে গিয়ে তারা নিখোঁজ হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজার ১নং পাথর এলাকার বাসিন্দা ছোটন দেওয়ানজির ছেলে প্রান্ত দেওয়ানজি হিমেল ও একই শহরের বনরূপা এলাকার তাহমিনা খানম তিন্নি বিদ্যালয় পড়া অবস্থায় প্রেমের সর্ম্পকে জড়িয়ে পড়ে।

দীর্ঘ চার বছরের প্রেমের সর্ম্পকের খবর তাদের পরিবারের মধ্যে জানাজানি হলে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। কারণ প্রান্ত ছিল হিন্দু আর তিন্নি ছিল মুসলিম। ধর্মগত সমস্যা থাকার কারণে তাদের পরিবার এ সর্ম্পক মেনে নেয়নি। পরে প্রান্তকে রাঙামাটি থেকে দূরে ঢাকা ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভর্তি করে দেওয়া হয়। কিন্তু তবুও তিন্নির সাথে তার যোগাযোগ বন্ধ হয়নি। এক পর্যায়ে গত ২৩ জুলাই সকাল সাড়ে ৭টায় প্রেমিকা তিন্নিকে নিয়ে ঘর ছাড়ে প্রান্ত।

কিন্তু এ আগে তারা তাদের ফেসবুকে ‘আলবিদা’ বলে একটি স্ট্যাটাস প্রকাশ করেন। এপর থেকে কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি তাদের। দুঃচিন্তায় প্রান্তর পরিবারের পক্ষ থেকে রাঙামাটি কোতোয়ালি থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়। নিখোঁজের দুই দিন পর তাদের মরদেহ দেখা যায় রাঙামাটি কাপ্তাই সড়কের বরাদম এলাকার হ্রদে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।

রাঙামাটি কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল হক রনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা সবকিছু তদন্ত করে দেখেছি। ছেলে ও মেয়েটির মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক ছিল। দু’জন দু’ধর্মের হওয়ার কারণে বিষয়টি কেউ স্বাভাবিক ভাবে নেয়নি। তাই হয়তো তারা আত্মহত্যার পথ খুঁজে নিয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে এ বিষয়ে কথা বলতে নারাজ মৃত প্রান্ত ও তিন্নির পরিবার।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে