বেরিয়ে এলো আসল রহস্য: রক্ষা পেতে যে ছদ্মবেশ ধারন করেছিল প্রধান আসামী হৃদয়

এই ঘটনায় হৃদয় নামের একজনকে প্রধান আসামী করে মোট ৫০০ জনের নামে মামলা করা হয় থানায়। ঘটনার দিন রেনুকে মারতে সবাইকে নেতৃত্ব দেন হৃদয়। ঘটনার দিন স্থানীয়রা ছেলেধরা গুঞ্জন উঠলে তিন নারীকে আটক করে। এর মধ্যে দুই নারী পালিয়ে গেলেও গণপি*টুনির শিকার হন রেনু। স্থানীয়রা তাকে রড, কাঠ দিয়ে উপর্যুপরি পিটিয়ে হ*ত্যা করে।

রেনুকে পি*টিয়ে হ*ত্যার যেসব ভিডিও এখন পর্যন্ত প্রকাশ হয়েছে, সেখানে তিন/চার তরুণকে নির্মম এই হ*ত্যাকাণ্ডে অংশ নিতে দেখা গেছে। তাদের মধ্যে ছিল নীল টি-শার্ট পরিহিত হৃদয়। হৃদয়ই রেনুকে পিটিয়ে হ*ত্যার নেতৃত্ব দিয়েছিল। রেনু যখন বেধড়ক পি*টুনি খেয়ে নিস্তেজ হয়ে স্কুল কম্পাউন্ডে পড়ে ছিল, তখনও থামেনি হৃদয়।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের ভুলতায় নানির বাসা থেকে হৃদয়কে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) নাজমুল হাসান এসব কথা জানান। যে পোশাক পরে রেনুকে পি*টিয়ে খু*ন করা হয়, সেটি উদ্ধারে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।

এই ঘটনার দায় স্বীকার করে হৃদয় বলেন, ন্যাড়া হয়ে ছদ্মবেশ ধারণের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। সেইসঙ্গে রেনুকে হ*ত্যার দিন পরা পোশাক নানিকে দিয়েছিলেন পুড়িয়ে ফেলার জন্য।